আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
32 views
in পবিত্রতা (Purity) by (2 points)
কিছুদিন যাবত মাথায় খারাপ চিন্তা ভাবনা আসে এ থেকে বাচার উপায় কি?

যখন খারাপ চিন্তা আসে বা খারাপ জিনিস চলে আসে আমি সাথে সাথে স্কিপ করে নজর হেফাজতের চেষ্টা করি।তখন মনে হয় প্রসাবের রাস্তা দিয়ে আঠালো পদার্থ বের হচ্ছে।ওয়াস রুমে যাই চেক করতে মাঝে মাঝে এটা বের হয় ,মাঝে মাঝে হয় না।বেশিরভাগ সময় বের হয় না।এখন এই বার বার মনে খারাপ চিন্তা আসে আর আমি বার বার চেক করি।এখন কি আমি সবসময় চেক করব??একজন বলেছিলেন বয়সের জন্য এমন মাঝে মাঝে বের হয় এটা সমস্যা না নামাজ হয়ে যাবে।আমি নিশ্চিত বলতে পারতেছি না কখন বের হয় আর কখন না।অস্থির হয়ে যাচ্ছি।

বাহিরে থাকলে অনেক সময় মনে হয় বের হচ্ছে কিন্তু চেক করার সুযোগ থাকে না এখন করণীয়??

1 Answer

0 votes
by (579,240 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে,

إِنَّ السَّمْعَ وَالبَصَرَ وَالفُؤَادَ كُلُّ أُولَئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُولًا.

...নিশ্চয় কান, চোখ, হৃদয় এর প্রতিটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। সূরা বনী ইসরাঈল (১৭) : ৩৬

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত।

فَالْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظَرُ، وَالْأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الِاسْتِمَاعُ، وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الْكَلَامُ، وَالْيَدُ زِنَاهَا الْبَطْشُ، وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الْخُطَا، وَالْقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى، وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الْفَرْجُ وَيُكَذِّبُهُ

রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, চোখের জিনা হল [হারাম] দৃষ্টিপাত। কর্ণদ্বয়ের জিনা হল, [গায়রে মাহরামের যৌন উদ্দীপক] কথাবার্তা মনযোগ দিয়ে শোনা। জিহবার জিনা হল, [গায়রে মাহরামের সাথে সুড়সুড়িমূলক] কথোপকথন। হাতের জিনা হল, [গায়রে মাহরামকে] ধরা বা স্পর্শকরণ। পায়ের জিনা হল, [খারাপ উদ্দেশ্যে] চলা। অন্তর চায় এবং কামনা করে আর লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবে রূপ দেয় [যদি জিনা করে] এবং মিথ্যা পরিণত করে [যদি অন্তরের চাওয়া অনুপাতে জিনা না করে]। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৬৫৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৯৩২}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
https://ifatwa.info/50877/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, নিয়মিত নামায আদায় করতে হবে এবং আল্লাহর কাছে মুনাজাত করে, তাঁকে স্মরণ করে, তাঁর কিতাব তেলাওয়াত করে স্বাদ অনুভব করতে হবে। 
আল্লাহ্ তাআলা বলেন,
اتْلُ مَا أُوحِيَ إِلَيْكَ مِنَ الْكِتَابِ وَأَقِمِ الصَّلَاةَ إِنَّ الصَّلَاةَ تَنْهَى عَنِ الْفَحْشَاء وَالْمُنكَرِ وَلَذِكْرُ اللَّهِ أَكْبَرُ وَاللَّهُ يَعْلَمُ مَا تَصْنَعُونَ

আপনি আপনার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট কিতাব পাঠ করুন এবং নামায কায়েম করুন। নিশ্চয় নামায অশ্লীল ও গর্হিত কার্য থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন তোমরা যা কর। (সূরা আনকাবুত ৪৫)
একবার সাহাবারা রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে বলল, অমুক সাহাবী বিভিন্ন ধরনের খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়েছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ জিজ্ঞেস করলেন, সে কি এখনো নামাজ পড়ে? সবাই বলল, হ্যাঁ, পড়ে। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, সে যদি নামাজ পড়তে থাকে তাহলে নামাজ তাকে অবশ্যই একদিন খারাপ কাজ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে। (মুসনাদে আহমাদ ২/৪৪৭)
★বেশি বেশি যিকির করতে হবে।
★মাঝে মাঝেই দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতে সময় লাগাতে পারেন।
★বেশির ভাগ সময় মসজিদে কাটানোর চেষ্টা করুন।
★নিজের ভিতর থেকে হতাশা সম্পূর্ন ভাবে দূর করে দিন। আলোর পথে আসুন।
★নিজ মহল্লার মসজিদের ইমাম সাহেব,মুয়াজ্জিন সাহেব থেকে সাজেশন নেওয়ার চেষ্টা করুন।
তাদের সাথে ফ্রি হয়ে কিভাবে আমলের পথে চলা যায়,সেটা জানুন।
তাদেত সাথেই বেশিরভাগ সময় কাটানোর চেষ্টা করুন।   
★অসৎ সাথীদের সাথে ঘুরাফেরা বন্ধ করুন।
★যেই জায়গা,যেই কাজ করলেই ঐ বিষয় গুলো মাথায় আসে,সেই জায়গায় যাওয়া সেই কাজ করা থেকে বিরত থাকুন।
★হক্কানী শায়েখদের কাছে যান,তাদের দেওয়া সবক আদায় করতে পারেন।
★কোনোভাবেই একাকী থাকা যাবেনা।
কিভাবে কাহারো সাথে থাকা যায়,সেই ব্যবস্থা করুন।
বিশেষ করে একাকী রাত কোনোভাবেই কাটানো যাবেনা। 
আপনার রুমে অন্য কাহারো থাকা নিশ্চিত করুন।
প্রয়োজন মেসে থাকতে পারেন।  
হাদিসে এসেছে নবী ﷺ কোন পুরুষকে একাকী রাত কাটাতে নিষেধ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ ২/৯১)
ঘুমানোর সময় ইসলামী আদবগুলো মেনে চলতে হবে। যেমন ঘুমানোর দোয়াগুলো পড়া, ডান পার্শ্বে কাত হয়ে শোয়া, পেটের উপর ভর দিয়ে না-ঘুমানো; যেহেতু এ সম্পর্কে নবী ﷺ-এর নিষেধ আছে।
★কাছে মোবাইল বা কম্পিউটার  রাখা যাবেনা,সেটি অন্য ঘরে রেখে আসতে হবে। যথাসম্ভব মাগরিবের পর থেকেই মোবাইল থেকে দূরে থাকতে হবে।
★রাতে খাবার খাওয়ার কমপক্ষে  এক দেড় ঘন্টা পর বিছানায় যাবেন।
★অনৈসলামিক কোনোকিছুই মোবাইল,কম্পিউটারে রাখা যাবেনা।
★নেটে এজাতীয় সাইটে কোনোভাবেই যাওয়া যাবেনা।   
★পাশাপাশি নবী নবী ﷺ-এর নির্দেশিত প্রতিকার পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে। সেটা হচ্ছে– রোযা রাখা। কেননা রোযা যৌন চাহিদাকে পরিশীলিত করে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
দ্রুত বিয়ে করার ফিকির করুন। স্থানীয় কোন আলেমের সোহবতে থাকুন ও উল্লেখিত কাজগুলো করতে থাকুন। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা আপনাকে খারাপ চিন্তা থেকে দূরে রাখবেন।

★প্রসাবের রাস্তা দিয়ে আঠালো পদার্থ বের হচ্ছে,এটি নাপাক। এর দরুন গোসল ফরজ হবেনা। তবে অযু ভেঙ্গে যাবে।

এটি বের হলে উক্ত স্থান পাক করে অযু করে নামাজ আদায় করতে হবে। 
অন্যাথায় নামাজ হবেনা।

কাপড়ে লাগলে কাপড়ের উক্ত স্থানও পাক করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (2 points)
আমল করার চেশটা করব ইন শা আল্লাহ।
হযরত এখন কথা হল যখন মাথায় এই গুলো আসে বা চোখের সামনে আসে আমি আউযুবিল্মলাহ বলে বামে তিন বার থুথু ফেলাই ,তখন মাথা থেকে সরে যায় পরে আবার অন্য ভাবে আসে।তখন আঠালো পদার্থ হয় বের হচ্ছে মনে হয় , পরে চেক করতে যাই   হঠাত হঠাত  বের হয় আঠালো পদার্থ ।এখন মনে হলেই চেক করি সব সময় বের হয় না। আমার করণীয় কি?
অই অবস্থায় নামাজ পড়ব.? 
by (2 points)
আমি ত নিশ্চিত ভাবে বলতে পারতেছি না কখন বের হচ্ছে আর কখন হচ্ছে না।
বার বার চেক করি হঠাত হঠাত বের হয় এ ক্ষেত্রে করণীয় কি?

by (579,240 points)
এক্ষেত্রে যখনই আপনার মাথায় কুচিন্তা আসবে এবং মনের মধ্যে আসবে যে সম্ভবত লিঙ্গ দিয়ে কিছু বের হয়েছে, তখনই আপনি চেক করবেন এক্ষেত্রে কিছু পেলে ওযু ভেঙ্গে গিয়েছে মনে করবেন, আর কিছু না পেলে ওযু ভেঙ্গে যায়নি। এরকমই মনে করবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...