ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) কোনো এক ছেলের পিছনে বিরাট অংকের টাকা খরচ করলে, মাতাপিতার উচিৎ সকল সন্তানের পিছনে সমান ভাবে করচ করা। তাদের জীবদ্দশায় সকল সন্তানের প্রতি সমতা রাখা । তবে যেহেতু মাতাপিতা তাদের জীবদ্দশায় তাদের সম্পূর্ণ সম্পত্তির মালিক তারা, তাই তারা যে কোনো ভাবে খরচ করলেও এখানে অন্য কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। হ্যা, সমতা বিধান না রাখার জন্য তাদের গোনাহ হবে। কিন্তু তাদের মৃত্যুর পর তাদের সম্পদ থেকে ফারাইয বন্টন নামার আলোকেই সম্পদ বন্টিত হবে। এক্ষেত্রে পূর্বের কোনো সন্তানের জন্য খরচকৃত টাকা কর্তন করা হবে না।
(২) বাবা-মার জন্য কোন সন্তানকে ২-৪ লাখ টাকা বেশী দেওয়া উচিৎ হবেনা।বরং সবার প্রতি সমতা বিধান রাখাই উচিৎ।
(৩) ২-৪ লাখ না হয়ে ২০-৫০ হাজার টাকাতেও সমতা রাখা উচিৎ।
(৩) কোনো শ্বাশুড়ির জন্য তার কোনো এক ছেলের বউকে স্বর্ন গিফট করা উচিৎ হবে না। বরং সকল ছেলে বউকে সমানহারে গিফট দেয়া উচিত।
(৪) শ্বাশুড়ির ব্যবহৃত গহনাকে সে তার পছন্দের বউকে জীবিত থাকা অবস্থায় দিতে পারবে।
মৃত্যুর পর ছেলে মেয়েরা পেয়ে যাবে।
(৫) মা-বাবার কাছে ক্যাশ টাকা থাকলে তা সকল সন্তানেরা সমান ভাগ পাবে। হ্যা,সকল ওয়ারিছ সম্মত হলে, একজনকেও দিতে পারবে।
(৬) যে ভাই ৮ শতক পেয়েছিল। তথা ১ শতক অতিরিক্ত পেযেছিলো, অপর দুই ভাইয়ের পূর্বে সম্মতি থাকলে এখন আর ধাবী করা যাবে না। নতুবা এখন তারা ধাবী করতে পারবে।
(৭) গ্রামে প্রায় সময় এমন হয় সিট নকশায় জমি কম-বেশি উঠেছে একজনের কিন্তু পৈতৃকভাবে সে জমিটা পায়,বাট ঐ পক্ষ দিতে চাচ্ছে না সিটের দোহাই দিয়ে।এটা তাদের জন্য জায়েয হচ্ছে না।
(৮)কোন বাপ-মা বেঁচে থাকাকালীন তার কোন ছেলেকে কোন সম্পত্তি গিফ্ট হিসেবে দিতে পারবে। তবে এটা উত্তম হবে না।