আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
164 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম,
আমাদের বিবাহ হয় ১ বছর। আমার স্ত্রীর বোর্ড পরীক্ষা চলাকালীন বাসায় নাস্তা বানানোর আয়োজন হয়। আমার মা ডাকে তাকে সে পরীক্ষার কারণে যায় নি। এতে তিনি আমার কাছে বিচার দেন এবং অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
আমিও বেশ রেগে চাই, তাকে হালকা বকা দেই।
উল্লেখ্য,, পুরা পরীক্ষা চলাকালীন তার উপর অনেক মানসিক জুলুম হয়। কয়েকদিন অাগেও তার মাকে ডেকেও অপমান করা হয় বিগত ১ বছরের নানা ভুল নিয়ে। পরে, সে সবার কাছে মাফ চায়। আমার বাবা বলে,, সবাইকে দাওয়াত করে খাওয়ায়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে। সে তা-ই করে, পরীক্ষা দিয়ে এসে অনেক আয়োজন করে আমার বোনসহ তার ফ্যামিলিকে খাওয়ায়। যেন আমরা শান্ত হই, সে বাকিদিনগুলো ঠিকমতো পরীক্ষা দিতে পারে।
এই  ঘটনা ঘটে শেষ পরীক্ষার আগের দিন। সে এটা নিতে পারে না ও ফোন করে তার মার কাছে বলে। উনি আবার আমাকে কল দেন ও বলেন -- ওর এক্সামটা ঠিকমতো দিতে দাও,ও পরীক্ষা শেষে সবাইকে রান্না করে খাওয়াবে।  আমি আরও রেগে যাই ও বলি-- " এরকম বেয়াদব মেয়ে আমার দরকার নেই, নিয়ে যান ওকে।"

এখানে নিয়ে যান বলার উদ্দেশ্য ছিলো কয়েকদিন বাসায় থেকে আসুক। আমার অনুপস্থিতিতে সে আমার মূল্য বুঝুক। এছাড়াও বিগত কয়েকদিনের ঝগড়ায় আমি তাকে ভয় দেখাতাম তালাক দিবো,ছেড়ে দিবো এই বলে।
পরে তার মা বাসায় আসে, আমার ফ্যামিলি সহ আলোচনায়৷ বসে। আমার শাশুড়ির সাথে আবারও কথা কাটাকাটি হয়। তখন তিনি বলেন -"তোমার যখন এতই তালাক দেয়ার ইচ্ছা, তাহলে দিয়ে দাও, নিয়ে যাই আমাদের মেয়েকে....
আমি তর্কাতর্কির এই পর্যায়ে  রাগের মাথায় আমিও বলে ফেলি নিয়ে যান,আমি জানতামই না এই কথার দ্বারা তালাক পতিত হতে পারে। সে মুহূর্তে আমার বাবা আমাকে ধমক দিয়ে থামান। বিষয়টি পরে আমার খেয়াল থাকে না।

আমার স্ত্রী এটা নোটিশ করে ও সেই রাতেই বলে এই কথা বলার সময় তোমার নিয়ত কি ছিলো,কিন্তু আমি তা মনে করতে পারি না।
পরদিন ফজরের পর যা মনে পড়ে তা হলো--

রাগের মাথায় তখন আগপিছ বিবেচনা না করে বলেছি। এর ফলাফল / নিয়তেের দিকে খেয়াল ছিল না বা ভুলে গিয়েছি । খুব সম্ভবত ( সবচেয়ে বেশি যা ধারণা হয়)  উদ্দেশ্য ছিলো আমার শাশুড়ীর  কথার তাৎক্ষণিক জবাব দিয়ে তাকে থামানো, তার অহংকার কমানো, তার কাছে নত না হওয়া।

"নিয়ে যান "

 অর্থ- সে  এখান থেকে গেলে/ আমার কাছ থেকে
কিছুদিন দূরে থাকলে নিজের ভুল বুঝতে পেরে আমার কাছে আসবে। আমরা যেমন ঝগড়া হলে বলে রাগের মাথায় বলি যাও চলে যাও,, কিন্তু আসল উদ্দেশ্য এটা থাকে না তেমন।
তখন ঝগড়া হলে ভীতি  প্রদর্শনের জন্য, স্ত্রীকে থামানোর জন্য" তালাক দিয়ে দিবো " এই কথাটা  প্রায়ই বলতাম।
আমি  জানতাম না যে শাশুড়ির এই কথার জবাব  দ্বারা তালাক পতিত হতে পারে। জানলে  এই কথা কখনো বলতাম না।
ঐ মূহুর্তের সবচেয়ে বেশি ধারণা হয় যে শাশুড়ীর কথার জবাব দেয়া,, আর বুঝানো তার মেয়েকে ছাড়া থাকতে আমি পারবো, সাথে করে নিয়ে যাক। তাকে ছাড়া থাকতে পারবো -- এটা মনোঃকষ্টে অন্তরে এসেছিলো,, কিন্তু তাকে তালাক দিবো,সে ১/২ তালাক প্রাপ্ত হবে,  এটার নিয়ত আমার অন্তরে ছিল না।
তাকে তালাাক দিয়ে আলাদা করার ইচ্ছা থাকলে আমি সরাসরিই দিতে পারতাম যেহেতু তখন পরিবেশ উত্তপ্ত ছিলো, পারিবারিক অালোচনা চলছিলো ;  শাশুড়ির সাথে বাহাস করার দরকার হতো না।
নিয়তের বিষয় এ এটাই মনে হয় আমার।

এখন কি আমাদের  উপর তালাক পতিত হয়েছে?

( আমার স্ত্রী তার ভাষ্যমতে এই পোস্ট করে। কিন্তু সেখানে আমার নিয়তের কথা উল্লেখ ছিল না , আমি আমার কথা বিস্তারিত লিখেছি)
by (606,750 points)
আমরা ইতিপূর্বে এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছি । এক প্রশ্নের জবাব একাধিকবার দেওয়া হয় না। https://www.ifatwa.info/110106

1 Answer

0 votes
by (606,750 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলমানকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনের মধ্যে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলম-জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাস'আলা মাসায়েল বা ফাতাওয়া অধ্যায়ের প্রশ্ন-উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বলছি, যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ তা'আলা  আমাদেরকে সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুক।আমীন।চুম্মা আমীন। https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa

বিঃদ্র
ওয়াসওয়াসা কোর্স সম্পন্ন করার পর অফিস থেকে একটি কোড দেয়া হবে, সেই কোড উল্লেখ পূর্বক পোষ্ট করতে হবে।নতুবা ওয়াসওয়াসা রোগীদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...