বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
মোটকথা-সন্তান জন্ম না দেয়ার যদি কেউ এমন পদ্ধতি গ্রহণ করে যে, যাদ্বারা ঐ ব্যক্তির চিরস্থায়ী জন্মদানের ক্ষমতা কে হারিয়ে ফেলে তাহলে তার ঐ কাজ করা হারাম।চায় পুরুষ করুক বা মহিলা করুক।চায় অপারেশনের মাধ্যমে হোক বা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে হোক বা অন্যকিছু দ্বারা হোক।
হ্যা অস্থায়ী ভিত্তিতে চায় পুরাতন মাধ্যম দ্বারা হোক বা আধুনিক মাধ্যম দ্বারা হোক বিশেষ বিশেষ জরুরতের সময় জন্মবিরতি নেয়া অনুমোদনযোগ্য রয়েছে।শর্ত এই যে এক্ষেত্রে কোনো নাজায়েয কারণ থাকতে পারবে না। কিন্তু জাতীয়ভাবে এর ব্যাপকতর প্রচার-প্রসার কুরআন এবং সুন্নাহর বিরোধিতা। যে জন্মনিয়ন্ত্রণকে রাসূলুল্লাহ সাঃ অপছন্দ করেছেন এবং মানবতার জন্য হমকিস্বরূপ মনে করেছেন, তাকে উন্নতি ও অগ্রগতির চাবিকাঠি মনে করা কখনো বৈধ হবে না। বিশেষ করে অর্থনৈতিক চিন্তাভাবনায় জন্মনিয়ন্ত্রণের প্রচার-প্রসার কখনো বৈধ হবে না।যেখানে রিযিকের দায়িত্ব আল্লাহ স্বয়ং নিয়ে নিয়েছেন সেখানে রিযিক নিয়ে চিন্তাভাবনা করে আল্লাহর নেযামের বিরোধীতা করে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা কখনো উচিৎ হবে এবং জায়েয হবে না।(শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্বামী স্ত্রী এই মুহূর্তে বাচ্চা নিতে মানসিক ভাবে প্রস্তুত না।এজন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ বা গর্ভপাত কোনোটাই জায়েয হবে না