আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
44 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)
closed by
১।আমি প্রায় শিওর যে অন্য ধর্মের বিষয় পরে আমি যাচাই করে দেখছি সেটা অন্য ধর্মের।  যাচাই করার আগে আমি ঘৃণা করি গালি দেই অসম্মান করি।এখন শুধু গালির,ঘৃনার,অসম্মানের  জন্যে আল্লাহ পাক এর কাছে তওবা করলে হবে নাকি কারও কাছে মাফ চাইতে হবে?

২।যেকোনো একটা বিষয় মনে বা সামনে আসলো কোন ধর্মের শিওর না এড়িয়ে চলাই উত্তম গালি গালাজ ঘৃণা, অসম্মান করার দরকার নাই। এরকম বিশ্বাস ঠিক কিনা?

৩।ইউটিউবে বিভিন্ন রাকির রিকাইয়ার ভিডিও দেওয়া থাকে সেখানে কুফরি শিরকি আছে কি না আমি জানি না। তবে আমার মনে হয় যে কুফরি শিরকি করে তান্ত্রিক রা রাকিরা তো কোরআন হাদিস দোয়া দিয়ে চিকিৎসা করে। সেই রুকাইয়া সুস্থতার নিয়তে শোনা যাবে?

৪।একটা বিষয় কে গালি দিলাম ঘৃনা অসম্মান করলাম তবে অন্য ধর্মের কিনা সিওর ছিলাম না। তখন যাচাই করতে যাই পরে দেখি সেটা অন্য ধর্মের যাচাই করতে যেয়ে কিছু শিরকি কুফরি বাক্য পড়ে ফেলি এবং ছবি দেখি।পরে যদি সে বিষয় মাঝে মধ্যে মনে আসে।  এসব কারনে আমার ইমানে সমস্যা হয়েছে কি বা মনে আসলে সমস্যা হবে কি ?

৫।মুসাফির অবস্থায় সুন্নাত না পড়লে গুনাহ হবে কি?

৬।অন্য ধর্মের বিষয় প্রায় শিওর ছিলাম তখন ঘৃণা বা গালি  অসম্মান   করে ফেলি। আবার দুইজনকে দেখে প্রায় শিওর যে তারা অন্য ধর্মের কারন তারা গলায় হাতে যা পড়া ছিলো তা দেখে মনে হয়। এখন আমি শতভাগ শিওর না হয়ে ঘৃণা বা অসম্মান  করে ফেলি এখন কি আল্লাহ পাক এর কাছে মাফ চাইলে হবে   তাদের কাছে মাফ চাইতে হবে তারা জানেনা?
closed

1 Answer

0 votes
by (605,880 points)
selected by
 
Best answer
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) অন্য ধর্মের বিষয়কে মনে মনে ঘৃণা তো করতেই হবে। তবে অন্য ধর্মকে অসম্মান করা বা গালিগালাজ করা কখনো সঠিক হবে না। এজন্য আল্লাহর ক্ষমা চেয়ে নিলেই হবে। অন্য ধর্মের কারো কাছে ক্ষমা চাইতে হবে না।

(২) প্রশ্নের বিবরণমতে গালি গালাজ, ঘৃণা বা অসম্মান করার দরকার নাই। এরকম বিশ্বাস ঠিক আছে।

(৩)ইউটিউবে যেই সমস্ত রাকির রুকইয়াহর ভিডিও আপনি দেখেছেন, সেগুলো আপনার মসজিদের ইমাম সাহেবকে দেখাবেন, উনি যদি যে পরামর্শ দিবেন, সেই পরামর্শের উপর আমল করবেন। 

(৪) প্রশ্নের বিবরণমতে আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না। 

(৫) মুসাফির অবস্থায় সুন্নাত না পড়লে গুনাহ হবে না তবে সময় সুযোগ থাকলে সুন্নত পড়াই উচিৎ।

(৬) শুধুমাত্র আল্লাহ পাকের নিকট ক্ষমা চাইলেই হবে   তাদের কাছে মাফ চাইতে হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...