আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
37 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (12 points)
আমার কাজিন রা থার্টি ফার্স্ট নাইটে বারবিকিউ করেছে। তাদের উদ্দেশ্য সেলেব্রেশন কি না জানিনা। আমি সেখানে যাই নি।  রাতে সেই চিকেন দেওয়া হলে আমি সেটা খাইনি।

 কারণ বছরের শুরুর দিকে ভালো খাবার খেলে সারাবছর ভালো যাবে এমন কুসংস্কার এর অনুকরণ হয়ে যাবে চিন্তা করে খাইনি, তার উপর তাদের এসব অনুষ্ঠানে যাতে সাপোর্ট করা না হয়ে যায় সেই নিয়তেও খাইনি।
পরদিন সকালে আমার মামি আবার আমাকে সেই চিকেন গরম করে দেন। আমি ভাবলাম যেহেতু প্রোগ্রাম শেষ এখন তাদের অনুকরণ হবেনা- এটা ভেবে খেয়ে ফেলেছি।
এখন এটা কি জায়েজ হয়েছে?
এখন থেকে বিরত থাকা ই উত্তম ছিলো?

1 Answer

0 votes
by (63,450 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/37645/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- যেকোনো ধরণের দিবস পালনে হুকুম সম্পর্কে উলামায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে। কিছু উলামায়ে কেরামগন বলেন, দিবস পালনের মূল বিষয়টি এসেছে বিধর্মীদের থেকে।  সুতরাং বলা যায় এর মূল জিনিসটিই ইসলামে প্রত্যাখ্যাত। তা যে কোনো পদ্ধতিতেই হোক। আল্লাহ তাআ’লা বলেন,

اتَّبِعُواْ مَا أُنزِلَ إِلَيْكُم مِّن رَّبِّكُمْ وَلاَ تَتَّبِعُواْ مِن دُونِهِ أَوْلِيَاء

তোমরা অনুসরণ কর, যা তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে এবং আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কোন বন্ধু বা অভিভাবকের অনুসরণ করো না। (সূরা আ’রাফ ৩)

রাসূলুল্লাহ বলেছেন, مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের অনুরূপ অবলম্বন করে, সে তাঁদেরই দলভুক্ত। (আবূ দাঊদ ৪০৩১)

অন্যান্য উলামায়ে কেরামগন বলেছেন যে শরীয়ত সম্মত পন্থায় স্বাধীনতা দিবস,বিজয় দিবস ইত্যাদি পালন জায়েজ।

তবে যেই দিবস সরাসরি ইহুদি খ্রিস্টানদের থেকেই এসেছে,যেমন ভ্যালেন্টাইন্স ডে,থার্টি ফার্স্ট নাইট,পহেলা বৈশাখ,ইত্যাদি সেগুলো কোনো ভাবেই পালন করা জায়েজ নেই।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

প্রশ্নের বিবরণ থেকে প্রবল আশংকা রয়েছে যে, উক্ত খানা নববর্ষ উপলক্ষে রান্না করা হয়েছে। বিধায়, আপনার জন্য উচিত ছিল সতর্কাতা মূলক উক্ত খানা গ্রহণ না করা। জেনে রাখা উচিত যে, নতুন বছর পালনকে উদ্দেশ্য করে যে খানা পাকানো হবে, সেই খানা খাওয়া জায়েজ হবেনা। যদি কেউ জেনে শুনে এমন খানা খায় তাহলে গুনাহ হবে, যা থেকে তাওবা করা আবশ্যক।

তবে সাধারণত নিয়ম হলো যে, যদি কেউ খাবার দিয়ে যায় তাহলে নিজে না খেয়ে কোন গরিব মানুষকে দিয়ে দিবে, যেন আল্লাহর এই রিজিকটা নষ্ট না হয়। সেই সাথে সময় ও সুযোগ অনুযায়ী বুঝাতে হবে যে, তাদের এ ধরণের কার্যক্রম নাজায়েয। পরবর্তীতে বিভিন্ন অজুহাতে আপনি তা গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন ইনশাআল্লাহ। তাদেরকে জানানো জরুরী নয় যে, আপনি তা ভক্ষণ করেননি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...