জবাবঃ-
(১)
যদি ইমাম এর ভুল হয় তাহলে ইমামের সাথে মুক্তাদিরাও সুহু সেজদা দিবে ।
সাহু সেজদার উত্তম পদ্ধতি সম্পর্কে ফুকাহায়ে কেরামদের অনেক মতবিরোধ রয়েছে,তন্মধ্যে সর্বোত্তম পদ্ধতি সম্পর্কে ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়াতে অত্যান্ত সারগর্ভ আলোচনা করা হয়েছে, নিম্নে তা উল্লেখ করা হল......
وَالصَّوَابُ أَنْ يُسَلِّمَ تَسْلِيمَةً وَاحِدَةً وَعَلَيْهِ الْجُمْهُورُ وَإِلَيْهِ أَشَارَ فِي الْأَصْلِ، كَذَا فِي الْكَافِي وَيُسَلِّمُ عَنْ يَمِينِهِ، كَذَا فِي الزَّاهِدِيِّ وَكَيْفِيَّتُهُ أَنْ يُكَبِّرَ بَعْدَ سَلَامِهِ الْأَوَّلِ وَيَخِرَّ سَاجِدًا وَيُسَبِّحَ فِي سُجُودِهِ ثُمَّ يَفْعَلَ ثَانِيًا كَذَلِكَ ثُمَّ يَتَشَهَّدَ ثَانِيًا ثُمَّ يُسَلِّمَ، كَذَا فِي الْمُحِيطِ.
وَيَأْتِي بِالصَّلَاةِ عَلَى النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -
অর্থাৎ-সেজদায়ে সাহুর সর্বোত্তম পদ্ধতি হচ্ছে, শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়ার পর এক সালাম ডানদিকে ফিরাবে, অতঃপর আল্লাহু আকবর বলে সেজদায় চলে যাবে, এবং সেথায় (নামাযের সেজদার তাসবীহের মত)তাসবীহ পাঠ করবে,এবং এভাবে দ্বিতীয় সেজদাও আদায় করবে,অতঃপর তাশাহুদ ও দরুদ শরীফ পড়ে সালাম ফিরাবে,।
2)সুহু সেজদা দেয়ার পর যদি মুক্তাদিরা বলে যে ইমাম এর কোন ভুল হইনি তাহলেও নামাযের কোন সমস্যা হবে না।
3) আপনার বন্ধু কোন সিনেমা মক্তি পেলে, কোন গেম মক্তি পেলে, ক্যাম্পাস এ ক্লাস বা পরিক্ষা শেষ হলে সবাইকে ঈদ মুবারক বলে, এটা কখনো জায়েয হবে না।
4)একাকী নামাজ আদায়ের পর যদি কেউ বের হয় তারপর হঠাৎ করে কোথাও যদি জামাত পাওয়া যায়, তাহলে সেই জামাতে নফলের নিয়তে শরীক হওয়া যাবে।
5) ৪০ জন মানুষের সংকুলান হয়,এমন মসজিদকে মসজিদে কবীর বলা হয়,নতুবা মসজিদে সগীর।যদি মসজিদ কবীর হয়,তাহলে তখন নামাযীর এক সফ পূর্বে যাতায়ত করা জায়েয রয়েছে।আর যদি মসজিদে সগীর হয়,তাহলে নামাযীর সামন দিয়ে কোনক্রমেই যাতায়ত জায়েয হবে না।বিন্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
536