আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
41 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
1.শায়েখ সার্টিফিকেটে বয়স কম তাকলে চাকরি করলে ইনকাম হালাল হবে কিনা জিঞ্জেস করেছিলাম,,,কিন্তু প্রশ্নের উত্তরে শেষে লিখেছেন ইনকাম হবে, ইনকাম হালাল বা হারাম হবে এরকম কিছুই লিখেন নি,,,যদিও আমি জানি উত্তর কি হবে,,,তাও আপনাদের কাছ থেকে ফুল কনফার্ম হওয়ার জন্য জিঞ্জেস করছি
২/ এছাড়া শায়েখ আমি আরও একটি প্রশ্ন করেছিলাম পৃথিবীর আকৃতি নিয়ে ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহর আকিদা কি ছিল,,,আপনারা প্রশ্নের উত্তর ছিয়েছিলেন কিন্তু আমি অনেক চেষ্টা করেও বুঝতে পারি নি,,না বুঝতে পারাটা আমার ব্যর্থতা,,,আমাকে শুধু এইটুকু বলে দিন যে, সে কি বিশ্বাস করতো পৃথিবী গোল না সমতল,,,গোল হলেও কীরকম গোল(থালার মতো গোল,,নাকি ফুটবলের মতো)?

1 Answer

0 votes
by (61,770 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/39894/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, শরীয়তের বিধান হলো সার্টিফিকেটে বয়স কমিয়ে লিখা জায়েয নয়,এটা স্পষ্টত ধোঁকা। আর ধোঁকা দেয়া হারাম।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/1782/  

 সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন !

১. সার্টিফিকেটে বয়স কম লেখা জায়েজ নয়, এটা ধোকা। তবে এই ধোকার কারনে উক্ত চাকুরী হারাম হবেনাকারণ, সে নির্ধারিত পরিশ্রম করেই ইনকাম করছে। প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সার্টিফিকেটে বয়স কম থাকার কারনে ইনকাম হারাম হবেনা, ইনকাম হালাল।

২. শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,

«مجموع الفتاوى» (5/ 150):

«اعلم أن ” الأرض ” قد اتفقوا على أنها كروية الشكل وهي في الماء المحيط بأكثرها؛ إذ اليابس السدس وزيادة بقليل والماء أيضا مقبب من كل جانب للأرض والماء الذي فوقها بينه وبين السماء كما بيننا وبينها مما يلي رءوسنا وليس تحت وجه الأرض إلا وسطها ونهاية التحت المركز؛ فلا يكون لنا جهة بينة إلا جهتان: العلو والسفل وإنما تختلف الجهات باختلاف الإنسان. فعلو الأرض وجهها من كل جانب. وأسفلها ما تحت وجهها – ونهاية المركز – هو الذي يسمى محط الأثقال فمن وجه الأرض والماء من كل وجهة إلى المركز يكون هبوطا ومنه إلى وجهها صعودا وإذا كانت سماء الدنيا فوق الأرض محيطة بها فالثانية كروية وكذا الباقي. والكرسي فوق الأفلاك كلها والعرش فوق الكرسي ونسبة الأفلاك وما فيها بالنسبة إلى الكرسي كحلقة في فلاة والجملة بالنسبة إلى العرش كحلقة في فلاة»[2]

আমার জানামতে পৃথিবী গোলাকৃতি হবার ব্যাপারে ঐক্যমত রয়েছে এবং এর অধিকাংশ স্থান পানি দ্বারা বেষ্টিত রয়েছে। যেহেতু এর শুষ্ক ভূমির পরিমাণ এক ষষ্ঠমাংশ বা তারও কিছুটা বেশি এবং পানি পৃথিবীর প্রত্যেক পার্শ্বকে আচ্ছাদিত করে রেখেছে। পৃথিবীর উপরে ধারণকৃত পানি যেমন পৃথিবীর পৃষ্ঠ এবং আসমানের মাঝ অবস্থানে রয়েছে, উল্লেখিতভাবে তেমনি আমরাও পৃথিবীর পৃষ্ঠ এবং আসমানের মাঝে রয়েছি। পৃথিবী পৃষ্ঠের নিচে কিছুই নেই কেবল এর কেন্দ্রস্থল এবং কেন্দ্রের নিম্নাংশ ছাড়া। আমাদের নিকট দুইটি দিক ব্যতীত স্পষ্ট দিক নেই, তা হলো উপর এবং নিচের দিক (যেহেতু আমরা আসমান এবং পৃথিবী পৃষ্ঠের মাঝে রয়েছি সে অনুযায়ী)। মানুষ পৃথিবীর পৃষ্ঠকে ঘুরে দেখেছে। এর পৃষ্ঠের নিচে রয়েছে এর কেন্দ্রস্থল এবং এর কেন্দ্রস্থলের মধ্যভাগ রয়েছে যা ভরকেন্দ্র নামে অভিহিত। তাই পৃথিবীর পৃষ্ঠ এবং পৃষ্ঠকে ঘিরে বেষ্টিত পানি থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত অংশ হচ্ছে অবতল আর কেন্দ্র থেকে পৃষ্ঠের উপরাংশ হচ্ছে উত্তল। যদি আসমান মহাবিশ্বের উপরে থেকে পৃথিবীকে বেষ্টিতে করে রাখে তবে দ্বিতীয় বস্তু তথা পৃথিবী গোলাকৃতি হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...