জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
الْحُمَيْدِيُّ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ قَالَ سَأَلْتُ الزُّهْرِيَّ أَيُّ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم اسْتَعَاذَتْ مِنْه“ قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ ابْنَةَ الْجَوْنِ لَمَّا أُدْخِلَتْ عَلٰى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَدَنَا مِنْهَا قَالَتْ أَعُوذُ بِاللهِ مِنْكَ فَقَالَ لَهَا لَقَدْ عُذْتِ بِعَظِيمٍ الْحَقِي بِأَهْلِكِ. قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ رَوَاه“ حَجَّاجُ بْنُ أَبِي مَنِيعٍ عَنْ جَدِّه„ عَنْ الزُّهْرِيِّ أَنَّ عُرْوَةَ أَخْبَرَه“ أَنَّ عَائِشَةَ قَالَتْ
আওযা‘ঈ (রহ.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি যুহরী (রহ.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোন্ সহধর্মিণী তাঁর থেকে মুক্তি প্রার্থনা করেছিল? উত্তরে তিন বললেনঃ ‘উরওয়াহ (রহ.) ‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, জাওনের কন্যাকে যখন রাসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামএর নিকট একটি ঘরে) পাঠানো হল আর তিনি তার নিকটবর্তী হলেন, তখন সে বলল, আমি আপনার থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি তো এক মহামহিমের কাছে পানাহ চেয়েছ। তুমি তোমার পরিবারের কাছে গিয়ে মিলিত হও।
আবূ ‘আবদুল্লাহ ইমাম বুখারী) (রহ.) বলেনঃ হাদীসটি হাজ্জাজ ইব্ন আবূ মানী’ও তাঁর পিতামহ থেকে, তিনি যুহরী থেকে, তিনি ’উরওয়াহ থেকে এবং তিনি ‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। (বুখারী শরীফ ৫২৫৪, আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৬৪)
أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ قَالَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ قَالَ حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ قَالَ سَأَلْتُ الزُّهْرِيَّ عَنْ الَّتِي اسْتَعَاذَتْ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ الْكِلَابِيَّةَ لَمَّا دَخَلَتْ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْكَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقَدْ عُذْتِ بِعَظِيمٍ الْحَقِي بِأَهْلِكِ
হুসায়ন ইবন হুরায়াছ (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) বলেনঃ কিলাবিয়া গোত্রের মহিলাটি যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললোঃ আমি আল্লাহর নিকট আপনার থেকে পানাহ চাই। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি এক মহান সত্তার আশ্রয় গ্রহণ করেছ। তুমি তোমার পরিজনের সাথে মিলিত হও।
(নাসাঈ ৩৪২১)
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْمِقْدَامِ أَبُو الْأَشْعَثِ الْعِجْلِيُّ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ الْقَاسِمِ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ عَمْرَةَ بِنْتَ الْجَوْنِ تَعَوَّذَتْ مِنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ أُدْخِلَتْ عَلَيْهِ فَقَالَ لَقَدْ عُذْتِ بِمُعَاذٍ فَطَلَّقَهَا وَأَمَرَ أُسَامَةَ أَوْ أَنَسًا فَمَتَّعَهَا بِثَلَاثَةِ أَثْوَابٍ رَازِقِيَّةٍ
’আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। জাওন-কন্যা ’আমরাকে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট পেশ করা হলে সে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে (আল্লাহর) আশ্রয় প্রার্থনা করে। তিনি বলেনঃ তুমি এক মহান সত্তার নিকটই আশ্রয় প্রার্থনা করেছো। অতঃপর তিনি তাকে তালাক দিলেন এবং উসামাহ অথবা আনাস (রাঃ)-কে নির্দেশ দিলে তদনুযায়ী তিনি তাকে (উপঢৌকনস্বরূপ) তিনখানা সাদা লম্বা কাপড় দেন।
(ইবনে মাজাহ ২০৩৭)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আসমা বিনতে নু’মান কিন্দিয়া।
এই মহিলাকে বিয়ে করার পর সে নিজেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে (আল্লাহর) আশ্রয় প্রার্থনা করে।
সে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গমন করতে চায়না,বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে চায়,সে নিজেই বৈবাহিক সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ রাখয়ে চায়নি,এই জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে তালাক দিয়েছিলেন।এমনটিই একাধিক হাদীসে আছে।
এর দরুন প্রশ্নে উল্লেখিত অপবাদ রাসুলুল্লাহ সাঃ এর উপর লাগানো ঠিক নয়।
উক্ত নারীর শরীরে শ্বেত বা কুষ্ঠ রোগ ছিলো,সে তার শরীরে চর্মরোগের জন্য নবীগৃহ হতে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন,এমন তথ্য কুরআন হাদীসের কোথাও নেই।