আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
38 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (15 points)

এছাড়া দু’জনের সাথে তাঁর দাম্পত্য জীবন যাপন করা সম্ভব হয়নি হয়নি। একজন আসমা বিনতে নু’মান কিন্দিয়া। এই মহিলাকে বিয়ে করার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে শ্বেত বা কুষ্ঠ আক্রান্ত পান। তাই তাকে উপঢৌকন দিয়ে তার পরিবার-পরিজনের কাছে ফেরত পাঠিয়ে দেন। অপরজন... [সীরাতে ইবনে হিশাম, ১৪২. রাসূলুল্লাহর (সা) স্ত্রীগণ বা উম্মুহাতুল মুমিনীনের বিবরণ ]

 

রাসুল (স.) এমন করলেন কেন? একদল বলে -
একজন নারী তার শরীরে চর্মরোগের জন্য বিনাদোষে নবীগৃহ হতে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন। দোজাহানের দয়াল নবীজি অসংক্রামক শ্বেত বা ধবল রোগাক্রান্ত এই নারীর প্রতি মোটেও দয়াপরবশ হতে পারেন নাই। [নাউজুবিল্লাহ]

1 Answer

–1 vote
by (579,240 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

الْحُمَيْدِيُّ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ قَالَ سَأَلْتُ الزُّهْرِيَّ أَيُّ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم اسْتَعَاذَتْ مِنْه“ قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ ابْنَةَ الْجَوْنِ لَمَّا أُدْخِلَتْ عَلٰى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَدَنَا مِنْهَا قَالَتْ أَعُوذُ بِاللهِ مِنْكَ فَقَالَ لَهَا لَقَدْ عُذْتِ بِعَظِيمٍ الْحَقِي بِأَهْلِكِ. قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ رَوَاه“ حَجَّاجُ بْنُ أَبِي مَنِيعٍ عَنْ جَدِّه„ عَنْ الزُّهْرِيِّ أَنَّ عُرْوَةَ أَخْبَرَه“ أَنَّ عَائِشَةَ قَالَتْ

আওযা‘ঈ (রহ.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি যুহরী (রহ.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোন্ সহধর্মিণী তাঁর থেকে মুক্তি প্রার্থনা করেছিল? উত্তরে তিন বললেনঃ ‘উরওয়াহ (রহ.) ‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, জাওনের কন্যাকে যখন রাসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামএর নিকট একটি ঘরে) পাঠানো হল আর তিনি তার নিকটবর্তী হলেন, তখন সে বলল, আমি আপনার থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি তো এক মহামহিমের কাছে পানাহ চেয়েছ। তুমি তোমার পরিবারের কাছে গিয়ে মিলিত হও।

আবূ ‘আবদুল্লাহ ইমাম বুখারী) (রহ.) বলেনঃ হাদীসটি হাজ্জাজ ইব্ন আবূ মানী’ও তাঁর পিতামহ থেকে, তিনি যুহরী থেকে, তিনি ’উরওয়াহ থেকে এবং তিনি ‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। (বুখারী শরীফ ৫২৫৪, আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৬৪)

أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ قَالَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ قَالَ حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ قَالَ سَأَلْتُ الزُّهْرِيَّ عَنْ الَّتِي اسْتَعَاذَتْ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ الْكِلَابِيَّةَ لَمَّا دَخَلَتْ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْكَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقَدْ عُذْتِ بِعَظِيمٍ الْحَقِي بِأَهْلِكِ 

হুসায়ন ইবন হুরায়াছ (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) বলেনঃ কিলাবিয়া গোত্রের মহিলাটি যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললোঃ আমি আল্লাহর নিকট আপনার থেকে পানাহ চাই। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি এক মহান সত্তার আশ্রয় গ্রহণ করেছ। তুমি তোমার পরিজনের সাথে মিলিত হও।
(নাসাঈ ৩৪২১)

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْمِقْدَامِ أَبُو الْأَشْعَثِ الْعِجْلِيُّ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ الْقَاسِمِ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ عَمْرَةَ بِنْتَ الْجَوْنِ تَعَوَّذَتْ مِنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ أُدْخِلَتْ عَلَيْهِ فَقَالَ لَقَدْ عُذْتِ بِمُعَاذٍ فَطَلَّقَهَا وَأَمَرَ أُسَامَةَ أَوْ أَنَسًا فَمَتَّعَهَا بِثَلَاثَةِ أَثْوَابٍ رَازِقِيَّةٍ

’আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। জাওন-কন্যা ’আমরাকে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট পেশ করা হলে সে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে (আল্লাহর) আশ্রয় প্রার্থনা করে। তিনি বলেনঃ তুমি এক মহান সত্তার নিকটই আশ্রয় প্রার্থনা করেছো। অতঃপর তিনি তাকে তালাক দিলেন এবং উসামাহ অথবা আনাস (রাঃ)-কে নির্দেশ দিলে তদনুযায়ী তিনি তাকে (উপঢৌকনস্বরূপ) তিনখানা সাদা লম্বা কাপড় দেন।
(ইবনে মাজাহ ২০৩৭)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আসমা বিনতে নু’মান কিন্দিয়া।
এই মহিলাকে বিয়ে করার পর সে নিজেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে (আল্লাহর) আশ্রয় প্রার্থনা করে। 
সে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গমন করতে চায়না,বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে চায়,সে নিজেই বৈবাহিক সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ রাখয়ে চায়নি,এই জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে তালাক দিয়েছিলেন।এমনটিই একাধিক হাদীসে আছে। 

এর দরুন প্রশ্নে উল্লেখিত অপবাদ রাসুলুল্লাহ সাঃ এর উপর লাগানো ঠিক নয়।

উক্ত নারীর শরীরে শ্বেত বা কুষ্ঠ রোগ ছিলো,সে তার শরীরে চর্মরোগের জন্য নবীগৃহ হতে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন,এমন তথ্য কুরআন হাদীসের কোথাও নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
এটা কি ছিল !! আপনি যার কথা বলছেন, তিনি হলেন উমাইমা বিনতু শারাহীল! [সহিহ বুখারি, ৫২৫৫] আর আমি এখানে আসমা বিনতে নু’মান কিন্দিয়ার ঘটনা বলেছি। সিরাতে এভাবে এসেছে- 
"আসমা বিনতে নু’মান কিন্দিয়া। এই মহিলাকে বিয়ে করার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে শ্বেত বা কুষ্ঠ আক্রান্ত পান। তাই তাকে উপঢৌকন দিয়ে তার পরিবার-পরিজনের কাছে ফেরত পাঠিয়ে দেন।" 
by (579,240 points)
হাদীসে যে মহিলাটির ঘটনা এসেছে,তার নাম নিয়ে ইখতিলাফ রয়েছে।ইমাম বুখারী রহঃ যদিও তাকে উমাইমা বিনতে নু'মান বিন শারাহীল বলে উল্লেখ করেছেন।

তবে অনেকে তাকে আসমা বিনতে নু’মান কিন্দিয়া বলে উল্লেখ করেছেন।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...