আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
47 views
in সালাত(Prayer) by (5 points)

 আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ ,

সালাত পড়ার  ক্ষেত্রে মাটিতে সালাত আদায় করলে তো মাটি পাক থাকতে হয়। এক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায়, বাসায় রুমের ভিতর বাথরুম থাকার কারনে, কেউ বাথরুম থেকে বের হয়ে, পা না ধুইয়েই ফ্লোর এ হাঁটে । অনেকবার বলার পরে ও তা সংশোধন করা যায় না। এজন্য অন্য রুমে একটি কাঠের তৈরি খাটের উপর সালাত আদায় করি , ঐ খাটের উপর কোনো তোশকজাতীয় কোনো কিছু নেই। সিজদার সময় মাথা কাঠের উপরেই পড়ে। 

একটা হাদিস পড়াহয়েছিলো, কিছুটা এরকম যে, রাসুল(সা:) এক অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে গিয়েছিলেন, উনার (সা:) সামনে ঐ অসুস্থ ব্যক্তি বালিশে সিজদা করলে তিনিঁ সা:) বালিশটি সরিয়ে দেন , আবার কাঠের উপর সিজদা করলে , তাও সরিয়ে দেন ।"

 তাহলে কাঠের উপর সিজদা করা রাসূল (সা:) কি অপছন্দ করতেন?  

এখন আমার প্রশ্ন হলো , মাটিতে সালাত পড়ার সুযোগ আছে , তবে ঐযে বাথরুম থেকে বের হয়ে; পা না ধুইয়েই হাঁটাহাটি করে, এজন্য সন্দেহ হয় , যে তার পায়ে প্রস্রাব বা ইত্যাদি নাপাকি লেগে আছে কিনা , আবার বারবার বলার পরে ও ঠিক হয়না । বিষয় টা বিশৃঙ্খলার দিকে চলে যাওয়ার আশঙ্কা হয়। তাই কাঠের তৈরি খাটের উপর সালাত পড়ি, এতে সালাতের কি কোনো রকম  ক্ষতি হবে? 

একটু তাড়াতাড়ি জানালে উপকৃত  হতাম। মিন ফাদ্বলিক ।

1 Answer

0 votes
by (63,420 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম 

জবাব:-

হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,

عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : أُمِرْتُ أَنْ أَسْجُدَ عَلَى سَبْعَةِ أَعْظُمٍ : الْجَبْهَةِ ، وَأَشَارَ بِيَدِهِ عَلَى أَنْفِهِ ، وَالْيَدَيْنِ ، وَالرِّجْلَيْنِ ، وَأَطْرَافِ الْقَدَمَيْنِ ، وَلَا نَكْفِتَ الثِّيَابَ وَلَا الشَّعْرَ

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,আমাকে সাতটি হাড্ডি দ্বারা সিজদা করতে আদেশ প্রদান করা হয়েছে।কপাল,নাক,দুনু হাত,দুনু পা,এবং দুনু পায়ের আশপাশ দ্বারা।এবং এগুলোকে কাপড় বা চুল দ্বারা না মুড়ানোর নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।(সহীহ বোখারী-৮১২,সহীহ মুসলিম-৪৯০)

কম্বল, তোশক, গদি বা এ জাতীয় নরম বিছানায় নামাজ পড়া নিষেধ নয়, তবে সেজদা করার সময় কপাল ও নাক ভালোভাবে লাগাতে হবে, যাতে শক্ত অনুভব হয়। আর যদি সেজদার স্থানটা এতটা তুলতুলে নরম হয় যে, সেজদার সময় চাপ পড়লে মোটেও শক্ত অনুভব হয় না এবং কপালকে চাপ দিয়ে স্থিরভাবে লাগানো যায় না তাহলে তাতে সেজদা করা বৈধ হবে না। সে ক্ষেত্রে এমন স্থানে সেজদা করতে হবে যেন, নাক ও কপালকে ভালোভাবে স্থির রেখে সেজদা করা যায় বা সেজদার স্থানে শক্ত কিছু দিয়ে তার উপর সেজদা করতে হবে। কেননা রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

وَإِذَا سَجَدْتَ فَأَمْكِنْ جَبْهَتَكَ مِنَ الأَرْضِ، حَتَّى تَجِدَ حَجْمَ الأَرْضِ

যখন তুমি সেজদা করবে তখন কপাল ভালোভাবে জমিনের সঙ্গে লাগাবে, যাতে করে জমিনের কাঠিন্য অনুভব হয়। (মুসনাদে আহমাদ ২৬০৪)

ولو سجد على الحشيش أو التين أو على القطن أو الطنفسة أو الثلج إن إن استقرت جبهته وأنفه ويجد حجمه يجوز، وإن لم تستقر لا

‘কোনো ব্যক্তি যদি ঘাস ভুষি তুলা ফোম বা বরফের উপর সেজদা করে এবং তার কপাল নাক তাতে ঠেকে যায় সাথে সাথে শক্ত অনুভব করে তাহলে তার সেজদা হবে। আর শক্ত অনুভব না করলে সেজদা হবে না।’ (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া ১/৭৭)

(রদ্দুল মুহতার : ১/৪৫৪, মাজমাউল আনহুর : ১/১৪৮, আহসানুল ফাতাওয়া : ৩/৪৩২, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ৩/৩৫৩)


প্রশ্নকারী সম্মানিত দ্বীনি ভাই /বোন!

প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে খাটের উপর নামাজ পড়া জায়েজ আছে। কারণ, আপনি সরাসরি পবিত্র কাঠের উপর সাজদাহ করছেন। সুতরাং আপনার নামাজ সহিহ হবে ইনশাআল্লাহ। তবে হাদীসে বসে নামাজ আদায়ের সময় মাথা না ঝুকিয়ে কাঠ বা বালিশ মাথার সাথে স্পর্শ করতে হাদীসে নিষেধ করা হয়েছে। সুতরাং আপনার নামাজের সাথে উপরোক্ত হাদীসের সংশ্লিষ্টতা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (5 points)
edited by
উস্তায যদি কখনো ঐ সন্দেহযুক্ত মাটিতে মোটা কাপড় বা জায়নামাজ বিছিয়ে  সালাত পড়ি, তাহলে কি সালাত হবে না?  

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...