আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
33 views
in পবিত্রতা (Purity) by (48 points)
আসসালামু আলাইকুম, আমার ২য়  বাচ্চার সিজারের সময়ে নিফাসের পর কিছুদিন পর পরই ইস্তিহাজা হয়েছিল তখন ফাওয়ায়ে বলেছিল ১০দিন পিরিয়ড ধরতে পরের ১৫ দিন ইস্তিহাজা ধরে এভাবে হিসাব করতে।

এই বারও নিফাসের পর থেকে কিছু দিন পর পর অফ থেকে থেকে ব্লিডিং হচ্ছে। কয়েকদিন আগে টানা ডিপ ব্লিডিং হল ৬ দিনের মত এখন আবার ২৫ তারিখ এশার নামাজ পড়ার সময়ে ২ ফোঁটা ব্লিডিং হল। কারন, নড়াচড়া লাগলে ব্লিডিং হয়। নামাজে উঠাবসায়, সিজদা দেওয়া হয়। বেশিরভাগ ওই সময়েই ব্লিডিং হয় কয় ফোঁটা। তো ২৫ তারিখ থেকে আমার আবার হায়েজের সময়ে গননার মধ্যে শুরু। তো ওই কয়েক ফোঁটা ব্লিডিং হয়ে পরে আর আজ সকাল পর্যন্ত হয়নি। (ব্লিডিং কিন্তু কয়েকদিন আগেই ইস্তিহাহাজার সময়ে হয়ে গেছে। তবুও ৩ দিন পর আবারও একটু আসল)
এখন হায়েজের সময় শুরুতে ব্লিডিং দেখে আমি ফজর পড়িনি। কিন্তু সকাল ১১টা পর্যন্ত আর দেখিনি। এরকম হলে আমি কিভাবে সালাতের টাইম বুঝব?

(১) ২৫ তারিখ থেকে ১০ দিন ১০ রাতের মধ্যেই তো হায়েজের টাইম। এখন এই ১০ দিন ১০ রাতের ভেতরে শুরুর দিকে ব্লিডিং দেখলাম মাঝখানে ৩ দিনের ভেতরে আর দেখলাম না। কিন্তু ১০ দিনের মধ্যেই হল আবার তাহলে কি সেটা শুরুর সময় থেকেই হায়েজ কাউন্ট হবে?

হায়েজের সর্বনিম্ন সময় না ৩দিন ৩রাত?
তাহলে ৩ দিন ৩ রাতের ভিতরে ব্লিডিং নাহলে কি হায়েজ ধর্তব্য হবে? নাকি ৩ দিন ৩ রাতের ভেতরে ব্লিডিং না হয়ে ১০ দিন ১০ রাতের ভেতরে ব্লিডিং হলেই সেই ১০ দিনই হায়েজের অন্তর্ভুক্ত হবে?

(২) উপরোক্ত ওই হালতেই, আমি যদি এখন ইস্তিহাজা ভেবে যুহরের নামাজ পড়ি তাহলে কি আমাকে ফরজ গোসল করতে পড়তে হবে?

(৩) দুই হায়েজের মধ্যবর্তী সময় তো মিনিমাম ১৫  দিন। এখন সেই হিসেবে কারো হায়েজ শুরুর মিনিমাম সময় ২৫ তারিখ হলে। ২৫ তারিখের আগেই ইস্তিহাজা ৭দিন হয়ে গেলে তাহলে হায়েজের তারিখ কি পরিবর্তন হবে? নাকি পরবর্তীতে কয়েকদিন পর আবারও সেই ২৫ তারিখের সময়ে হায়েজ হলে সেই সময়টাই হায়েজের সময় হবে?

1 Answer

0 votes
by (579,240 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।    
হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
,
আরো জানুনঃ   

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছেঃ-

কয়েকদিন আগে টানা ডিপ ব্লিডিং হল ৬ দিনের মত এখন আবার ২৫ তারিখ এশার নামাজ পড়ার সময়ে ২ ফোঁটা ব্লিডিং হল। 

কয়েকদিন আগে যে আপনার ব্লিডিং বন্ধ হয়েছে,ব্লিডিং বন্ধ হওয়ার পরদিন থেকে হিসাব করে ২৫ তারিখ ইশার নামাজ পর্যন্ত ১৫ দিন ১৫ রাত অতিবাহিত না হয়ে থাকলে ২৫ তারিখ হতে আসা রক্তটি হায়েজ নয়।
এটি ইস্তিহাজা।

আর যদি পূর্বের সেই ব্লিডিং বন্ধ হওয়ার পরদিন থেকে হিসাব করে ২৫ তারিখ ইশার নামাজ পর্যন্ত ১৫ দিন ১৫ রাত অতিবাহিত  হয়ে থাকে,১৬ তম দিনে এসে পড়ে,সেক্ষেত্রে  ২৫ তারিখে যে রক্ত এসেছে,এটিও তো পরবর্তীতে আর আসেনি,সুতরাং ২৫ তারিখে  আসা রক্তটি হায়েজ নয়।

হ্যাঁ যদি এক্ষেত্রে ২৫ তারিখ হতে ১০ দিনের মাথায় আবারো ব্লিডিং হয়,সেক্ষেত্রে ২৫ তারিখ ইশার ওয়াক্ত হতে হায়েজ ধরবেন। 

(০২)
যেহেতু আর ব্লিডিং হয়নি,সুতরাং এমতাবস্থায় জোহরের নামাজ আদায় করলে ফরজ গোসল করতে হবেনা।

(০৩)
২৫ তারিখের আগেই ইস্তিহাজা ৭দিন হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে ২৫ তারিখ হতেও ব্লিডিং দেখা গেলে আর পূর্বের যে হায়েজ বন্ধ হয়েছে,হায়েজ বন্ধ হওয়ার পরদিন থেকে হিসাব করে ২৫ তারিখ পর্যন্ত ১৫ দিন ১৫ রাত অতিবাহিত হয়ে ১৬ তম দিন বা তার বেশি দিন হয়ে থাকলে ২৫ তারিখ হতে আসা রক্তটি হায়েজ।

★আর যদি প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ২৫ তারিখ হতে ব্লিডিং দেখা না যায়,বা ২৫ তারিখে ব্লিডিং দেখে গেলেও পূর্বের যে হায়েজ বন্ধ হয়েছে,হায়েজ বন্ধ হওয়ার পরদিন থেকে হিসাব করে ২৫ তারিখ পর্যন্ত ১৫ দিন ১৫ রাত অতিবাহিত হয়ে ১৬ তম দিন বা তার বেশি দিন না হয়ে থাকলে ২৫ তারিখ হতে আসা রক্তটি হায়েজ নয়, বরং ইস্তিহাজা।

★পূর্বের যে হায়েজ বন্ধ হয়েছে,হায়েজ বন্ধ হওয়ার পরদিন থেকে হিসাব করে ২৫ তারিখ পর্যন্ত ১৫ দিন ১৫ রাত অতিবাহিত হয়ে ১৬ তম দিন বা তার বেশি দিন হয়ে থাকলে ২৫ তারিখ হতে আসা রক্তটি হায়েজ,তবে এটি যদি ৩ দিন ৩ রাত ধরে না আসে,অথবা ১০ দিনের মাথায় আর না আসলে সেক্ষেত্রেও এটি ইস্তিহাজা।

৩ দিন ৩ রাত ধরে আসলে,অথবা ১০ দিনের মাথায় আবারো আসলে সেক্ষেত্রে এটি হায়েজ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (48 points)
আসসালামু আলাইকুম, শাইখ একটু কষ্ট করে এটা দেখবেন প্লিজ শাইখ ইনশাআল্লাহ। আফওয়ান আসলে।


আমার হায়েজ শেষ হয়েছিল ১০ তারিখে, তারমানে পরবর্তী হায়েজের আগে তুহুর ১৫ দিন মিনিমাম থাকলে পরবর্তী হায়েজের ডেট হবে ২৫ তারিখের পর থেকে। তো এই তুহুর এর মাঝেই আমার ৬/৭ দিন ইস্তিহাজা হয়ে গেল। এখন এই ইস্তিহাজা তো কাউন্ট করা হবেনা তাইনা শাইখ? আমার ২৫ তারিখ থেকেই ব্লিডিং হলে তখনই তো হায়েজ কাউন্ট করা হবে।

এখন আমি যেটা বলতে চাচ্ছি। ২৫ তারিখে আমার সামান্য একটু ব্লিডিং হয়েছিল পরে এই পর্যন্ত আর হয়নি। এই ব্লিডিং হয়েজ হতে হলে তা পর পর ৩ দিন ধরে হতে হবেনা? পর পর?  আমি নামাজ+ সবকিছু ই কন্টিনিউ করেছি। যদি পরপর ৩ দিন না ধরা হয়, বরঞ্চ ২৫ তারিখ থেকে একদমই আর কোন ব্লিডিং না হয়ে একদম পরবর্তী ৯ম/ ১০ম দিনে একটু ব্লিডিং হলে বা বেশি ব্লিডিং হলে তবুও কি এটা হায়েজ হবে? । এটা বুঝিনি আমি। মাঝখানে এতদিন হলনা। পরপর ৩ দিনও হলনা। প্রথমদিন একটু আর শেষের দিন একটু ব্লিডিং হলেই সেটা হায়েজ হয়ে যাবে?। মানে এই কারনেই বলছি আমার তো ১০দিন এখনো শেষ হয়নি। আগামী মাসের ৫ তারিখে শেষ হবে( ইনশা আল্লাহ)। তা আমার তো ওই ২৫ তারিখে এশার পরে ব্লিডিং ২ ফোঁটা হয়ে পরে তো এখনো আর হয়নি ব্লিডিং। কিন্তু আগামী মাসের ৫ তারিখ থেকে বা নাহয় ৫ তারিখে ২ দিন আগে থেকেও আবারো ব্লিডিং হলে তা যদি হায়েজই হয় তাহলে আমি যে নামাজ পড়লাম + ইন্টিমেসি হল এগুলো গোনাহ হবেনা?


(২) ৫ তারিখে পর থেকে অর্থাৎ ৬ তারিখ থেকে তো পরবর্তী ১৫ দিন আমার আবারো তুহুর টাইম থাকবে। কিন্তু ২৫ তারিখ টু ৫তারিখের এই পুরোটা সময়কেই যদি হায়েজ ধরা হয়। তাহলে ৫ তারিখ ব্লিডিং শুরু হয়ে পরবর্তী তুহুর টাইমের ভিতরে তো ৭/৮ দিন তো আবারো ডিপ ব্লিডিং থাকবে তাহলে সেই ব্লিডিং এ তো আবারো সালাত পড়তে হবে? ডিপ ব্লিডিং সালাত পড়া আর পবিত্রতা মেইনটেইন করাই তো কষ্ট। 
এটা একটু জানাবেন ইনশা আল্লাহ। 
by (579,240 points)
১০ তারিখে হায়েজ বন্ধ হয়ে থাকলে তার পরবর্তী দিন অর্থাৎ ১১ তারিখ থেকে হিসাব করলে ২৫ তারিখ তো ১৫ তম দিন হয়।

২৫ তারিখে ব্লিডিং হলে সেটি পবিত্রতার দিনের মধ্যে হওয়ায় সেটি হায়েজ নয়।

বরং তাহা ইস্তেহাজা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...