আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
26 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম।
আমার বোন এর শ্বশুর পীর ছিলেন।।এখন উনার বড় ছেলে মানে আমার বোনের ভাসুর পীর।।তারা মারফতি এ বিশ্বাসী।।বোনের বিয়ের সময় আমরা এগুলো বুঝতে পারিনি।।আমরা হানাফি আর কওমী ফলো করি।।এখন বিভিন্ন সময় আমার বোনের তাদের কাজ গুলো মেনে নিতে অনেক প্রব্লেম হয়।।উনারা আল্লাহ ও নবীজি কে মানেন সাথে তাদের বাবাকে ওলি বলেন আর তারা উনার মর্শিদ।।যেমন:রমযানে ইফতার রেডি করার পর প্রথম এই কিছু অনংশ বাবার কবরে নিয়ে রেখে আসেন এবং বিশ্বাস করেন বাবা সেগুলো খান।।আমার বোন এগুলো থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করে তাদের মনে আঘাত না দিয়ে।আমার বোন মাঝে মাঝে ট্রাই করে দুলাভাই কে কিছু বুঝানোর কিন্তু তিনি উলটো রেগে যান এবং উনার বাবাকে অপমান করা হচ্ছে বলেন।।তাই ও চুপ ই থাকে।।

১।এখন আমার প্রশ্ন হল আমার বোন কি ওর ভাসুর এর দেওয়া পানি পড়া বা এই সংক্রান্ত কিছু ব্যবহার করতে পারবে?ওর হাজবেন্ড অকে বলতেছেন ভাই এর কাছ থেকে পানি পড়া এনে দিবেন।।ও যদি না বলে তাহলে উনি বিষয়টা খারাপ ভাবে নিবেন।

২।আর আমার বোন জামাইরা কি মুশরিক
৩।আমার বোন এই বিষয় গুলো কিভানে হ্যন্ডেল করবে একটু পরামর্শ দিবেন

1 Answer

0 votes
by (602,250 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনি এবং আপনার বোন তথা আপনারা সবাই তাদেরকে হেকমত ও প্রজ্ঞার সাথে বুঝানোর এবং দাওয়াত প্রদানের চেষ্টা করুন। 
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ 
ﺍﺩْﻉُ ﺇِﻟِﻰ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺭَﺑِّﻚَ ﺑِﺎﻟْﺤِﻜْﻤَﺔِ ﻭَﺍﻟْﻤَﻮْﻋِﻈَﺔِ ﺍﻟْﺤَﺴَﻨَﺔِ ﻭَﺟَﺎﺩِﻟْﻬُﻢ ﺑِﺎﻟَّﺘِﻲ ﻫِﻲَ ﺃَﺣْﺴَﻦُ ﺇِﻥَّ ﺭَﺑَّﻚَ ﻫُﻮَ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺑِﻤَﻦ ﺿَﻞَّ ﻋَﻦ ﺳَﺒِﻴﻠِﻪِ ﻭَﻫُﻮَ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺑِﺎﻟْﻤُﻬْﺘَﺪِﻳﻦَ
আপন পালনকর্তার পথের প্রতি আহবান করুন হেকমত তথা জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও নরমভাবে উপদেশ শুনিয়ে, এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন পছন্দ যুক্ত পন্থায়। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তাই ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জ্ঞাত রয়েছেন, যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে এবং তিনিই ভাল জানেন তাদেরকে, যারা সঠিক পথে আছে।(সূরা নাহল-১২৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) আপনার ভাসুর কি পড়ে ফু দিচ্ছেন, সেটা যেহেতু পরিস্কার নয়। তাছাড়া তাদের আকিদাও সন্দেহপূর্ণ, তাই তার ফু দেওয়া পানি ব্যবহার না করাই নিরাপদ।
আর শিরকি কোনো কালেমা পাঠ করে ফু দিলে তো তখন নাজায়েযই হবে।

(২) আপনার বোন জামাই ও তার পরিবারের আকিদাতে যদি শিরকি কিছু থাকে, যেমন, তারা মৃতব্যক্তিকে ভাল মন্দ নির্ধারণের ক্ষমতাবান মনে করে, মৃত ব্যক্তি যে খাবার খায়,সেটা তারা নিশ্চিতভাবে মনে করে, তাহলে তাদের আকিদাতে অবশ্যই শিরক বিদ্যমান রয়েছে। 

(৩) আপনি এবং বোন হেকমতের সাথে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...