আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
22 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)

আসসালামু আলাইকুম,

নিচের বিষয়গুলোর ব্যাপারে ইসলাম কি বলে জানালে উপকৃত হবো, ইনশাআল্লাহ- 

১। কোন মুসলিম জেনেশুনে মিথ্যা বলে এবং অন্যদের কাছে সেই মিথ্যা ছড়িয়ে যদি কারো সংসার ভেঙ্গে দেয়, এবং সত্যি জানার পরেও আরও কিছু বাক্তি ঐ মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করতে যদি মিথ্যা এবং ঐ মিথ্যা বলা বাক্তিকে সমর্থন দেয় , তাহলে ঐ মুসলিমদের (নিশ্চিত হওয়ার পর যে সে/ তারা স্বেচ্ছায় এটা করেছে) উপর "আল্লাহর লানত বর্ষিত হোক, বা এর কারনে হওয়া ক্ষতি আল্লাহ তার উপর ফিরায় দিক যদি সে হিদায়েত এর যোগ্য না হয় বা অনুশোচিত না হয়- এমন টা যদি ক্ষতিগ্রস্থ বাক্তি বলে, তাহলে কি সে গুনাহগার হবে

২। "অর্থগত দিক থেকে ক্রিসমাস শব্দটিই একটি শিরকি শব্দ। কারণ শব্দটির অর্থ “প্রভুর জন্মদিন বা প্রভুর পুত্রের জন্ম দিন।” নাউযু বিল্লাহ মিন যালিক, মহান আল্লাহ এ থেকে পুত পবিত্র।"  - আমি অর্থ টি জানতাম না, দেশের বাইরে প্রতি সপ্তাহেই কোন না কোন উপলক্ষে বাজারে ছাড় দেয়, তো এখানে শীতে অনেক বরফ পরে, বিধায় ছাড় থাকলে কিনে রাখতে চেষ্টা করি।গত এক সপ্তাহ ধরে ২৫ ডিসেম্বর কে সামনে রেখে ছাড় থাকায় অনেক বাজার করা হয়, আলহামদুলিল্লাহ।আমার রুমমেট (অমুসলিম) সামনে থাকায়, বলি "ক্রিসমাস" উচ্চারন করে বলি, এ উপলক্ষে ছাড় ছিল, তাই অনেক বাজার করা হয়ে গেছে। এটা উচ্চারন করায়, বা এই উপলক্ষে ছাড় থাকায় যে কেনাকাটা করেছি, এতে কি আমার গুনাহ হয়েছে?

৩। সুন্নাত নামাজে সিজদাহ থেকে উঠে বসার সময় "আল্লাহু আকবার" না বলে ভুলে, "সামি আল্লাহুলিমান হামিদাহ" বলে, মনে পরায় আবার "আল্লাহু আকবার" বললে, বা না বললে কি ৪ রাকাত সুন্নত আবার আদায় করতে হবে?

৪। অমুসলিম কোন রুমমেট বাসা ছেড়ে চলে যাওয়ার সময়, যদি বলে আমার কিছু খাবার (তেল, চিনি, লবন, সবজি) এসব আছে, তোমার লাগলে নাও, যদিও নেইনি কারন আলহামদুলিল্লাহ আমার নিজের সবকিছু আছে, কিন্তু যদি নিতাম ত আমার কি গুনাহ হত, কারন ও যেই অর্থ দিয়ে কিনেছে, সেটা হালাল/ হারাম যেহেতু জানিনা, তাই যদি নিতাম তাহলে কি গুনাহ হতো? 

৫। কারো বাসার গ্যারাজে সব ফ্ল্যাট এর গ্যাস এর সিলিন্ডার রাখা থাকে, তো কার কোনটা উল্লেখ করা না থাকায় অন্ন কেউ আমাদের সিলিন্ডার (প্রায় শেষের দিকে ছিল) খুলে তাদের নতুন কেনা তা লাগায়, এখন আমাদের তা আর কয়দিন যেতো সেটা আমরা জানিনা, আর যিনি করেছেন তিনিও কাউকে জিজ্ঞেস করেননাই, তো বাসার ম্যানেজার বলছে যেহেতু উনাদের তা খুলে দোকান এ দিয়ে দিয়েছেন, তাই এখন নতুন টা ওনাদের ই ধরা হবে। কিন্তু এতে কি আমাদের গুনাহ হবে। ঐ বাক্তিও পরে আবার নিজেদের জন্য কিনে নিয়েছেন, আর আমাদের কিছু বলেনাই।

জাযাকাল্লাহু খইর!   

1 Answer

0 votes
ago by (599,280 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
১। কোন মুসলিম জেনেশুনে মিথ্যা বলে এবং অন্যদের কাছে সেই মিথ্যা ছড়িয়ে যদি কারো সংসার ভেঙ্গে দেয়, এবং সত্যি জানার পরেও আরও কিছু বাক্তি ঐ মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করতে যদি মিথ্যা এবং ঐ মিথ্যা বলা বাক্তিকে সমর্থন দেয় , তাহলে ঐ মুসলিমদের (নিশ্চিত হওয়ার পর যে সে/ তারা স্বেচ্ছায় এটা করেছে) উপর "আল্লাহর লানত বর্ষিত হোক, বা এর কারনে হওয়া ক্ষতি আল্লাহ তার উপর ফিরায় দিক যদি সে হিদায়েত এর যোগ্য না হয় বা অনুশোচিত না হয়- এমন টা যদি ক্ষতিগ্রস্থ বাক্তি বলে, তাহলে তার গুনাহগার হবে না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/19877

২। " "ক্রিসমাস" উচ্চারন করার কারণে গোনাহ হবে না।
পণ্য ক্রয় করা যাবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1382

৩। সুন্নাত নামাজে সিজদাহ থেকে উঠে বসার সময় "আল্লাহু আকবার" না বলে ভুলে, "সামি আল্লাহুলিমান হামিদাহ" বলে, মনে পরায় আবার "আল্লাহু আকবার" বললে, বা না বললে, ৪ রাকাত সুন্নতকে আবার আদায় করতে হবে না।

৪। যেহেতু তার ইনকাম হালাল না হারাম আপনি জানেন না, তাই এগুলো নেওয়া জায়েয হবে না।

৫।  প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনাদের কোনো গোনাহ হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...