বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
ادْعُواْ رَبَّكُمْ تَضَرُّعًا وَخُفْيَةً إِنَّهُ لاَ يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ
তোমরা স্বীয় প্রতিপালককে ডাক, কাকুতি-মিনতি করে এবং সংগোপনে। তিনি সীমা অতিক্রমকারীদেরকে পছন্দ করেন না।(সূরা আরাফ-৫৫)
( لَا تَدْعُوا عَلَى أَنْفُسِكُمْ وَلَا تَدْعُوا عَلَى أَوْلَادِكُمْ وَلَا تَدْعُوا عَلَى أَمْوَالِكُمْ لَا تُوَافِقُوا مِنْ اللَّهِ سَاعَةً يُسْأَلُ فِيهَا عَطَاءٌ فَيَسْتَجِيبُ لَكُمْ )
তোমরা নিজেদের উপর এবং নিজ সন্তানদের উপর এবং নিজ মালের উপর বদ-দুআ করবে না। কেননা কখন আল্লাহ কার কবুল করবেন সেটা বলা যায় না।(সহীহ মুসলিম-৩০১৪)
أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : ( لَا تَدْعُوا عَلَى أَنْفُسِكُمْ إِلَّا بِخَيْرٍ فَإِنَّ الْمَلَائِكَةَ يُؤَمِّنُونَ عَلَى مَا تَقُولُونَ ).
তিনি বললেনঃ নিজেদের জন্য কল্যাণ কামনা ছাড়া তোমরা অযথা কিছু বলো না।কারণ তোমরা যা বলবে তার সাথে সাথে ফিরিশতারা আমীন বলবেন। (সুনানে আবু-দাউদ-৩১১৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই?বোন!
কেউ জুলুম করলে তাকেই ক্ষমা করে দেয়াই উত্তম। এটাই মূলত রাসূলুল্লাহ সা. এর সুন্নাহ।হ্যা অবশ্যই জুলুম পরিমাণ প্রতিশোধ বা বদ-দুআ করা যায়। তবে অতিরিক্ত প্রতিশোধ বা বদ-দুআ করা যাবে না। আল্লাহ তা’আলা বলেন,
وَإِنْ عَاقَبْتُمْ فَعَاقِبُواْ بِمِثْلِ مَا عُوقِبْتُم بِهِ وَلَئِن صَبَرْتُمْ لَهُوَ خَيْرٌ لِّلصَّابِرينَ
আর যদি তোমরা প্রতিশোধ গ্রহণ কর, তবে ঐ পরিমাণ প্রতিশোধ গ্রহণ করবে, যে পরিমাণ তোমাদেরকে কষ্ট দেয়া হয়। যদি সবর কর, তবে তা সবরকারীদের জন্যে উত্তম।(সূরা নাহল-১২৬)
আপনি অন্যায়ভাবে যার উপর বদ-দুআ করেছেন,তার উপর আপনার বদ-দুআ পতিত হবে না। কেননা আল্লাহ তা’আলা অন্যায় দুআকে কবুল করেন না।আপনি যে বদ-দুআ করেছেন, সে সেটার যোগ্য না হলে ,উক্ত বদ-দুআ উল্টো আপনার উপর পতিত হবে।তাই এ বদ-দুআর প্রভাব থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে চাইতে হবে।আল্লাহর কাছে তাওবাহ ইস্তেগফার করতে হবে। আল্লাহ আপনাকে সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে হেফাজত করুক।আমীন।