আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
21 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
১/আমার বাবা প্রায়ই কিস্তিতে লোন নেন কোনোকিছুতেই থামানো সম্ভব হয়নি।লোন নিতে মহিলাদের স্বাক্ষরের প্রয়োজন হয়। মা পরিপূর্ণ পর্দা করেন,কিন্তু তিনি বাধ্য হয়েই স্বাক্ষর  করেন।এতে কি তিনি সমান গুনাহের ভাগীদার হবেন?

২/আমি একজন সাবালিকা,ভরণপোষণ বাবাই বহন করেন,কিন্তু  সেই লোনের টাকায়  কাপড়-চোপড়,ইলেকট্রনিক সামগ্রী আমাকে কিনে দিতে চাইলে বা আমি সেই টাকায় কিছু কিনলে  তা হালাল হবে কি?

৩/আমি যেহেতু জেনারেল ফ্যামিলির মেয়ে সেক্ষেত্রে আমার নিকট আত্নীয় স্বজনের অধিকাংশেরই  ইনকাম  স্পষ্ট হারাম,তারা বাসায় আসলে অথবা তাদের বাড়িতে গেলে কোনো না কোনো ভাবে তাদের দেয়া খাবার খেতে হয়।সেক্ষেত্রে কি করবো।খাওয়ার পর প্রচন্ড গিল্টি  কাজ করে। মাঝে মাঝে তাদের দেওয়া জিনিস বাড়িতে মিক্সড হয়েও যায়, সেক্ষেত্রে কি করবো?

1 Answer

0 votes
ago by (575,580 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান মতে সুদ গ্রহণ, সুদ প্রদান উভয়ই লানতপ্রাপ্ত গোনাহ। তাই এ ভিত্তিতে লোন নেওয়া,তা দিয়ে ব্যবসা করা,অন্যকে এ থেকে লোন দেওয়া জায়েজ নয়। হারাম। 

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন  

الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبَا لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوا إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبَا ۗ وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا ۚ فَمَنْ جَاءَهُ مَوْعِظَةٌ مِنْ رَبِّهِ فَانْتَهَىٰ فَلَهُ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُ إِلَى اللَّهِ ۖ وَمَنْ عَادَ فَأُولَٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ [٢:٢٧٥

যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লাহ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। {সূরা বাকারা-২৭৫}

হাদীস শরীফে এসেছে  
عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)
,
ব্যাংক লোন হারাম।কিন্তু ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আসার পর সেই লোনকে পরিশোধ করার পর উক্ত লোন দিয়ে যা খরিদ বা তৈরী করা হয়েছিলো,সেটা হালালই থাকছে।যদিও লোন গ্রহণ করা হারাম ও অবৈধ ছিলো।

ব্যাংক লোন সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুন 

ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা করা জায়েজ নয়।

লোন গ্রহণ নাজায়েয ও হারাম। যদি লোনকে হালাল টাকা দ্বারা পরিশোধ করা হয়, তাহলে লোনের টাকা দ্বারা যা কিছুই করা হবে, তা জায়েয।পরবর্তীতে যত ইনকাম হবে, তার সবই জায়েয।
লোন গ্রহণের জন্য তাওবাহ করতে হবে।

আরো জানুনঃ 

লোন নিয়ে ব্যবসা করলে ব্যবসার মুনাফা হারাম হবে কিনা,সেটি নির্ভর করবে লোন পরিশোধ করছে কোন টাকা দিয়ে,সেটির উপর। 

যদি হালাল টাকায় লোন শোধ করে,তাহলে তার ব্যবসায় কোনো সমস্যা নেই।

আর সে যদি হারাম টাকা দিয়ে লোন শোধ করে,সেক্ষেত্রে তার জন্য উপার্জন হালাল হবেনা।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
আপনার মায়ের সুদী কাজে সহযোগিতার গুনাহ হবে।

(০২)
তাহা আপনার জন্য হালাল হবে।

আপনার বাবা লোন হালাল টাকা হতে পরিশোধ করলে সেক্ষেত্রে তো সেই লোনের টাকায় ক্রয়কৃত বস্তু সবই হালাল হিসেবে বিবেচিত হবে।

আর যদি হারাম টাকায় আপনার বাবা লোন পরিশোধ করে,সেক্ষেত্রে আপনি যেহেতু মেয়ে,তাই বিবাহের আগ পর্যন্ত আপনি যেহেতু আপনার বাবা হতে প্রয়োজনীয় ভরনপোষণ নেয়ার হকদার,সুযোগ সেই হিসেবে সেই লোনের টাকায় ক্রয়কৃত জরুরী বস্তু আপনার হালাল হিসেবে বিবেচিত হবে।

তবে অপ্রয়োজনীয় বস্তু বা প্রয়োজন অতিরিক্ত বস্তু এক্ষেত্রে আপনার জন্য হালাল হবেনা 

এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 

(০৩)
আপনি তাদের দেয়া খাবার খাবেননা।
প্রয়োজনে খেয়ে ফেললে বা চাপে পড়ে খেয়ে ফেললে সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে সমপরিমাণ টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিবেন।

এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...