حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ سُهَيْلٍ، - يَعْنِي ابْنَ أَبِي صَالِحٍ - عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، حَدَّثَتْنِي فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ أَنَّهَا أَمَرَتْ أَسْمَاءَ - أَوْ أَسْمَاءُ حَدَّثَتْنِي أَنَّهَا أَمَرَتْهَا فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ - أَنْ تَسْأَلَ، رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَهَا أَنْ تَقْعُدَ الأَيَّامَ الَّتِي كَانَتْ تَقْعُدُ ثُمَّ تَغْتَسِلُ - صحيح
উরওয়াহ ইবনু যুবাইর (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতিমাহ বিনতু আবূ হুবাইশ (রাঃ) আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি আসমাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন অথবা আসমা-ই আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন, তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ফাতিমাহ বিনতু আবূ হুবাইশ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করার জন্য। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে নির্দেশ দিলেন যে, (পূর্বের হিসেব মতো) হায়িযের দিনগুলোতে অপেক্ষা করবে, তারপর নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হলে গোসল করবে।
(আবু দাউদ ২৮১ নাসায়ী ২০১)
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত বোনের অপারেশন এর আগে প্রতি মাসের হায়েজ কয়দিন হতো?
এ মাসেও সে কয়দিন হায়েজ ধরে নামাজ বন্ধ রাখবে। তারপর ব্লাড আসার বাকি দিন গুলো ইস্তেহাজা ধরবে।
এমতাবস্থায় নামাজ চালিয়ে যেতে হবে।
(০২)
এক্ষেত্রে তিনি মা'যুর হলে প্রতি ওয়াক্তের জন্য একবার অযু করে সেই ওয়াক্তে অন্য কোনো কারনবশত অযু ভেঙ্গে না গেলে সে অযু দিয়ে ঐ ওয়াক্তে যত ইচ্ছা নামাজ আদায় করবে।
ওয়াক্ত শেষ হয়ে গেলে পুনরায় অযু করতে হবে।
আর যদি তিনি মা'যুর না হোন,সেক্ষেত্রে প্রতি নামাজের আগে শরীর পাক করে পবিত্র কাপড়ে নামাজ আদায় করতে হবে।
নামাজের পর ব্লিডিং হলে অযু ভেঙ্গে যাবে।
নামাজের মাঝেও ব্লিডিং হলে অযু ভেঙ্গে যাবে। সেক্ষেত্রেও পুনরায় উক্ত স্থান পাক কাপড়ে, অযু করে এসে পাক কাপড়ে বাকি নামাজ আদায় করতে হবে।
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৩)
না,আলাদা অযু করতে হবেনা।
তবে তিনি মা'যুর না হলে,এবং অযু করার পর পুনরায় ব্লিডিং হলে বা অন্য কোনো অযু ভেঙ্গে যাওয়ার কারন পাওয়া গেলে সেক্ষেত্রে পুনরায় অযু করতে হবে।