বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আল্লামা আলাউদ্দিন হাসক্বাফী রাহ বলেন,
(إلا إذا) شرع الإمام في القراءة سواء (كان مسبوقا) أو مدركا (و) سواء كان (إمامه يجهر بالقراءة) أو لا (ف) إنه (لا يأتي به) لما في النهر عن الصغرى: أدرك الإمام في القيام يثني ما لم يبدأ بالقراءة، وقيل في المخافتة يثني،
যখন ইমাম ক্বেরাত শুরু করে দিবেন,চায় মুক্তাদি মাসবুক হোক বা মুদরিক হোক বা ইমাম ক্বেরাতকে জোরে পড়ুক অথবা আস্তে পড়ুক,তখন মুক্তাদি ছানা পড়বে না।নাহর কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,মুক্তাদি ইমামকে ক্বিয়াম অবস্থায় পেলো,তখন ইমাম ক্বিরাত শুরু না করার পূর্ব পর্যন্ত মুক্তাদি ছানা পড়তে পারবে,কেউ কেউ বলেন-নিম্নস্বরের ক্বিরাত হলে ছানা পড়বে।(আদ্দুর্রুল মুখতার-১/৪৮৮ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম-২/১২২
(২) তাকবীরে তাহরীমা বলা ফরজ কিন্তু দুই হাত কানের লতি পর্যন্ত তোলা ফরজ নয়। বরং সুন্নত।
(৩)
تَبَّتْ يَدَا أَبِي لَهَبٍ وَتَبَّ ١
مَا أَغْنَى عَنْهُ مَالُهُ وَمَا كَسَبَ ٢
سَيَصْلَى نَارًا ذَاتَ لَهَبٍ ٣
وَامْرَأَتُهُ حَمَّالَةَ الْحَطَبِ ٤
فِي جِيدِهَا حَبْلٌ مِّن مَّسَدٍ ٥
ধ্বংস হোক আবু লাহাবের হস্তদ্বয় এবং ধ্বংস হোক সে নিজেও।
তার ধন-সম্পদ আর সে যা অর্জন করেছে তা তার কোন কাজে আসল না।
অচিরেই সে শিখা বিশিষ্ট জাহান্নামের আগুনে প্রবেশ করবে,
আর তার স্ত্রীও- যে কাঠবহনকারিণী (যে কাঁটার সাহায্যে নবী-কে কষ্ট দিত এবং একজনের কথা অন্যজনকে ব’লে পারস্পরিক বিবাদের আগুন জ্বালাত)।
আর (দুনিয়াতে তার বহনকৃত কাঠ-খড়ির পরিবর্তে জাহান্নামে) তার গলায় শক্ত পাকানো রশি বাঁধা থাকবে।
শানে নুযুল
আল্লাহ্ একটি আয়াত অবতীর্ণ করলে রসূলুল্লাহ্ সাফা পর্বতে আরোহণ করে কোরাইশ গোত্রের উদ্দেশে "আবদে মানাফ" ও "আবদুল মোত্তালিব" ইত্যাদি নাম সহকারে ডাক দিলেন। এভাবে ডাক দেয়া তখন আরবে বিপদাশংকার লক্ষণ রূপে বিবেচিত হত। ডাক শুনে কোরাইশ গোত্র পর্বতের পাদদেশে একত্রিত হল। রসূলুল্লাহ্ বললেনঃ "যদি আমি বলি যে, একটি শত্রুদল ক্রমশঃই এগিয়ে আসছে এবং সকাল বিকাল যে কোন সময় তোমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে, তবে তোমরা আমার কথা বিশ্বাস করবে কি?" সবাই একবাক্যে বলে উঠলঃ "হাঁ, অবশ্যই বিশ্বাস করব।" অতঃপর তিনি বললেনঃ "আমি (শিরক ও কুফরের কারণে আল্লাহ্র পক্ষ থেকে নির্ধারিত) এক ভীষণ আযাব সর্ম্পকে তোমাদেরকে সতর্ক করছি।" একথা শুনে আবু লাহাব বললঃ "ধ্বংস হও তুমি, এজন্যেই কি আমাদেরকে একত্রিত করেছ?" অতঃপর সে রসূলুল্লাহ্ -কে পাথর মারতে উদ্যত হল। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সূরা লাহাব অবতীর্ণ হয়
সুতরাং সুরা লাহাব আবু লাহাবের মৃত্যুর আগে নাযিল হয়েছে ।
কারো মাল সম্পদ প্রতিপ্রত্তি আল্লাহর আযাব থেকে রক্ষা করতে পারবে না। এবং রাসূল সা. এর বিরোধীতা করে কেউ পার পাবে না।
4. জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে সুদূর চীন পর্যন্ত যাও - এটা হাদীস নয়।