আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
41 views
in পবিত্রতা (Purity) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম।

১) টিস্যু বা কাপড় দিয়ে নাপাকি মুছে নেওয়ার পর, হাত বা শরীর শুকনো দেখা গেলো, কিন্তু হাতে তৈলাক্ত ভাব মনে হলো। কিন্তু যদি গন্ধ না থাকেআর যদি গন্ধ থাকে তাহলে কি নাপাক ধরব? আর মুছে নেওয়া হাতে অন্যকিছু যেমন মোবাইল বা কাপড় ধরলে নাপাক হয়ে যাবে?
২) কম্বল,লেপ অনেক সময় স্বচ্ছ বা সাদা নাপাকির উপর পড়ে যায় সাথে সাথে উঠিয়ে নিলেও কি কম্বল বা লেপ নাপাক হয়ে যাবে? যদিও নাপাকির রং বা গন্ধ না থাকে। আমার ধারণা তারাতাড়ি টেনে নেওয়ার ফলে নাপাকি না লাগার সম্ভাবনা বেশি।
৩)একটা কাপড়ে কোথাও পিছলা জাতীয় নাপাকি লেগে শুকিয়ে গেলো কিন্তু জানি না কোথায়,তিনবার ধুয়ে পাক করলাম। কিন্তু শুকা দিতে যাওয়ার পর জায়গা টা পিছলা লাগলো,তাহলে কি ওই পিছলা টুকু দূর করতে হবে? আর দূর করার সময় কি নখ দিয়ে ঘসে উঠালে হবে? নাকি পিছিল পুরোপুরি দূর করতে হবে?
৪)অদৃশ্য নাপাক কাপড় কাচার সময় বালতির গায়ে, দেয়ালে ছিটে গেলো,কিন্তু আমার মনে হয় গোসল শেষে ভালো কাপড়ের ছোয়ায় যদি সেই পানি শুষে নিয়ে পাক কাপড় নাপাক হয়ে যায়। কিন্তু আমি তার আগেই দেয়াল বা বালতির গা পাক করার জন্য পানি ছিটিয়ে দেই,যেহেতু জানি না কোথায় কোথায় ছিটে গেছে,তার জন্য আনতাজে ভালো পানি ছিটিয়ে দিলে হবে নাকি বেশি পানি ঢেলে দেয়াল বা বালতির গায় ধুয়ে নিতে হবে?
৫) নাপাক কাপড় কাচার সময় জমানো বালতিতে পানি ছিটে গেলে তা বালতির পানি নাপাক হয়ে যাব? যদিও অল্প হয়! সব মিলিয়ে ১/২ ফোটা।
শরীরের ক্ষেত্রে সিউর না যে এক দিরহাম ছিটে আসছে কি না, যদি সন্দেহের জেরে ধরে নেই এক দিরহামের কম অথচ বাস্তবে হয়তো মাপলে এক দিরহাম হলে হবে, তাহলে কি এই ভুল ধরে নেওয়ার জন্য আমার পবিত্রতা হবে না?
৬) কাপড় থেকে নাপাকি হাত দিয়ে দূর করার পর,সেই হাত দিয়ে মগের হাতল ধরে জমানো পানি থেকে পানি উঠালে কি হাতের পানির জন্য বালতির পানি নাপাক হয়ে যাবে?যদিও হাত পানিতে চুপবে না!আর চুবলে কি পানি নাপাক হয়ে যাবে?
আমি পানি উঠানের পর অন্য হাতে পানি ঢেলে ধোয়া হাত দিয়ে মগের ভিতর থেকে পানি নিয়ে পরের হাত ধুয়ে মগের যেটুকু ধরে উঠিয়েছি সে জায়গা টুকু ধুয়ে নেই, এভাবে ঠিক আছে?

1 Answer

0 votes
by (601,620 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলমানকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনের মধ্যে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়। কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলম-জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাস'আলা মাসায়েল বা ফাতাওয়া অধ্যায়ের প্রশ্ন-উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন। যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বলছি, যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুক।আমীন।চুম্মা আমীন। https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa

বিঃদ্র
ওয়াসওয়াসা কোর্স সম্পন্ন করার পর অফিস থেকে একটি কোড দেয়া হবে, সেই কোড উল্লেখ পূর্বক পোষ্ট করতে হবে।নতুবা ওয়াসওয়াসা রোগীদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...