আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
224 views
in পবিত্রতা (Purity) by (8 points)
আমি মাজুর নই। কিন্তু আমার প্রায় সময়ই এমন হয় যে একটু পর পর পানির মতো পাতলা সাদাস্রাব যাচ্ছে। নামাজের সময় আমার খুশুখুযুও থাকে না এই চিন্তায় যে নামাজ ভেংগে গেলো হয়তো, সাদাস্রাব যোনীপথ পেড়িয়ে গেলো হয়তো। তাই আমি চাচ্ছিলাম যোনীমুখে হালকা টিস্যু দিয়ে রাখলে সাদাস্রাব আর বের হলো না বাহিরে। এইভাবে টিস্যু দিয়ে কি নামাজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (716,130 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,
عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "
তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)

কুরসুফ ঐ তুলা বা তুলা জাতীয় জিনিষকে বলা হয়,যা পবিত্রতা/অপবিত্রতাকে পরীক্ষা করার জন্য মাসিকের রাস্তায় প্রবেশ করানো হতো।

এর বিধান সম্পর্কে রাহরুর রায়েক গ্রন্থে বর্ণিত রয়েছে-
ثُمَّ وَضْعُ الْكُرْسُفِ مُسْتَحَبٌّ لِلْبِكْرِ فِي الْحَيْضِ وَلِلثَّيِّبِ فِي كُلِّ حَالٍ وَمَوْضِعُهُ مَوْضِعُ الْبَكَارَةِ وَيُكْرَهُ فِي الْفَرْجِ الدَّاخِلِ. اهـ.
وَفِي غَيْرِهِ أَنَّهُ سُنَّةٌ لِلثَّيِّبِ حَالَةَ الْحَيْضِ مُسْتَحَبَّةٌ حَالَةَ الطُّهْرِ وَلَوْ صَلَّتَا بِغَيْرِ كُرْسُف ٍجَازَ.
অবিবাহিত মহিলাদের জন্য মাসিকের সময় কুরসুফ ব্যবহার করা মুস্তাহাব।আর বিবাহিত মহিলার ক্ষেত্রে সর্বাবস্থায়ই সেটার ব্যবহার মুস্তাহাব।কুরসুফ রাখার স্থান হল, মাসিকের রাস্তার প্রবেশ মূখ। কিন্তু লজ্জাস্থানের ভিতরে কুরসুফ প্রবেশ করানো মাকরুহ।
অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, বিবাহিত মহিলার ক্ষেত্রে মাসিকের সময় সুন্নাত এবং পবিত্র সময়ে মুস্তাহাব। বিবাহিত/অবিবাহিত উভয়-ই যদি কুরসুফ ব্যতীত নামায পড়ে নেয়,তাহলে নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।
বাহরুর রায়েক-১/২০৩)

ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন-
(ويكره وضعه) وضع جميعه (فى الفرج الداخل)لأنه يشبه النكاح بيدها محيط-
সমস্ত কুরসুফ কে লজ্জাস্থানের ভিতরে প্রবেশ করানো মাকরুহ।কেননা ইহা হস্তমৈথুনের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
(মাজমু'আতু রাসাঈলে ইবনে)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/497


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যোনীমুখে হালকা টিস্যু দিয়ে রাখলে সাদাস্রাব আর বের হলো না বাহিরে। এইভাবে টিস্যু দিয়ে রাখলে নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
উস্তাদ এক্ষেত্রে সাদাস্রাব না বের হলেও,যেহেতু জরায়ুর ভেতর সবসময় ভেজা ভাব থাকে আর টিস্যুতে যেহেতু  পানি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে দেখা যায় টিস্যুর ভিতরের বেশ কিছু অংশে ভেজা ভাব দেখা যাচ্ছে। যদি এমন হয় সাদাস্রাব টিস্যু মাথাই লাগা আছে যেটা জরায়ুর মুখের ভেতর কিন্তু  ভিজা ভাবের কারনে যে টিস্যুতে ভিজা ভাব কিছু ছড়ানো দেখা যায় সেটা জরায়ু মুখ পার করছে কিনা সন্দেহ হয়।এক্ষেত্রে কি করবো?
২.লজ্জাস্থান থেকে  শুধু পানি বের হলে  সেটা কি নাপাক? সাদাস্রাব এর কোনো আলামত নাই

by (57 points)
আসসালামু আলাইকুম, শাইখ উপরের প্রশ্নটি একটু দেখবেন!

সেইম সমস্যা হয় ঘরে এবং জার্নিতেও। কোথাও গেলে তো বোরকা পরে অজু ইস্তিন্জা করা যায়না সেক্ষেত্রে প্যাড পরে গেলে প্যাডের ভেতরে যেকোন তরল পানির ফোঁটা নির্গত হলেও ওই অবস্থায়ই নামাজ পড়তে পারব শাইখ?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...