জবাবঃ-
যে বাচ্চার উপর পর্দা ফরজ হয়নি,এমন বাচ্ছার দিকে বাজে দৃষ্টি দিলে,অবশ্যই গোনাহ হবে।বাচ্ছার দিকে দৃষ্টি দেয়া,এ পর্যন্ত আল্লাহর হক।সুতরাং আল্লাহর কাছে শুধুমাত্র তাওবাহ করে নিলেই চলবে।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
﴿ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺇِﺫَﺍ ﻓَﻌَﻠُﻮﺍ ﻓَﺎﺣِﺸَﺔً ﺃَﻭْ ﻇَﻠَﻤُﻮﺍ ﺃَﻧْﻔُﺴَﻬُﻢْ ﺫَﻛَﺮُﻭﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻓَﺎﺳْﺘَﻐْﻔَﺮُﻭﺍ ﻟِﺬُﻧُﻮﺑِﻬِﻢْ ﻭَﻣَﻦْ ﻳَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﺬُّﻧُﻮﺏَ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﻟَﻢْ ﻳُﺼِﺮُّﻭﺍ ﻋَﻠَﻰ ﻣَﺎ ﻓَﻌَﻠُﻮﺍ ﻭَﻫُﻢْ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻮﻥَ
ﺃُﻭْﻟَﺌِﻚَ ﺟَﺰَﺍﺅُﻫُﻢْ ﻣَﻐْﻔِﺮَﺓٌ ﻣِﻦْ ﺭَﺑِّﻬِﻢْ ﻭَﺟَﻨَّﺎﺕٌ ﺗَﺠْﺮِﻱ ﻣِﻦْ ﺗَﺤْﺘِﻬَﺎ ﺍﻷَﻧْﻬَﺎﺭُ ﺧَﺎﻟِﺪِﻳﻦَ ﻓِﻴﻬَﺎ ﻭَﻧِﻌْﻢَ ﺃَﺟْﺮُ ﺍﻟْﻌَﺎﻣِﻠِﻴﻦَ
﴾ [ ﺁﻝ ﻋﻤﺮﺍﻥ 136-135 : ]
তারা কখনও কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে কিংবা কোন মন্দ কাজে জড়িত হয়ে নিজের উপর জুলুম করে ফেললে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজের পাপের জন্য "ইস্তেগফার"(ক্ষমা প্রার্থনা) করে। আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করবেন? তারা নিজের কৃতকর্মের জন্য হঠকারিতা প্রদর্শন করে না এবং জেনে-শুনে তাই করতে থাকে না।
তাদেরই জন্য প্রতিদান হলো তাদের পালনকর্তার ক্ষমা ও জান্নাত, যার তলদেশে প্রবাহিত হচ্ছে প্রস্রবণ যেখানে তারা থাকবে অনন্তকাল। যারা কাজ করে তাদের জন্য কতইনা চমৎকার প্রতিদান।
আলে-ইমরান;১৩৫-১৩৬
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নাবালক বাচ্ছার দিকে কামভাব নিয়ে দৃষ্টি দেওয়ার দরুণ শুধুমাত্র আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলেই যথেষ্ট হবে।সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নিকট ক্ষমা চাইতে হবে না।হ্যা তবে নাবালক বাচ্ছা সাথে জোরজবরদস্তি করে কিছু করলে অবশ্যই তার কাছে তখন ক্ষমা চাইতে হবে।