আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
50 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
আসসসামু আলাইকুম,
আমার বিয়ে হয়েছে ২ বছর হয়েছে। সম্পূর্ণ পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়েছে। বিয়ের আগে পাত্রের কাছে আমার চাকুরী নিয়ে অনুমতি নিয়েছি। পাত্রের ভাষ্যমতে এমন ছিল যে, পারিবারিক দায়িত্ব তার, আমাকে চাকুরীতে সাপোর্ট দিবে। উল্লেখ্য, আমার কোন ভাই নাই, বাবা মার পরিবারের দেখাশুনা করতে আমার চাকুরী করা জরুরী,  আর আলহামদুলিল্লাহ্,  আমি একজন সরকারি চাকুরীজীবী এবং হাতমোজা,পা মোজা এবং নিকাব করে পর্দা করি।

বিয়ের পর আমার হাজব্যান্ড আমাকে কোন ভরণপোষণ দেয় না এবং তার পরিবার আমার কাছে মাসিক টাকা দাবি করে, আমার হাজব্যান্ড এরও এ ব্যাপারে সমর্থন আছে। আমার হাজব্যান্ড তার বাবা মাকে প্রতি মাসে খরচ পাঠালেও আমাকে সে কোন খরচ দিতে নারাজ। আমি টাকা চাইলেই আমাকে চাকরি না করতে দেয়ার হুমকি দেয়। আমার টাকা কোথায় কি কাজে খরচ করি এসব বিষয় নিয়ে আমার সাথে খারাপ ব্যাবহার শুরু করে দেয়। আমি যদিও তার কাছে কখনই মাসিক ৫/৭ হাজার এর বেশি খঁুজি না। বাকিটা আমি ম্যানেজ করবো বলি, তাও সে মাসিক কোন খরচ দিতে রাজি না। শুরুতেই যদি সে এমন করে ভবিষ্যতে বাচ্চাদের ভরণপোষণ দিবে বলে আমি মনে করি না।

ভরণপোষণ না দেয়া ছাড়াও সে খুব বদমেজাজি।  খুব খুব বাজে ভাষায় আমাকে এবং আমার বাবা মাকে গালি দিয়ে কথা বলে, আমাকে স্ত্রী হিশেবে নূন্যতম সম্মানও করে না। মেয়েদেরকে খুব অসম্মান করে।  আমি এসব দেখে অভ্যস্ত নই। প্রচন্ড মানষিক চাপবোধ করছি।
বিয়ের পর থেকেই তার পরিবারের সাথে আমি সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করেছি। টাকা না দিলে যেনো তাদের সাথে কথা না বলি সেটা জানিয়ে দিয়েছে এবং আমার সাথে যোগাযোগ করে না। আমি ব্যক্তিগতভাবে কারো সাথে খারাপ সম্পর্ক রেখে শান্তি পাই না।

আমার বাসা থেকে অনেকবার আমার হাজব্যান্ডকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে। নিজের ভুল বোঝাতো দূরে থাক, উলটো সে আরো রেগে গিয়ে গালাগালি শুরু করে দেয়। কোন মানুষ সম্পর্কে সে খুব খারাপ মন্তব্য করে, আমি এটা খুব ঘৃণা করি।

তার আখলাক এবং চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এর কারনে আমি মানষিকভাবে অনেক ভেংগে পরেছি।

প্রশ্ন:
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমাকে আমার করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ দিবেন ইন শা আল্লহ্।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ-
ﻭَﻋَﺎﺷِﺮُﻭﻫُﻦَّ ﺑِﺎﻟْﻤَﻌْﺮُﻭﻑ
নারীদের সাথে সদ্ভাবে জীবন-যাপন কর। (সূরা নিসা-১৯)
এতে কোনো সন্দেহ নেই মা'রুফ বা সদ্ভাবে জীবন-যাপন স্থান-কাল-পাত্র বেধে ভিন্নতর হয়ে থাকে,সুতরাং মুফতী মহোদয় স্থান-কাল দেখে উক্ত বিষয়ে সিদ্বান্ত নিবেন।স্থান-কালের প্রতি লক্ষ্য না করে সিদ্বান্ত নিলে তা কখনো কোরআনে বর্ণিত সদ্ব্যবহার হবে না, আর অসদ্ব্যবহার কখনো বৈধ হবে না। কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ- তাদেরকে কষ্ট দিয়ে সংকটাপন্ন করো না।(রদ্দুল মুহতার৩/৫৯৯-৬০০-৬০১- (দারুল ফিকর বাইরুত, মাকতাবা থেকে ৬ খন্ডে প্রকাশিত, ১৪১২হিঃ-১৯৯২ইং) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/430

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/54770

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার ভরণপোষণের দায়িত্ব আপনার স্বামীর। আপনাকে যদি সে পর্দা সম্মত চাকুরীর অনুমতি প্রদানের শর্তে বিয়ে করে থাকে, তাহলে এখন সে বাধা দিতে পারবে না। হ্যা, শরীযতের উল্টো কোনো কাজ হতে থাকলে তখন স্বামী বাধা দিতে পারবে।

স্বামীর উচিত বারংবার নিম্নের হাদীসটির প্রতি লক্ষ্য করা,
আয়িশাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত।
وَعَنْهَا قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خَيْرُكُمْ خَيْرُكُمْ لِأَهْلِهِ وَأَنَا خَيْرُكُمْ لِأَهْلِي وَإِذَا مَاتَ صَاحِبُكُمْ فَدَعُوهُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ. والدارمي
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি সর্বোত্তম যে স্বীয় পরিবারের নিকট উত্তম। আর আমি আমার পরিবারের নিকট সর্বোত্তম। আর যখন তোমাদের যে কেউ মারা যায়, তখন তার (নিন্দা করা) হতে বিরত থাক। (তিরমিযী ৩৮৯৫, দারিমী ২৩০৬, সহীহাহ্ ২৮৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
আপনি ধৈর্য্য সহকারে পরিস্থিতির মুকাবেলা করুন। স্বামীর হেদায়তের জন্য আল্লাহর কাছে দু'আ করুন। এবং স্বামীকে বুঝানোর চেষ্টাকে অভ্যাহত রাখুন।আল্লাহ আপনাকে তাওফিক দান করুক। আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...