এক্ষেত্রে সতর্কতা মূলক কানের দুল নাড়াচাড়া করে সেখানে পানি পৌছিয়ে পুনরায় সেই নামাজ গুলি আদায় করে নিবেন।
ফজরের সুন্নাত কাযা হয়ে গেলে সূর্য উদিত হওয়ার পর থেকে নিয়ে জোহরের ওয়াক্তের আগ পর্যন্ত (নিষিদ্ধ ওয়াক্ত ব্যাতিত) পড়া যাবে।
এর পরও যদি পড়া না হয়,তাহলে আর সেটার কাযা আদায় করার সুযোগ নেই।
(ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী ১/১১২)
হাদীস শরীফে এসেছে
وفى جامع الترمذى- عن أبي هريرة قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من لم يصل ركعتي الفجرفليصلهمابعد ما تطلع الشمس (جامع الترمذى-أبواب الصلاةعن رسول الله صلى الله عليه وسلم، باب ماجاءفي إعادتهمابعدطلوع الشمس،رقم-423)
অনুবাদ-হযরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত যে, নবীজি সা: বলেন-যে ফজরের দুই রাকআত সুন্নত (সময়মতো) পড়ল না সে যেন সূর্যোদয়ের পর তা আদায় করে। ( জামে তিরমিজী-১/৯৬)
ولم تقض سنة الفجر إلا بفوتہا مع الفرض إلی الزوال (حاشیة الطحطاوي علی المراقي: ۴۵۳)
সারমর্মঃ-
ফজরের সুন্নাতের কাজা আদায় করতে হবেনা,কিন্তু ফজরের ফরজের সাথেই যদি তাহা ছুটে যায়,সেক্ষেত্রে সূর্য ঢলে যাওয়ার আগেই তার কাজা আদায় করা যাবে।
আরো জানুনঃ
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
ফজর নামাজ কাজা হলে সুন্নাত ২ রাকাতেরও কাজা আদায় করতে হবে।
এক্ষেত্রে উক্ত সুন্নাত নামাজ সূর্য উদিত হওয়ার পর থেকে (ইশরাকের ওয়াক্ত হতে) নিয়ে জোহরের ওয়াক্ত আসার আগেই কাজা করে নিতে হবে।
এরপর আর কাজা করার সুযোগ থাকবেনা।
(০৩)
বুকের দুধ তো নাপাক নয়।
সুতরাং বুকের দুধ পড়ে বেডশিট ভিজলে আপনার গা নাপাক হবেনা।
দুধ পাক।
(০৪)
এ সংক্রান্ত বিধান জানুনঃ-
https://www.ifatwa.info/7947
https://ifatwa.info/70658/
(০৫)
তারা উভয়েই যদি বালেগ বালেগাহ হয়,তাহলে সেক্ষেত্রে তারা উভয়ে যদি দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক সাক্ষ্যির উপস্থিতিতে বিয়ের প্রস্তাব ও প্রস্তাব গ্রহণ সম্পন্ন করে, তাহলে তাদের বিয়ে ইসলামী শরীয়াহ মুতাবিক শুদ্ধ হয়ে যাবে।
যদিও তাদের অভিভাবক কিছুই না জানে বা রাজি না থাকে। কিংবা তিনি অনুমতি নাও দিয়ে থাকে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ؛ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «الْأَيِّمُ أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا.
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, মেয়ে তার ব্যক্তিগত বিষয়ে অভিভাবকের চেয়ে অধিক হকদার। {মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-৮৮৮, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৪২১, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৮৮৮, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২০৯৮, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২২৩৪, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১১০৮, সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৩২৬০, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪০৮৪, সুনানে দারাকুতনী, হাদীস নং-৩৫৭৬}
আরো জানুনঃ-
উল্লেখ্য যে মাতাপিতা সন্তুষ্টি ও অনুমতি নিয়ে সবাইকে অগ্রসর হতে হবে।এবং মাতাপিতার সন্তুষ্টিই দুনিয়া ও অাখেরাতের কল্যাণের উত্তম মাধ্যম।মাতাপিতাকে কষ্ট দিয়ে জীবনে সূখী হওয়া যাবে না।
তাছাড়া বৈধ ও ভালো কাজে মাতাপিতার নির্দেশ মান্য করাও ওয়াজিব।
সুতরাং আমরা পরামর্শ স্বরুপ বলবো যদিও উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিতে মেয়ের অভিভাবক এর মতামতকে উপেক্ষা করে তাদের বিবাহ হয়ে যাবে,তারপরেও এভাবে অভিভাবককে না জানিয়ে চুরি করে,অথবা তাদের মতামতকে উপেক্ষা করে বিয়ে করা কখনো উচিৎ হবে না।কেননা মাতাপিতা সব সময় সন্তানের কল্যাণ চায়।তাই মাতাপিতার পরামর্শ ও আদেশ মান্য করাই সবার জন্য কল্যাণকর।
পরামর্শ থাকবে অভিভাবকদেরকে রাজি করিয়ে উক্ত বিবাহ করা।
অভিভাবক রাজি না হলে অন্যত্রে বিবাহ করা ভালো হবে।
এক্ষেত্রে সেই ছেলের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করে দিতে হবে,তাকে ভুলে যেতে হবে।
তওবা করে ফিরে আসতে হবে।
তবে অভিভাবক রাজি না থাকা সত্ত্বেও সে যদি সেই ছেলেকে বিবাহ করে,তবুও শরীয়াহ মোতাবেক তাদের বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যাবে।
তবে সর্ব ক্ষেত্রে আল্লাহর ভয়ে এই অবৈধ প্রেম চালিয়ে যাওয়া যাবেনা, এ কারনে মহান আল্লাহর কাছে খালেস দিলে তওবা করতে হবে ফিরে আসতে হবে।