আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
15 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
السلام عليكم و رحمة الله و بركاته

আমার বাবা তার চাচাতো ভাইয়ের ছেলের কাছ থেকে এক লাখ টাকা নিয়েছিলেন।টাকা ফেরত দেওয়ার আগেই তিনি মারা যান।বাবা মারা যাওয়ার কিছু আগে থেকেই সেই ব্যক্তি অসুস্থ ছিলেন।স্বাভাবিক জ্ঞান-বুদ্ধি ছিল না।বাবা মারা যাওয়ার কয়েক মাস পর তিনিও মারা যান।সে ব্যক্তির নিজের কোনো সন্তান নেই।একজন পালক ছেলে আছে।তার স্ত্রীর সঙ্গে তার বৈবাহিক সম্পর্ক আছে কিনা সেব্যাপারে কেউ নিশ্চিত নয়।কারণ তিনি তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন আবার ফিরিয়ে এনেছেন।কীভাবে এনেছেন বা আদৌ পুনরায় বিয়ে করেছেন কিনা এটা কেউ জানে না।তার আপন ভাইয়ের ৫জন ছেলে আছেন এবং তার একজন চাচাতো ভাই আছেন।তিনি যখন অসুস্থ ছিলেন তখন তার চাচাতো ভাইয়ের পরিবার তার দেখাশোনা করে।তিনি নাকি তখন তার চাচাতো ভাইকে বলে গিয়েছিলেন তিনি মারা যাওয়ার পর যেন সেই টাকা তার চাচাতো ভাইকে দেওয়া হয়।কিন্তু একথার কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ নেই।বর্তমানে এই টাকার ব্যাপারে আমরা এবং তার চাচাতো ভাই ছাড়া আর কেউ জানে না।

এখন আমাদের কী করা উচিৎ? আমরা কি টাকাটা উনার চাচাতো ভাইকে দেব নাকি স্ত্রীকে দেব নাকি তার ভাতিজাদের দেব নাকি তার পালক ছেলেকে দেব নাকি এই টাকা দিয়ে উনার নামে সদাকা বা এরকম কিছু করব?বলে রাখা ভালো উনি মারা যাওয়ার পর কিছু টাকা আমরা তার শেষ কাজে দেই।হযরত,হয়ত বলবেন কোনো আলেমের কাছ থেকে সরাসরি জেনে নিতে।কিন্তু আমাদের বাড়ি হবিগঞ্জ কোনো আলেম বা ইফরা বোর্ডের সন্ধান আমরা জানি না।এব্যাপারে আমাদের ধারণা প্রায় শূণ্যের কোঠায়।আশা করি সাহায্য করবেন।

জাযাকাল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم

আল্লাহ তা’আলা বলেন, 

يُوصِيكُمُ اللَّهُ فِي أَوْلَادِكُمْ ۖ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنثَيَيْنِ ۚ فَإِن كُنَّ نِسَاءً فَوْقَ اثْنَتَيْنِ فَلَهُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَكَ ۖ وَإِن كَانَتْ وَاحِدَةً فَلَهَا النِّصْفُ ۚ وَلِأَبَوَيْهِ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِّنْهُمَا السُّدُسُ مِمَّا تَرَكَ إِن كَانَ لَهُ وَلَدٌ ۚ فَإِن لَّمْ يَكُن لَّهُ وَلَدٌ وَوَرِثَهُ أَبَوَاهُ فَلِأُمِّهِ الثُّلُثُ ۚ فَإِن كَانَ لَهُ إِخْوَةٌ فَلِأُمِّهِ السُّدُسُ ۚ مِن بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِي بِهَا أَوْ دَيْنٍ ۗ آبَاؤُكُمْ وَأَبْنَاؤُكُمْ لَا تَدْرُونَ أَيُّهُمْ أَقْرَبُ لَكُمْ نَفْعًا ۚ فَرِيضَةً مِّنَ اللَّهِ ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمًا

আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে আদেশ করেনঃ একজন পুরুষের অংশ দু?জন নারীর অংশের সমান। অতঃপর যদি শুধু নারীই হয় দু' এর অধিক, তবে তাদের জন্যে ঐ মালের তিন ভাগের দুই ভাগ যা ত্যাগ করে মরে এবং যদি একজনই হয়, তবে তার জন্যে অর্ধেক। মৃতের পিতা-মাতার মধ্য থেকে প্রত্যেকের জন্যে ত্যাজ্য সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ, যদি মৃতের পুত্র থাকে। যদি পুত্র না থাকে এবং পিতা-মাতাই ওয়ারিস হয়, তবে মাতা পাবে তিন ভাগের এক ভাগ। অতঃপর যদি মৃতের কয়েকজন ভাই থাকে, তবে তার মাতা পাবে ছয় ভাগের এক ভাগ ওছিয়্যতের পর, যা করে মরেছে কিংবা ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের পিতা ও পুত্রের মধ্যে কে তোমাদের জন্যে অধিক উপকারী তোমরা জান না। এটা আল্লাহ কতৃক নির্ধারিত অংশ নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, রহস্যবিদ।

وَلَكُمْ نِصْفُ مَا تَرَكَ أَزْوَاجُكُمْ إِن لَّمْ يَكُن لَّهُنَّ وَلَدٌ ۚ فَإِن كَانَ لَهُنَّ وَلَدٌ فَلَكُمُ الرُّبُعُ مِمَّا تَرَكْنَ ۚ مِن بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِينَ بِهَا أَوْ دَيْنٍ ۚ وَلَهُنَّ الرُّبُعُ مِمَّا تَرَكْتُمْ إِن لَّمْ يَكُن لَّكُمْ وَلَدٌ ۚ فَإِن كَانَ لَكُمْ وَلَدٌ فَلَهُنَّ الثُّمُنُ مِمَّا تَرَكْتُم ۚ مِّن بَعْدِ وَصِيَّةٍ تُوصُونَ بِهَا أَوْ دَيْنٍ ۗ وَإِن كَانَ رَجُلٌ يُورَثُ كَلَالَةً أَوِ امْرَأَةٌ وَلَهُ أَخٌ أَوْ أُخْتٌ فَلِكُلِّ وَاحِدٍ مِّنْهُمَا السُّدُسُ ۚ فَإِن كَانُوا أَكْثَرَ مِن ذَٰلِكَ فَهُمْ شُرَكَاءُ فِي الثُّلُثِ ۚ مِن بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصَىٰ بِهَا أَوْ دَيْنٍ غَيْرَ مُضَارٍّ ۚ وَصِيَّةً مِّنَ اللَّهِ ۗ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَلِيمٌ

আর, তোমাদের হবে অর্ধেক সম্পত্তি, যা ছেড়ে যায় তোমাদের স্ত্রীরা যদি তাদের কোন সন্তান না থাকে। যদি তাদের সন্তান থাকে, তবে তোমাদের হবে এক-চতুর্থাংশ ঐ সম্পত্তির, যা তারা ছেড়ে যায়; ওছিয়্যতের পর, যা তারা করে এবং ঋণ পরিশোধের পর। স্ত্রীদের জন্যে এক-চতুর্থাংশ হবে ঐ সম্পত্তির, যা তোমরা ছেড়ে যাও যদি তোমাদের কোন সন্তান না থাকে। আর যদি তোমাদের সন্তান থাকে, তবে তাদের জন্যে হবে ঐ সম্পত্তির আট ভাগের এক ভাগ, যা তোমরা ছেড়ে যাও ওছিয়্যতের পর, যা তোমরা কর এবং ঋণ পরিশোধের পর। যে পুরুষের, ত্যাজ্য সম্পত্তি, তার যদি পিতা-পুত্র কিংবা স্ত্রী না থাকে এবং এই মৃতের এক ভাই কিংবা এক বোন থাকে, তবে উভয়ের প্রত্যেকে ছয়-ভাগের এক পাবে। আর যদি ততোধিক থাকে, তবে তারা এক তৃতীয়াংশ অংশীদার হবে ওছিয়্যতের পর, যা করা হয় অথবা ঋণের পর এমতাবস্থায় যে, অপরের ক্ষতি না করে। এ বিধান আল্লাহর। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল। ( সূরা নিসা-১১-১২)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
তার স্ত্রীকে বলবেন যে তালাকের পর যে আপনাকে ফিরিয়ে নিয়েছিলো,এই ব্যপারে কোনো সাক্ষী বা দলিল আছে আছে কিনা?

যদি না থাকে,সেক্ষেত্রে তার মাইয়্যিতের ভাই (মাইয়্যিতের ভাই মারা গিয়ে থাকলে তার সন্তানদের) থেকে আল্লাহর নামে কসম নিতে হবে যে মাইয়্যিত জীবদ্দশায় তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়নি।

যদি স্ত্রী সাক্ষী বা দলিল দেখাতে না পারে,আর মাইয়্যিতের ভাই (মাইয়্যিতের ভাই মারা গিয়ে থাকলে তার সন্তান) আল্লাহর নামে কসম কেটে বলে যে মাইয়্যিত তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়নি,সেক্ষেত্রে তার কাফন দাফনে দেয়া টাকা ব্যাতিত বাকি টাকা তার ভাই পাবে।
যদি ভাই মারা গিয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে ভাইয়ের সন্তানেরা পাবে।

কোনোভাবেই চাচাতো ভাইয়ের ছেলে বা পালক ছেলে সম্পত্তি পাবেনা।

★যদি স্ত্রী সাক্ষী বা দলিল দেখাতে পারে,বা মাইয়্যিতের ভাই (মাইয়্যিতের ভাই মারা গিয়ে থাকলে তার সন্তান) আল্লাহর নামে কসম  কেটে বলতে না পারে, সেক্ষেত্রে তার কাফন দাফনে দেয়া টাকা ব্যাতিত বাকি টাকা তার স্ত্রী ও ভাই পাবে।
যদি ভাই মারা গিয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে ভাইয়ের সন্তানেরা পাবে।

কোনোভাবেই চাচাতো ভাইয়ের ছেলে বা পালক ছেলে সম্পত্তি পাবেনা।

উক্ত টাকা ২০ ভাগ হবে।
মাইয়্যিতের স্ত্রী ৫ ভাগ পাবে।
৩ ভাগ করে মোট ১৫ ভাগ মাইয়্যিতের ৫ ছেলে পাবে।

(উল্লেখ্য, মাইয়্যিতের ভাইয়ের মেয়ে থাকলে সেক্ষেত্রে তারাও সম্পদ পাবে।
সেক্ষেত্রে হিসাব কিছুটা ভিন্ন হবে।)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...