আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
46 views
in সালাত(Prayer) by (7 points)
আমি একজন রুম মেটের সাথে তিন মাস যাবত  থাকি। সে প্রথম দিক দিয়ে পাচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে আদায় করত এখন সে নিয়মিত নামাজ আদায় করে না ( ফজর এবং এশা)  সে বলে তার  শীত লাগে, শীতকাল শেষ হলে সে নিয়মিত নামাজ পড়বে এখন  প্রস্ন  হলো
1 আমি কি তাকে নামাযের  জন্য জোড়াজুড়ি করতে পারবো ( সে আমার ক্লোজ ফ্রেন্ড বলা যায়)

2 সে বলে তাকে নামাজের সময় না ডাকতে ( এটা কি ঠিক)আমার কি করনিয় ?
3 এসব বিষয় (আরো কিছু বিষয়)  নিয়ে নিয়মিত ঝগড়া লেগেই থাকে তার এবং আমার মধ্যে এ থেকে মুক্তির উপায় কি?
4  সে iom এর প্রশ্ন উত্তর নিয়ে মাঝেমধ্যে ঘাটাঘাটি  করে তাকে নসিহা করুন৷?  সে কিছুক্ষণের  মধ্যে এই প্রশ্ন দেখবে   বিদ্র : তার অনুমতি নিয়ে প্রশ্ন করা
5  আমার একটি জামার পিছনে  سلام  ( আমার মনে  হয় আল্লাহর গুণবাচক নাম এটি ) এই শব্দটা লেখা এটা নিয়ে কি ওয়াশরুমে যাওয়া যাবে?
6 ielts এর একটি মডিউলে হেডফোন লাগিয়ে  কিছু শুনে লিখতে হয় এটা  কি জায়েজ ( অনেক সময় পুরুষের কন্ঠে অনেক সময় নারীর কন্ঠে)?

1 Answer

0 votes
by (579,240 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(১-৪)
নামাজ ত্যাগকারীর ব্যাপারে হাদীস শরীফে কঠিন হুমকি এসেছে।
,  
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ: أَتَى رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلٌ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ عَلِّمْنِيْ عَمَلًا إِذَا أَناَ عَمِلْتُهُ دَخَلْتُ الْجَنَّةَ قَالَ لاَ تُشْرِكْ بِاللهِ شيئاً وَإِنْ عُذِّبْتَ وَحُرِّقْتَ وَأَطِعْ وَالِدَيْكَ وَإِنَّ أخرجاك مِنْ مَالِكٍ وَمِنْ كُلِّ شَيٍّء هُوَ لَكَ وَلاَ تَتْرُكِ الصَّلاَةَ مُتَعَمِّدًا فَإِنَّهُ مَنْ تَرَكَ الصَّلاَةَ مُتَعَمِّدًا فَقَدْ بَرِئَتْ مِنْهُ ذِمَّةُ اللهِ

মুআয বিন জাবাল (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলল, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমাকে এমন আমল শিখিয়ে দেন; যা করলে আমি জান্নাত প্রবেশ করতে পারব।’ তিনি বললেন, ‘‘তুমি আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে শরীক (অংশী) করো না; যদিও তোমাকে সে ব্যাপারে শাস্তি দেওয়া হয় এবং পুড়িয়ে মেরে ফেলা হয়। তোমার মাতা-পিতার আনুগত্য কর; যদিও তারা তোমাকে তোমার ধন-সম্পদ এবং সমস্ত কিছু থেকে দূর করতে চায়। আর ইচ্ছাকৃত নামায ত্যাগ করো না; কারণ, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত নামায ত্যাগ করে তার উপর থেকে আল্লাহর দায়িত্ব উঠে যায়।
(ত্বাবারানীর আউসাত্ব ৭৯৫৬, সহীহ তারগীব ৫৬৯)

অন্য হাদীসে আছেঃ
 
عَن ابنِ مَسْعُوْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنهُ قَالَ مَن تَرَكَ الصَّلاَةَ فَلاَ دِينَ لَه

ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি নামায ত্যাগ করে, তার দ্বীনই নেই।

(মুছান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৭৬৩৭, ৩০৩৯৭, ত্বাবারানীর কাবীর ৮৮৪৭-৮৮৪৮, বাইহাক্বীর শুআবুল ঈমান ৪৩, সহীহ তারগীব ৫৭৪)
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সে যেহেতু আপনার ক্লোজ ফ্রেন্ড,সুতরাং তাকে জোড় করে মসজিদে নিয়ে যেতে পারেন।
তবে এতে ঝগড়াঝাটি হলে সেক্ষেত্রে জোড় করবেননা। বারবার নামাজের দাওয়াতে সে ঝগড়াঝাটি করতে আসলে সেক্ষেত্রে বারবার দাওয়াত না দিয়ে দাওয়াতের ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করবেন।

তার বাবা মাকে বিষয়টি জানিয়ে তাদের মাধ্যমে চাপ দিবেন,এলাকার মসজিদের ইমাম সাহেবের কাছে নিয়ে গিয়ে ইমাম সাহেবকে দিয়ে বুঝাবেন,৩ দিন বা এক চিল্লার জন্য তাকে তাবলীগে পাঠাতেও পারেন।

(০৫)
এখানে যদি আল্লাহর নাম বুঝানো হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে তো উক্ত গেঞ্জি পরিধান করে বাথরুমে যাওয়া জায়েজ নেই।

হ্যাঁ যদি সেখানে কাউকে সালাম দেয়া বুঝানো হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে আর কোনো সমস্যাকর কিছু লেখা না থাকলে সেই গেঞ্জি পরিধান করে বাথরুমে যাওয়া যাবে। 

আরো জানুনঃ- 

(০৬)
পুরুষের কন্ঠে হলে জায়েজ, নারীর কন্ঠে হলে সেক্ষেত্রে ইস্তেগফার পাঠ করে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by

৫ নং প্রশ্নের উত্তর দেওয়া 

৫ নং প্রশ্নের উত্তরে দেওয়া টি-শার্টের সিম্বল দেখা যাচ্ছে না  error দেখায়। 
আমার দেওয়ার পেছনে শুধু  (  سلام  peace) লেখা
by (579,240 points)
উক্ত টি শার্ট পরিধান করে ইস্তেঞ্জা খানায় যাবেননা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...