জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
(১-৪)
নামাজ ত্যাগকারীর ব্যাপারে হাদীস শরীফে কঠিন হুমকি এসেছে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ: أَتَى رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلٌ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ عَلِّمْنِيْ عَمَلًا إِذَا أَناَ عَمِلْتُهُ دَخَلْتُ الْجَنَّةَ قَالَ لاَ تُشْرِكْ بِاللهِ شيئاً وَإِنْ عُذِّبْتَ وَحُرِّقْتَ وَأَطِعْ وَالِدَيْكَ وَإِنَّ أخرجاك مِنْ مَالِكٍ وَمِنْ كُلِّ شَيٍّء هُوَ لَكَ وَلاَ تَتْرُكِ الصَّلاَةَ مُتَعَمِّدًا فَإِنَّهُ مَنْ تَرَكَ الصَّلاَةَ مُتَعَمِّدًا فَقَدْ بَرِئَتْ مِنْهُ ذِمَّةُ اللهِ
মুআয বিন জাবাল (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলল, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমাকে এমন আমল শিখিয়ে দেন; যা করলে আমি জান্নাত প্রবেশ করতে পারব।’ তিনি বললেন, ‘‘তুমি আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে শরীক (অংশী) করো না; যদিও তোমাকে সে ব্যাপারে শাস্তি দেওয়া হয় এবং পুড়িয়ে মেরে ফেলা হয়। তোমার মাতা-পিতার আনুগত্য কর; যদিও তারা তোমাকে তোমার ধন-সম্পদ এবং সমস্ত কিছু থেকে দূর করতে চায়। আর ইচ্ছাকৃত নামায ত্যাগ করো না; কারণ, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত নামায ত্যাগ করে তার উপর থেকে আল্লাহর দায়িত্ব উঠে যায়।
(ত্বাবারানীর আউসাত্ব ৭৯৫৬, সহীহ তারগীব ৫৬৯)
অন্য হাদীসে আছেঃ
عَن ابنِ مَسْعُوْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنهُ قَالَ مَن تَرَكَ الصَّلاَةَ فَلاَ دِينَ لَه
ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি নামায ত্যাগ করে, তার দ্বীনই নেই।
(মুছান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৭৬৩৭, ৩০৩৯৭, ত্বাবারানীর কাবীর ৮৮৪৭-৮৮৪৮, বাইহাক্বীর শুআবুল ঈমান ৪৩, সহীহ তারগীব ৫৭৪)
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সে যেহেতু আপনার ক্লোজ ফ্রেন্ড,সুতরাং তাকে জোড় করে মসজিদে নিয়ে যেতে পারেন।
তবে এতে ঝগড়াঝাটি হলে সেক্ষেত্রে জোড় করবেননা। বারবার নামাজের দাওয়াতে সে ঝগড়াঝাটি করতে আসলে সেক্ষেত্রে বারবার দাওয়াত না দিয়ে দাওয়াতের ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করবেন।
তার বাবা মাকে বিষয়টি জানিয়ে তাদের মাধ্যমে চাপ দিবেন,এলাকার মসজিদের ইমাম সাহেবের কাছে নিয়ে গিয়ে ইমাম সাহেবকে দিয়ে বুঝাবেন,৩ দিন বা এক চিল্লার জন্য তাকে তাবলীগে পাঠাতেও পারেন।
(০৫)
এখানে যদি আল্লাহর নাম বুঝানো হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে তো উক্ত গেঞ্জি পরিধান করে বাথরুমে যাওয়া জায়েজ নেই।
হ্যাঁ যদি সেখানে কাউকে সালাম দেয়া বুঝানো হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে আর কোনো সমস্যাকর কিছু লেখা না থাকলে সেই গেঞ্জি পরিধান করে বাথরুমে যাওয়া যাবে।
আরো জানুনঃ-
(০৬)
পুরুষের কন্ঠে হলে জায়েজ, নারীর কন্ঠে হলে সেক্ষেত্রে ইস্তেগফার পাঠ করে নিবেন।