আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
24 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)

আমি আর কোনদিন হস্তমৈথুন করবো না বলে আল্লাহর নামে কসম করেছিলাম নামাজের পর মোনাজাতে বসে।

এরপর আমি একাধিকবার হস্তমৈথুন করে ফেলি।

পরে, বোধদয় হলে যথাযথভাবে কাফফারা আদায় করি।

কাফফারা আদায়ের পরে আর হস্তমৈথুন করবো না বলে নিয়ত করি মনে মনে।তবে আল্লাহর নামে কসম করে কোন নিয়ত বা ওয়াদা করি নাই বলেই দৃঢ় ভাবে মনে হয়। [৯০% নিশ্চিত ইন শা আল্লাহ]

এবং না করার নিয়তের সাথে এই নিয়ত ও ছিল যে এই বিষয়ে আল্লাহর নামে শপথ আর করবো না কেননা বিষয়টা থেকে বের হওয়া বেশ কষ্টসাধ্য এবং খানিকটা সময়ের প্রয়োজন হয়‌। এই বিষয়ে আল্লাহর সাহায্য চাচ্ছি।

কিন্তু দুঃখের বিষয় আমি,
কাফফারা আদায়ের পর শয়তানের ধোঁকায় পরে পুনরায় অশ্লীল ছবি দেখি এবং হস্তমৈথুন করে ফেলি।
যার জন্যে ভীষণ অনুতপ্ত হচ্ছি।এখন তওবা করতে চাচ্ছি।

প্রশ্ন ১: আমার কি পুনরায় কাফফারা আদায় করতে হবে?
প্রশ্ন ২: অনুগ্ৰহ করে সহিহ তওবার পদ্ধতি জানাবেন।

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
শরীয়তের বিধান হলো, মনে মনে কসম করলে কসম হয়না।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।
ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

তালাক সংক্রান্ত এরকম একটি মাসয়ালা ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ-
   
قال في الدر فلو طلق أو استثنی ولم یسمع نفسہ لم یصح في الأصح (درمختار شامی: ۱/۳۹۵)
সারমর্মঃ
কেহ যদি তালাক দেয়,বা ইস্তেছনা করে,নিজে নিজে যদি তাহা শুনতে না পারে,তাহলে উক্ত তালাক সহীহ হবেনা।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নের বিবরন মতে এক্ষেত্রে কাফফারা আবশ্যক হবেনা। 
খালেস দিলে তওবা করা আবশ্যক। 

(০২)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...