ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আপনার বর্ণনাকৃত পেশা জায়েয হবে না।কেননা এটা
এম এল এম ব্যবসা মনে হচ্ছে।আর এম এল এম ব্যবসা নাজায়েয।
এম. এল. এম কম্পানি সমূহে শরীয়তের বেশ কিছু নিষিদ্ধ বিষয়াবলী পাওয়া যাওয়ার ধরুন উলামায়ে কেরামগণ উক্ত ব্যবসা কে নাজায়েয বলে থাকেন।
নিষিদ্ধ বিষয় সমূহ যেমনঃ -
(১)এক চুক্তির মধ্যে অন্য চুক্তির শর্ত করা।
(صفقتان في صفقة)
(২)চুক্তিকে শর্তের সাথে ঝুলন্ত রাখা।
(التعليق بالشرط)
(৩)ধোঁকা ও অনিশ্চয়তা
(غرر)
(৪)বিনিময়হীন শ্রম
(العمل بلا أجرة)
(৫) শ্রমহীন বিনিময়
الأجرة بلا عمل
(৬)সুদ ( الربا)
এসবই শরীয়তে নিষিদ্ধ। এম.এল এম এর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ,তাদের নিয়ম-পদ্ধতির বিশ্লেষণ ও এ সকল প্রতিষ্টানের অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের অভিমতের আলোকে জানা যায় যে,এ ব্যবসা পদ্ধতিতে উল্লিখিত নিষিদ্ধ বিষয়গুলো ছাড়া আরোও কিছু শরীয়াত নিষিদ্ধ বিষয় রয়েছে।সুতরাং কোনো মুসলমানের জন্য এ সকল কম্পানির সাথে কোনোভাবে সম্পৃক্ত হওয়া জায়েয ও বৈধ হবে না।তাই প্রতিটি মুসলমানের উচিৎ ঈমানী দাবীতে এম.এল.এম বর্জন করা। আল্লাহ তা'আলা সকল মুসলমানকে এম.এল.এম সহ সকল প্রকার নাজায়েয লেনদেন থেকে বেঁচে থাকার তাওফীক দান করুক।আমীন।(দরসুল ফিকহ-হাটহাজারী-১/৩০৫)
তবে উল্লিখিত নিষিদ্ধ বিষয়াবলী না থাকলে, কমিশন ভিত্তিতে কোনো কম্পানির শুধুমাত্র এজেন্ট হয়ে মার্কেটিং করা জায়েয আছে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/340
(২)
অনলাইনে নারী টিচারের ক্লাস করা যাবে না। কেননা এতে ফিতনার আশংকা রয়েছে।
(৩)কোনো কোম্পানিতে মাঠ পর্যায়ে কোনো পদে চাকরি করে সেই কোম্পানির পরিপূর্ণ হক আদায় করে নিজের পার্সোনাল কোন এফিলিয়েট প্রোডাক্ট (10 minute school-এর বিভিন্ন কোর্স) সেল করলে বা জনসংযোগ করা জায়েয হবে না। হ্যা, অফিস টাইম না হলে জায়েয হবে।