(০১)
স্ত্রীর জন্য জরুরি হলো স্বামীর অধিকার রক্ষা করা,তার সাথে সদব্যবহার করা।
অনুরূপ ভাবে স্বামীর জন্যেও জরুরি হলো স্ত্রীর অধিকার রক্ষা করা,তার সাথে সদব্যবহার করা।
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন
ألا واستوصوا بالنساء خيرا، فإنما هن عوان عندكم ليس تملكون منهن شيئا غير ذلك
শোন হে! তোমরা আমার পক্ষ হতে নারীদের প্রতি সদাচরণের উপদেশ গ্রহণ কর। তারা তো তোমাদের কাছে আটকে আছে। তোমরা তাদের কাছ থেকে এছাড়া আর কিছুর অধিকার রাখো না। (জামে তিরমিযী, হাদীস: ১০৮৩
কুরআন মাজীদের ভাষ্য অনুযায়ী বিবাহের অন্যতম প্রধান লক্ষ হলো
لِتَسْكُنُوا إِلَيْهَا
যাতে তোমরা স্ত্রীদের সান্নিধ্যে পৌঁছে (দেহমনের) প্রশান্তি লাভ করতে পার (রূম : ২১)।
হাদীসে আছে,
إذا دعا الرجل زوجته لحاجته فالتأته، وإن كانت على التنور
স্বামী যখন নিজ প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডাকবে তখন সে যেন তাতে সাড়া দেয়, যদিও সে চুলায় (রান্নার কাজে) থাকে (জামে তিরমিযী, হাদীস : ১১৬০; সুনানে নাসাঈ, হাদীস : ৮৯৭১)।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন স্ত্রীর উপর স্বামীর খেদমত আবশ্যক,সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু স্বামীর অধিকাংশ সময়েই না খেয়ে বের হতে হয়,তাই বিষয়টি স্বামীর সাথে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
প্রয়োজনে পারিবারিক ভাবে বসে রান্নার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেই বিষয়টি মিটমাট করতে হবে।
,
তারপরেও যদি রান্নার কাজ আপনার উপর রাখা দেওয়া হয়,আর আপনার স্বামী এই কষ্টকে মেনে নেয়,তাহলে তো কোনো সমস্যাই নেই।
,
তবে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্বামীর না খেয়ে যাওয়াতে আপনার কোনো গুনাহ হবেনা।
,
উক্ত ঘর মোছা ইত্যাদি কাজ আপনার উপর শরীয়ত কর্তৃক জরুরি নয়।
তারপরেও যেহেতু পর্দার সমস্যা আছে,তাই সেই রুম গুলো পরিস্কারের জন্য কোনোভাবেই আপনার যেতে হবেনা।
,
বিষয়টি নিয়ে সমস্যা করা হলে পর্দার বিষয়টি বুঝাবেন,না বুঝলে এটার জন্যেও পারিবারিকভাবে স্বামী সহকারে বসে বুঝান।
,
ইনশাআল্লাহ সমাধান হবে।
আরো জানুনঃ
,
(০২)
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মহিলাদের জন্য হোস্টেলে থেকে পর্দার শহিত, শরিয়তের বিধি বিধান মেনে চলে, জ্ঞানার্জন করা জায়েজ আছে।
তবে শর্ত হলো হোস্টেলে কোনো পুরুষ না থাকা,ফেতনার আশংকা না থাকা,সফরের দূরত্বে হল সেখানে আসা যাওয়ার মাঝে কোনো মাহরাম পুরুষের সাথে যাওয়া ইত্যাদি।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن أبي سعيد الخدري قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم لا يحل لإمرأة تؤمن بالله واليوم الآخر أن تسافر سفرا يكون ثلاثة أيام فصاعدا إلا ومعها أبوها أو ابنها أو زوجها أو أخوها أو ذو محرم منها
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ আল্লাহ তাআলা এবং কিয়ামত দিবসের উপর ঈমান রাখে
এমন কোন মহিলার জন্য জায়েজ নয়, তিন দিন বা এর চেয়ে অধিক দিনের সফর করে অথচ তার সাথে তার পিতা, তার ছেলে, বা তার স্বামী বা তার ভাই কিংবা কোন মাহরাম না থাকে। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৪২৩}
বিস্তারিত জানুনঃ