আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
46 views
in পবিত্রতা (Purity) by (5 points)
নিম্নোক্ত বিষয়গুলো কুসংস্কার নাকি জানতে চাচ্ছি।

১. নাপাক হলে বা গোসল ফরয হলে  এবং মাসিকের জ্বীন আছর করা বা আক্রমণ করার অনেক বেশি ঝুকি থাকে।

২. মাসিকের সময় ব্যবহৃত প্যাড যেকোনো স্থানে ফেলা যাবে না, এতে ওই স্থানে জ্বীন আছর করে।

৩. মেয়েরা বাসায় উলঙ্গ অবস্থায় থাকলে জ্বীনরা খুশি হয়, খুশিতে নৃত্য করে, লজ্জাস্থান নিয়ে খেলা করে।

1 Answer

0 votes
by (62,400 points)

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/59703/ নং ফাতওয়াতে আমরা বলেছি যে,

কিছু রুকইয়ার পরমার্শ দিচ্ছি:

(১) সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে পালন করা এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।

(২) অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।

(৩) দু', জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।


নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।

بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ،

দেখুন- http://istefta.info/1093


প্রত্যক নামাযের পর ঘুমাইবার সময় এবং সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়া এবং ঘুমাইবার সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস তিনবার করে পড়া এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার করে পড়া।

لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،

প্রতিদিন সকাল সাতটা করে খেজুর খাওয়া। মদিনার খেজুর হলে ভালো (এলাজে কুরআনী-০৩)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/10103


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


১. অনেক দীর্ঘ সময় নাপাক অবস্থায় থাকা ঠিক নয়। তাই মাসিক অবস্থায়ও উপরোক্ত আমলগুলো করবেন। মূলত রুকইয়ার আমলগুলো না করলে জ্বীনের আছর হওয়ার সম্ভবনা থাকে। যেহেতু অনেকে নাপাক অবস্থায় বা হায়েজ অবস্থায় এই আমলগুলো করেন না তখন এমন সম্ভবনা থাকে।

২. এমনিতেই যে কোনো স্থানে এগুলো ফেলা ঠিক নয়।

আরো জানুন - https://ifatwa.info/14760/

৩. বাসাতেও উলঙ্গ অবস্থায় থাকা ঠিক নয়। আর এটা মূলত দুআ না পড়ে টয়লেটে প্রবেশ করলে তখন জ্বীন বা শয়তান লজ্জাস্থান দেখে বা ক্ষতি করার চেষ্টা করে।  

وَعَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ هَذِهِ الْحُشُوشَ مُحْتَضَرَةٌ فَإِذَا أَتَى أَحَدُكُمُ الْخَلَاءَ فَلْيَقُلْ: أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الْخُبْثِ والخبائث . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه

যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এসব পায়খানার স্থান হচ্ছে (জিন্ ও শায়ত্বনের (শয়তানের)) উপস্থিতির স্থান। সুতরাং তোমাদের যারা পায়খানায় যাবে তারা যেন এ দু’আ পড়েঃ ’’আ’ঊযু বিল্লা-হি মিনাল খুবুসি ওয়াল খবা-য়িস’’- (অর্থাৎ- আমি নাপাক নর-নারী শায়ত্বন (শয়তান) থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই)। (আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ্)[1]

[1] সহীহ : আবূ দাঊদ ৬, ইবনু মাজাহ্ ২৯৬, সহীহুল জামি‘ ২২৬৩।


হাদীস শরীফে এসেছে-

وَعَنْ عَلِيٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «سَتْرُ مَا بَيْنَ أَعْيُنِ الْجِنِّ وَعَوْرَاتِ بَنِي آدَمَ إِذَا دَخَلَ أَحَدُهُمُ الْخَلَاءَ أَنْ يَقُولَ بِسْمِ اللَّهِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ وَإِسْنَاده لَيْسَ بِقَوي

আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ পায়খানায় প্রবেশ করবে তখন জিন শয়তানের চোখ আর বনী আদমের লজ্জাস্থানের মধ্যে পর্দা হলো ’’বিসমিল্লা-হ’’ বলা। (তিরমিযী; [1] ইমাম তিরমিযী বলেছেনঃ হাদীসটি গরীব, এর সনদ দুর্বল) [1] সহীহ: তিরমিযী ৬০৬, সহীহুল জামি‘৩৫১১।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...