আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
39 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)
reshown by
১. হাসব্যান্ড: এই ভিডিও টা দেখো। হাসব্যান্ড ওয়াইফ সেইম প্রফেশনের হলে কি হয়?

আমি: ভিডিও না দেখে আন্দাজে বলেছি যে হাসব্যান্ড ওয়াইফ দুই জন ডাক্তার। অপারেশন থিয়েটারে অপারেশন না করে দুই জন ঝগড়া শুরু করেছে।

হাসব্যান্ড: হ, দিয়ে বলছে, আমি তোমাকে  ডিভোর্স দিবো( ভিডিওতে স্বামী স্ত্রী কে ডিভোর্স দিয়েছে সেটা বুঝায়েছে)।তুমি কি ভিডিও টা দেখেছ??

এই ঘটনার জন্য আমাদের বিয়ের কোনো সমস্যা হবে না তো?

২. আমি আমার ওয়াইফকে বলছিলাম যে আমার বন্ধু বলবে বউ(বউ বলার সময় আমি আমার বউ এর গায়ে হাত দিয়ে বলি) আমাকে দিয়ে আর এই কাজ হবে না(হবে না বলার সময় আমি হাত দিয়ে না ইশারা করি) ।এইটা কি কেনায়া বাক্য এর মধ্যে পড়বে?

৩. শাশুড়ি ফোন দিয়ে স্বামী কে বলে যে ছোট বউমা(আমাকে) অনেকে দেখে নাই।

স্বামী বলে মানুষের বউ কে দেখার অতো শখ কেনো?

আমাকে এইখানে তো তাহলে মানুষের বউ বুঝানো হলো।এতে কোনো সমস্যা হবে?

৪. হাসব্যান্ড কে বুঝাতে শশুর শাশুড়ি কে বলি আপনার ছেলে এই কাজ করেছে/,,,,,. চাচা শশুর,চাচী শাশুড়ি ,ফুপু শাশুড়ি,মামা শশুর শাশুড়ি এদের ও যদি বলি যে আপনার ছেলে(আমার হাসব্যান্ড) এই কাজ করেছে তাহলে কি সমস্যা হবে??কারণ উনাদের ও ছেলে আছে। আপনার ছেলে বললে আমার হাসব্যান্ড কে না বুঝায় উনাদের ছেলে কে বুঝাবে না তো।

৫.মাঝে মাঝে কথা বলার সময় যখন আমার শশুর/করো বাবার/আমার আব্বু সম্পর্কিত কথা বলার জন্য যখন  আব্বু বলি আমার স্বামীর কথা মনে হয় ।এইটা কি জিহার?

স্বামীর মাথাই হাত দেয়, হাত বুলাই দেয় ,যত্ন নেয় তখ্ন্ অবচেতনভাবে মনে হয় ছোটো বাচ্চার মোটো যত্ন নিচ্ছি আমি আমার বরের যেমন করে মা তার বাঁচা দের/ছেলে কেয়ার করে।এইটা কি জিহার?ঐসব তো ইচ্ছা করে মনে করিনা।

৬. একটা মাসয়ালা  জানার জন্য "ডিভোর্স দিবো / দিলাম" এইটা লিখেছি।এখন মনে হচ্ছে সমস্যা হবে নাকি।"ডিভোর্স দিবো / দিলাম"এই লিখা পড়তে পড়তে শুয়ে ঠিক উঠে বসছি তাই মাথা উচু নিচু হয়েছে।সমস্যা হবে কি?

৭. ডিভোর্স রিলেটেড কিসু বলে ফেলে যদি মনে না থাকে??
৮. কোনো ওয়াসওয়াসা রুগী ডিভোর্স রিলেটেড কিছু উচ্চারণ করে বলে ফেলে/বলার পর মনে না থাকে তাহলে কি হবে?

৯. হাসব্যান্ড আর ভাইয়ের ভুরি তুলনা করলে কি জিহার হবে?

হাসব্যান্ড কে যদি বলি যে তুমি আমার ভাইয়ের মতো মুড়ি খাও/ চিবাও তাহলে কি জিহার হবে?

এই সমস্যা টা লিখার সময় "হাসব্যান্ড কে বলি যে তুমি আমার ভাইয়ের মতো" এইটুকু লিখে মনে মনে এইটুকু পড়েছি এই জন্য কি সমস্যা হবে?এইটুকু যে লিখলাম  এইজন্য কি সমস্যা হবে?

আমার জানা মত মেয়েদের কথা দিয়ে জিহার  হয় না।

আমি যদি হাসব্যান্ড কে বলি যে তোমাকে দেখতে/তোমার লুক আমার সৎ বাবার মতো লাগছে? (এমন বলছে কারণ উনি যেমন কাপড় পড়েন আমার হাসব্যান্ড ও সেইভাবে তেমন কাপড় পড়েছে)

আমার হাসব্যান্ড যদি বলে যে আমি দেখতে দিন দিন আমার আম্মুর মত হয়ে যাচ্ছি

আমার ফেস শেইপ  আমার আম্মুর ফেসের মত  হয়ে যাচ্ছে।

বরকে বলেছি সে দেখাতে তার নানার মত। সে দেখতে আমার শশুর/শাশুড়ির মত না।

এইগুলা কি জিহার হবে?

১০. ভাসুর কে আত্মীয় বলে বুঝানো যাবে?? মামাতো ভাসুর কে বুঝতে শুধু ভাসুর বললে প্রবলম হবে?

১১. হাসব্যান্ড কে যদি বলি শশুরবাড়ি ঘুরতে যাব কবে ??  হাসব্যান্ড এর জবের জন্য আমরা দুই জন শশুরবাড়ি থেকে দূরে থাকি অন্য একটা শহরে। বিয়ের পর শশুরবাড়ি নিজের বাড়ি হয় তাহলে সেইখানে ঘুরতে যাব বলা টা কি ঠিক না ভুল??

১২.আমার বরের থেকে টাকা চাইলে শুধু বলে কি করবে?

আমি দরকার ছাড়া ওর থেকে টাকা নেয়না।নিলো কি কি কোথায় খরচ হয়েছে তার হিসাব দিয়া দেই। কিন্তু আমার ও তো হাত খরচ দরকার হয়। আমি তো জব করি না।আমারও তো গিফট কিনতে ইচ্ছা করে ,গিফট দিতে ইচ্ছা করে আমার ভাইদের। কিন্তু আমি জব না করাতে সেইটা সম্ভব হয় না। আমার হাসব্যান্ড বলে হাত খরচ দিয়ার নিয়ম নাই।

=>এখন আর কথা যদি মেয়েদের জব নিষেধ হয়,হাসব্যান্ড যদি হাত খরচ ও না দেই।তাহলে উইফ কি করবে?

=>.এই জন্য আমি আল্লাহ কে বলছিলাম আমার জব এর ব্যবস্থা করে দেন।(কিন্তু এই কথা মুখে উচ্চারণ করে শেষ করার সময়  আচমকা মনে মনে বলি) কারণ আমি বরের অধিনস্ত থাকে চায় না।কেনো  হঠাৎ এই কথা মনে হলো জানি না।ইচ্ছা করে বলিনি। এই কথা দিয়ে কি আমাদের বিয়ের সমস্যা হবে?

১৩.এখন যেসব মেক আপ ব্যবহার  সেগুলা ওয়াটার রেজিস্টেন্ট। শুধু  ফেস ওয়াশ ইউজ করে রিমুভ হয় না।এই ক্ষেত্রে  শুধু ফেস ওয়াশ ইউজ করে ওজু  করলে ওজু হবে?

ভ্যাসলিন লোশন, অন্য ফেস ক্রিম মাখা কিছুক্ষণ পর ওজু করা যাবে কি??নাকি পানি পৌঁছাবে  না?? ভ্যাসিন পেট্রোলিয়াম জেলি মাখার কিছু ক্ষণ পর ওজু করলে কি পানি পৌঁছাবে?? কারণ মনে হয় একটা লেয়ার হয়ে থাকে।

১৪. হাসব্যান্ড যদি আমার আম্মুর সঙ্গে আমার তুলনা করে বলে আমি আমার আম্মুর মত।
এই কথা বলার পর জিজ্ঞেসা করলে বলে ফেস কাটিং, ফেস শেইপ, দৈহিক গঠন, চিকন / লম্বা এইটা বুঝাইছে।এইটা কি জিহার হবে?

১৫.স্বামী কে যদি  বলি যে আমার ভাইদের নিজের ভাই এর মত দেখে রাখিও। এমন বললে কি আমাদের বিয়ের সমস্যা  হবে?

১৬. নানা শশুর কে ভুল করে শশুর বলে ডাকলে সমস্যা হবে? মামী শাশুড়ি কি ভুল করে মা বলে ডাকলে সমস্যা হবে?

১৭.বরকে ভুলে ভাইয়ের নাম ধরে ডাকলে সমস্যা হবে?

১৮.ফ্রী ফিল হচ্ছে হাসব্যান্ড কে এইটা বললে কি কেনায়া বাক্য হবে?

ফ্রেশ ফিল হচ্ছে বলতে যেয়ে ফ্রি বলে ফ্রেশ ফিল হচ্ছে বলছি ।

১৯.সূরা বাকারা পড়ছিলাম ২২৯/২৩০ আয়াত পড়ার সময় হঠাৎ বাংলা মিনিং এ চোখ যায় তখন দেখি তালাক ওয়ার্ড টা লিখা।তারমানে এইগুলা তালাক সম্পর্কিত ওয়ার্ড তখন থেকে শুরু হলো ঝামেলা। আমি জোরে জোরে উচ্চারণ করে পড়ছিলাম।আর জোরে পড়ার জন্য তো আমার বর শুনতেই পারছিল ( আমার বর অবশ্য পাশে রুমে ছিলো) । তালাক শব্দটা পড়ার সময় আমার বরের ফেস মনে হয় । আমি মিনিং না দেখলে বুঝতাম না যে এইগুলা তালাক সম্পর্কিত আয়াত তখন এই ওয়ার্ড টা আরবীতে পড়লে মনে হয় না আমার বরের ফেস মনে হয়।কিন্তু মিনিং দেখে তালাক ওয়ার্ড টা পড়ার সময় আমার বরের ফেস মনে হয়। পরে আমি অনেক কেয়ারফুল ভাবে পড়ার চেষ্টা করি যেনো তালাক ওয়ার্ড টা পড়ার সময় আমার বরের ফেস মনে না পরে কিন্তু ওয়ার্ড টা দেখলেই যেনো মস্তিষ্ক বেশি সক্রিয় হয়ে আরো বেশি করে বরের ফেস মনে করাচ্ছে।বেশির ভাগ সময় এমন হয়েছে আর তালাক ওয়ার্ড টা পড়ার সময় আমর বরের ফেস মনে হয়েছে।কয়েক আয়াত পড়ার পর শেষে আমি অনেক আসতে আসতে পড়তে শুরু করেছি।এখন আমি এই নিয়ে ভয়ে আছি।এমনকি কাফির,জালিম ওয়ার্ড পড়ার সময় আজ একবার আমার বরের ফেস মনে হয়েছে। আমি এইসব ইচ্ছা করে করিনি।এমনকি এইসব ভাবতেও চাইনি। আমাদের বিয়ের সমস্যা হয়নি তো?

প্রথমে ভাবছিলাম যে এইগুলা তো আয়াত পড়ছি । ঐসময় বরের ফেস মনে হলে সমস্যা নাই।কিন্তু এখন বই লাগছে কারন মুখে উচ্চারণ করে পড়েছি আর  জঘন্য ওয়ার্ডটা পড়ার সময় বরের ফেস মনে পড়েছে।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলমানকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনের মধ্যে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়। কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলম-জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাস'আলা মাসায়েল বা ফাতাওয়া অধ্যায়ের প্রশ্ন-উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন। যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বলছি, যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুক।আমীন।চুম্মা আমীন। https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa

বিঃদ্র
ওয়াসওয়াসা কোর্স সম্পন্ন করার পর অফিস থেকে একটি কোড দেয়া হবে, সেই কোড উল্লেখ পূর্বক পোষ্ট করতে হবে।নতুবা ওয়াসওয়াসা রোগীদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 260 views
...