আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
278 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
closed by
ক) ঘুমের জন্য কোন নামায কাযা হয়ে গেলে যদি সে ঘুম থেকে উঠে কারো সাথে কথা না বলে নামায পড়ে নেয়, তবে নাকি ওয়াক্তের মধ্যেই নামায পড়া হয়েছে বলে গণ্য হয়।এইটা কি সত্য?

খ) একদিন সফরে ফজরের জামাতে একজন ইমামতি করেছে সুরা লাহাব এ হাম্মালাতাল হাত্বব কে হাতাব বলেছেন। মানে ত্বোয়া কে তা।  আরো ভুল ছিলো এরকম। অথচ আমি এইসব ভালোভাবেই পড়তে পারতাম ইমাম হলে। আমার উপযুক্ততা তো বেশি ছিল এই ক্ষেত্রে।
i) নামায কি ভেঙেছে?
ii)সবার নামায কি আবার পড়তে হবে নাকি শুধু আমার?

গ) সূরা কদর এ
মিন কুল্লি আমর কে মিন ক্বুল্লি আমর। মানে কাফ কে ক্বফ।  আমি ইমাম ছিলাম।  ভুলবশত ভুল হয়েছে। মানে জানি যে কাফ হবে। কিন্তু পড়তে গিয়ে ক্বফ পড়েছি।
i) এতে কি আমার বা অন্যদের নামায ভেঙেছে?
ii) মুক্তাদির কি আবার নামায পড়তে হবে?
iii)এতে আমার আবার পুরো আয়াত বা ঐ পার্ট পড়া কি করনীয় ছিল?

ঘ) সবারই যদি উচ্চারণে সমস্যা থাকে তাহলে কে ইমাম হবে?

ঙ)উস্তাদ
আমাদের উস্তাদরা তাহলে আমাদের বইয়ের পিডিএফ কেন দিচ্ছে দরসের পরে?যদি এইটা হারাম হয়। নাকি এইসব বইয়ের লেখক বইকে স্বত্ত্ব মুুুক্ত করে দিয়েছেন?
closed

1 Answer

+1 vote
by (675,600 points)
selected by
 
Best answer
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- « إِذَا رَقَدَ أَحَدُكُمْ عَنِ الصَّلاَةِ أَوْ غَفَلَ عَنْهَا فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا فَإِنَّ اللَّهَ يَقُولُ أَقِمِ الصَّلاَةَ لِذِكْرِى

অনুবাদ-যখন তোমাদের কেউ নামায ছেড়ে ঘুমিয়ে পড়ে, বা নামায থেকে গাফেল হয়ে যায়, তাহলে তার যখন বোধোদয় হবে তখন সে যেন তা আদায় করে নেয়। কেননা আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-আমাকে স্মরণ হলে নামায আদায় কর।

(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬০১
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১২৯৩২
সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৪১৮২)
,
সুতরাং ঘুম থেকে উঠেই পবিত্রতা অর্জন করে নামাজ পড়তে হবে।
তবে নিষিদ্ধ ওয়াক্তে নামাজ আদায় করা যাবেনা।
,
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
যদি ওয়াক্ত চলে যায়,তাহলে নামাজ আদায় করলে সেটি কাজা নামাজ হয়।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি ওয়াক্ত চলে গিয়ে থাকে,তাহলে কোনোভাবেই সেটি ওয়াক্তের মধ্যেই আদায় হয়েছে,বলা যাবেনা।
,
(০২)
★নামাজের ভিতর লাহনে জলি (অর্থ পরিবর্তন) হয়, এমন ভুল পড়ার দ্বারা নামাজ নষ্ট হয়ে যায়। 

বিস্তারিত জানুনঃ 

সুরা লাহাবের ০৪ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

وَّ امۡرَاَتُهٗ ؕ حَمَّالَۃَ الۡحَطَبِ ۚ﴿۴﴾
আর তার স্ত্রী লাকড়ি বহনকারী,
এবং তার স্ত্রীও-যে ইন্ধন বহন করে।

حَطَب ج أَحْطَاب
[হাতব] শব্দের অর্থঃ  
জ্বালানি কাঠ,লাকড়ি,কুৎসা।
,
এখানে আবু জাহলের স্ত্রী উম্মে জামীলের অবস্থা বর্ণনা প্রসঙ্গে (حَمَّالَةَ الْحَطَبِ) বলা হয়েছে। এর শাব্দিক অর্থ শুষ্ককাঠ বহনকারিণী। আরবের বাকপদ্ধতিতে পশ্চাতে নিন্দাকারীকে ‘খড়ি-বাহক’ বলা হত। শুষ্ককাঠ একত্রিত করে যেমন কেউ অগ্নি সংযোগের ব্যবস্থা করে, পরোক্ষে নিন্দাকার্যটিও তেমনি। এর মাধ্যমে সে ব্যক্তিবর্গ ও পরিবারের মধ্যে আগুন জ্বলিয়ে দেয়। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরামকে কষ্ট দেয়ার জন্যে আবু লাহাব পত্নী পরোক্ষ নিন্দাকার্যের সাথেও জড়িত ছিল। অধিকাংশ তাফসীরবিদ এখানে এ তাফসীরই করেছেন। অপরপক্ষে কোন কোন তাফসীরবিদগণ একে আক্ষরিক অর্থেই রেখেছেন এবং কারণ এই বর্ণনা করেছেন যে, এই নারী বন থেকে কন্টকযুক্ত লাকড়ি চয়ন করে আনত এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কষ্ট দেয়ার জন্যে তার পথে বিছিয়ে রাখত।
,
তার এই নীচ ও হীন কাণ্ডকে কুরআন (حَمَّالَةَ الْحَطَبِ) বলে ব্যক্ত করেছে। ইমাম তাবারী এ উক্তিটি গ্রহণ করেছেন। কেউ কেউ বলেন যে, তার এই অবস্থাটি হবে জাহান্নামে। সে জাহান্নামে লাকড়ি এনে জাহান্নামে তার স্বামীর উপর নিক্ষেপ করবে, যাতে অগ্নি আরও প্ৰজ্বলিত হয়ে উঠে, যেমন দুনিয়াতেও সে স্বামীকে সাহায্য করে তার কুফার ও জুলুম বাড়িয়ে দিত। 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ভুল যদি ইমাম ঠিক জানা সত্ত্বেও হঠাৎ করে মুখ ফসকে তা বের হয়,তাহলে নিকটতম মাখরাজ হওয়ার কারনে ইসলামী স্কলারদের মতে নামাজ হয়ে যাবে।
তবে সতর্কতামূলক উক্ত নামাজ পুনরায় পড়া প্রয়োজন।
,
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে যে এই জাতীয় তার অনেক ভুল হয়েছে।
সুতরাং এক্ষেত্রে যেহেতু আপনি শুদ্ধ কিরাআত জানতেন,তাই এই ছুরতে ইমাম মুক্তাদি কাহারই নামাজ হয়নি।
পুনরায় সকলকে নামাজ আদায় করতে হবে। 
,
(০৩)
قل শব্দের অর্থ  খাওয়া।
كل শব্দের অর্থ প্রত্যেক।
সুতরাং এই ছুরতে অর্থ ফাসেদ হয়ে গিয়েছে।     
এই ছুরতে ইমাম মুক্তাদি কাহারই নামাজ হয়নি।
পুনরায় সকলকে নামাজ আদায় করতে হবে। 
,
আপনার উক্ত আয়াত,উক্ত স্থান পুনরায় সঠিক করে পড়তে হতো।
,
(০৪)
যার কিছুটা ভালো,সেই ইমাম হবে।
,
তবে খুব দ্রুত ভালো কিরাআত পারে,এমন কাওকে সেখানে ইমাম নিয়োগ দেওয়া জরুরি। 
,
(০৫)
এসব বইয়ের প্রকাশনী থেকে অনুমতি নিয়েই পিডিএফ তৈরী করা হয়েছে।   
,
সুতরাং এগুলোর পিডিএফ পড়তে কোনো সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 907 views
...