জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- « إِذَا رَقَدَ أَحَدُكُمْ عَنِ الصَّلاَةِ أَوْ غَفَلَ عَنْهَا فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا فَإِنَّ اللَّهَ يَقُولُ أَقِمِ الصَّلاَةَ لِذِكْرِى
অনুবাদ-যখন তোমাদের কেউ নামায ছেড়ে ঘুমিয়ে পড়ে, বা নামায থেকে গাফেল হয়ে যায়, তাহলে তার যখন বোধোদয় হবে তখন সে যেন তা আদায় করে নেয়। কেননা আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-আমাকে স্মরণ হলে নামায আদায় কর।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬০১
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১২৯৩২
সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৪১৮২)
,
সুতরাং ঘুম থেকে উঠেই পবিত্রতা অর্জন করে নামাজ পড়তে হবে।
তবে নিষিদ্ধ ওয়াক্তে নামাজ আদায় করা যাবেনা।
,
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
যদি ওয়াক্ত চলে যায়,তাহলে নামাজ আদায় করলে সেটি কাজা নামাজ হয়।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি ওয়াক্ত চলে গিয়ে থাকে,তাহলে কোনোভাবেই সেটি ওয়াক্তের মধ্যেই আদায় হয়েছে,বলা যাবেনা।
,
(০২)
★নামাজের ভিতর লাহনে জলি (অর্থ পরিবর্তন) হয়, এমন ভুল পড়ার দ্বারা নামাজ নষ্ট হয়ে যায়।
বিস্তারিত জানুনঃ
সুরা লাহাবের ০৪ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَّ امۡرَاَتُهٗ ؕ حَمَّالَۃَ الۡحَطَبِ ۚ﴿۴﴾
আর তার স্ত্রী লাকড়ি বহনকারী,
এবং তার স্ত্রীও-যে ইন্ধন বহন করে।
حَطَب ج أَحْطَاب
[হাতব] শব্দের অর্থঃ
জ্বালানি কাঠ,লাকড়ি,কুৎসা।
,
এখানে আবু জাহলের স্ত্রী উম্মে জামীলের অবস্থা বর্ণনা প্রসঙ্গে (حَمَّالَةَ الْحَطَبِ) বলা হয়েছে। এর শাব্দিক অর্থ শুষ্ককাঠ বহনকারিণী। আরবের বাকপদ্ধতিতে পশ্চাতে নিন্দাকারীকে ‘খড়ি-বাহক’ বলা হত। শুষ্ককাঠ একত্রিত করে যেমন কেউ অগ্নি সংযোগের ব্যবস্থা করে, পরোক্ষে নিন্দাকার্যটিও তেমনি। এর মাধ্যমে সে ব্যক্তিবর্গ ও পরিবারের মধ্যে আগুন জ্বলিয়ে দেয়। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরামকে কষ্ট দেয়ার জন্যে আবু লাহাব পত্নী পরোক্ষ নিন্দাকার্যের সাথেও জড়িত ছিল। অধিকাংশ তাফসীরবিদ এখানে এ তাফসীরই করেছেন। অপরপক্ষে কোন কোন তাফসীরবিদগণ একে আক্ষরিক অর্থেই রেখেছেন এবং কারণ এই বর্ণনা করেছেন যে, এই নারী বন থেকে কন্টকযুক্ত লাকড়ি চয়ন করে আনত এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কষ্ট দেয়ার জন্যে তার পথে বিছিয়ে রাখত।
,
তার এই নীচ ও হীন কাণ্ডকে কুরআন (حَمَّالَةَ الْحَطَبِ) বলে ব্যক্ত করেছে। ইমাম তাবারী এ উক্তিটি গ্রহণ করেছেন। কেউ কেউ বলেন যে, তার এই অবস্থাটি হবে জাহান্নামে। সে জাহান্নামে লাকড়ি এনে জাহান্নামে তার স্বামীর উপর নিক্ষেপ করবে, যাতে অগ্নি আরও প্ৰজ্বলিত হয়ে উঠে, যেমন দুনিয়াতেও সে স্বামীকে সাহায্য করে তার কুফার ও জুলুম বাড়িয়ে দিত।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ভুল যদি ইমাম ঠিক জানা সত্ত্বেও হঠাৎ করে মুখ ফসকে তা বের হয়,তাহলে নিকটতম মাখরাজ হওয়ার কারনে ইসলামী স্কলারদের মতে নামাজ হয়ে যাবে।
তবে সতর্কতামূলক উক্ত নামাজ পুনরায় পড়া প্রয়োজন।
,
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে যে এই জাতীয় তার অনেক ভুল হয়েছে।
সুতরাং এক্ষেত্রে যেহেতু আপনি শুদ্ধ কিরাআত জানতেন,তাই এই ছুরতে ইমাম মুক্তাদি কাহারই নামাজ হয়নি।
পুনরায় সকলকে নামাজ আদায় করতে হবে।
,
(০৩)
قل শব্দের অর্থ খাওয়া।
كل শব্দের অর্থ প্রত্যেক।
সুতরাং এই ছুরতে অর্থ ফাসেদ হয়ে গিয়েছে।
এই ছুরতে ইমাম মুক্তাদি কাহারই নামাজ হয়নি।
পুনরায় সকলকে নামাজ আদায় করতে হবে।
,
আপনার উক্ত আয়াত,উক্ত স্থান পুনরায় সঠিক করে পড়তে হতো।
,
(০৪)
যার কিছুটা ভালো,সেই ইমাম হবে।
,
তবে খুব দ্রুত ভালো কিরাআত পারে,এমন কাওকে সেখানে ইমাম নিয়োগ দেওয়া জরুরি।
,
(০৫)
এসব বইয়ের প্রকাশনী থেকে অনুমতি নিয়েই পিডিএফ তৈরী করা হয়েছে।
,
সুতরাং এগুলোর পিডিএফ পড়তে কোনো সমস্যা নেই।