জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
ফরয গোসল করার সময় যদি কোনো কারনে বায়ু ত্যাগ হয় অথবা পেশাব বের হয় তখন আবার কুলি করা ও নাকে পানি দিতে হবেনা।
বিস্তারিতঃ-
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
إِنَّمَا الْوُضُوءُ مِمَّا خَرَجَ ، وَلَيْسَ مِمَّا دَخَلَ
শরীর থেকে যা কিছু বের হয় এ কারণে অযু ভেঙ্গে যায়, প্রবেশের দ্বারা ভঙ্গ হয় না। (সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী ৫৬৮)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই /বোন,
গোসলের দ্বারা শরীর পাক হওয়ার ক্ষেত্রে উক্ত বায়ু বের হওয়া ও না বের হওয়ার কোন সম্পর্কই নেই। এর দ্বারা গোসলের মাঝে কোন প্রভাব সৃষ্টি করবে না। গোসলের ফরজ আদায় করে গোসল আদায় করলে গোসল আদায় হবে যাবে। বায়ু বের হওয়ার দ্বারা মানুষ হুকুমের দিক থেকে নাপাক হয়, শারিরিক দিক থেকে নাপাক হয় না।
"و لو ضرب یدیه فقبل أن یمسح أحدث لا یجوز المسح بتلک الضربة کما لو أحدث في الوضوء بعد غسل بعض الأعضاء الخ."
(الفتاوی الهندیة، کتاب الطھارة، الباب الرابع فی التیمم، الفصل الأول،26/1، ط: المطبعة الکبری الأمیریة، بولاق، مصر)
সারমর্মঃ-
যদি কাহারো তায়াম্মুম করার জন্য মাটিতে হাত মারার পর মাসাহ করার পূর্বেই অযু ভেঙ্গে যায়, তাহলে ওই হাত দ্বারা মাসাহ জায়েজ নেই। কারো যদি গোসলের কয়েকটি অঙ্গ ধোয়ার পর আবার অজু ভেঙ্গে যায় সেক্ষেত্রেও এমনটি হবে।
যদি গোসলের মাঝে ওযু ভেঙ্গে যায় তাহলে পুরোপুরি গোসল দ্বিতীয়বার করা আবশ্যক হবে না তবে গোসলের পূর্ণতার জন্য বাকি অঙ্গ গুলো ধোয়াই যথেষ্ট।
তদুপরি গোসলের মধ্যে ওযু ভেঙ্গে যাওয়ার পর যদি ওযুর অঙ্গ গুলো ধোয়া না হয় সেক্ষেত্রে গোসলের পর পুরোপুরি অজু করে নেওয়া আবশ্যক তবে যদি গোসলের মাঝে ওযু ভেঙ্গে যাওয়ার পর অজুর অঙ্গ গুলো ধোয়া হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে অযু করা জরুরী নয়।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বায়ু বের হচ্ছে হোক সমস্যা নেই, আপনি আপনার মত গোসলের ফরজ আদায় করে সুন্দরভাবে ফরজ গোসল শেষ করবেন।
তবে এক্ষেত্রে বায়ু বের হওয়ার পর যদি ওযুর অঙ্গ গুলো পুনরায় ধোয়া না হয়, সেক্ষেত্রে গোসলের পর পুরোপুরি অজু করে নেওয়া আবশ্যক।
তবে যদি গোসলের মাঝে বায়ু বের হওয়ার পর অজুর অঙ্গ গুলো পুনরায় ধোয়া হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে আর অযু করা জরুরী নয়।
(০২)
রক্ত বের হচ্ছে হোক, ঐ অবস্থাতে আপনার মত করে ফরজ গোসলের ফরজ আদায় করে সুন্দর করে ফরজ গোসল সম্পন্ন করতে পারবেন, রক্ত বের হওয়া অবস্থায়।
তবে এক্ষেত্রে রক্ত বের হওয়া বন্ধ হওয়ার পর যদি ওযুর অঙ্গ গুলো পুনরায় ধোয়া না হয়, সেক্ষেত্রে গোসলের পর পুরোপুরি অজু করে নেওয়া আবশ্যক।
হ্যাঁ, যদি রক্ত বের হওয়া বন্ধ হওয়ার পর অজুর অঙ্গ গুলো পুনরায় ধোয়া হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে আর অযু করা জরুরী নয়।
(০৩)
তিনবারই মুছতে হবে।
(০৬)
এক্ষেত্রে আপনার ফজরের কাজা আদায় হবে।
জোহরের ওয়াক্ত আসার আগে ফজর কাজা করলে সেক্ষেত্রে সুন্নাতেরও কাজা আদায় করবেন। সেক্ষেত্রে সুন্নাতের কাজাও আদায় হয়ে যাবে।
এটিই হাদীসের শিক্ষা।
তবে সুন্নাতের কাজা আদায় না করলে ফজরের ফরজের কাজা আদায় হবেনা,একথাটি সঠিক নয়।
(৪-৫)
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়। কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।
আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন। যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে।
আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন।