আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
88 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ
প্রশ্ন-

১. আলেমা না হয়েও কোনো মাসয়ালা দিয়ে ফেললে কী গুনাহ হবে? (এক বোন জানতে চেয়েছিল যে তার বৈবাহওক সম্পর্ক ঠিক আছে কী না।সে বিস্তারিত ঘটনা শেয়ার করেছে।আমি সংক্ষেপে বলছি- বোনটির স্বামী বিদেশ থাকেন।উনি উনার শশুর এর সাথে থাকেন।উনার শ্বশুর এর সাথে সহবাস হয়ে যায় একদিন।প্রথমে মেয়েটি রাজি হয়না,শশুরকে মাইর দেয় কিন্তু তার শশুর জোড় করে পরবর্তীতে মেয়েটিও নাকি দুর্বল হয়ে পরে। আল্লাহুম্মাগফিরলী ইয়া রব) আমও মেয়েটিকে বলে ফেলেছি তাদের স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক নেই ভেঙে গিয়েছে, খাস দিলে তওবা করার জন্য এই টাইপের কথা।এখন আমি আলেমা নই,অনেক বেশি জ্ঞানীও নই।এমতাবস্থায় মাসয়ালা দেয়া কি ঠিক হয়েছে?

২. নামাজের সময় বাচ্চারা একজন পিঠে আর একজন সামনের গলা ঝুলে থাকে।ফজর নামাজ ব্যতিত বাকি চার ওয়াক্ত ম্যক্সিমাম সময়ই এমন হয়।ওরা আমাকে ১ সেকেন্ডের জন্যও ছাড়ে না,দুই কাধে পা দিয়ে ঘারে বসে থাকে,এজন্য সালাম ফিরানোর সময় আমার কাধ আমি দেখতে পাইনা।সালাম ফিরায়ে দেয় ঘাড় ঘুড়িয়ে এরকম অসংখ্য দুষ্টামি করে।মাঝে মাঝে হালকা পিছনে সরে যাই,বসার সময় হয়ত বেকে থাকা লাগে,নয়ত হিজাব হালকা সরে যায়,নয়ত সালোয়ার হালকা উপরে উঠে যায় গোড়ালি থেকে উঠে যায় কিন্তু টাখনুর নিচেই থাকে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু নামাযে মনোযোগ থাকে আলহামদুলিল্লাহ। সূরা তাসবিহ এগুলো ভুল হয়না।ওদের দুষ্টামির জন্য অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি

কিন্তু উক্ত কারণ গুলোর জন্য কী নামাজ আবার আদায় করা উচিত?
৩. আমরা জানি সাজদাহর আয়াত যতোবার পড়ব ততোবার সাথে সাথেই সিজদাহ দিতে হয়,।কেও ভুলে গেলে সিজদা কী পরবর্তীতে দিতে পারবে?নাকি এক্ষেত্রে গুনাহ  হবে?

৪.

1 Answer

0 votes
by (606,690 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যিনা-ব্যভিচার তথা অবৈধ সম্পর্কের কারণে হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবে।ব্যভিচারী পরুষ মহিলা উভয়ের উর্ধতন-নিম্নতন উভয়দিকে এই হুরমতের বিস্তার ঘটবে। এটা হানাফি মাযহাব,হাম্বলী মাযহাব,এবং ইমাম সাওরী রাহ ও আওযায়ী রাহ এর অভিমত।
তাদের দলিল
ﻭَﻻَ ﺗَﻨﻜِﺤُﻮﺍْ ﻣَﺎ ﻧَﻜَﺢَ ﺁﺑَﺎﺅُﻛُﻢ ﻣِّﻦَ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀ ﺇِﻻَّ ﻣَﺎ ﻗَﺪْ ﺳَﻠَﻒَ ﺇِﻧَّﻪُ ﻛَﺎﻥَ ﻓَﺎﺣِﺸَﺔً ﻭَﻣَﻘْﺘًﺎ ﻭَﺳَﺎﺀ ﺳَﺒِﻴﻼً
যে নারীকে তোমাদের পিতা-পিতামহ বিবাহ করেছে তোমরা তাদের বিবাহ করো না। কিন্তু যা বিগত হয়ে গেছে। এটা অশ্লীল, গযবের কাজ এবং নিকৃষ্ট আচরণ।(সূরা নিসা-২২)
আয়াতে অশ্লীল, গযবের কাজ,এবং নিকৃষ্ট আচরণ বলা হয়েছে।কাজেই বুঝা গেল এখানে নিকাহ দ্বারা সহবাস উদ্দেশ্য।সুতরাং অর্থ হবে যাদেরকে তোমাদের পিতামহগণ সহবাস করেছেন,(বিয়ের মাধ্যমে বা বিয়ে ছাড়া)তাদের সাথে তোমরা(বিয়ে বা বিয়ে ছাড়া কোনোভাবে) সহবাসে লিপ্ত হইওনা। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-1233
 
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ছেলে বউয়ের সাথে শশুড় কর্তৃক যিনা হওয়ার কারণে এখন ঐ ছেলে বউ তার স্বামীর উপর হারাম হয়ে গিয়েছে। 
(১) আলেমা না হয়ে মাস'আলা দেওয়া সঠিক না যদিও জানা থাকুক। বরং উনার দায়িত্ব হচ্ছে আলেমের শরণাপন্ন করানো।
(২) নামাযে বাচ্চারা পিঠে কাধে উঠলে রুকু সিজদা থেকে উঠার সময় তাদের সরিয়ে তারপর নামায পড়া যাবে।
(৩) জ্বী, তিলাওয়াতে সিজদা পরবর্তীতেও দেওয়া যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
1.  উস্তায প্রথমে আমি উনাকে বলেছিলাম,আমি যেহেতু আলেমা নই তাই ফতোযা দেয়া উচিত হবে না তারমধ্যে এটা তো আরও সেন্সিটিভ বিষয়। অফলাইনে যেতে না পারলে ফতোয়া বিভাগে প্রশ্ন করুন,এরকম টা বলেছিলম । কিন্তু উনি কোনোভাবেই রাজি নন।শেষে আমি মাসয়ালা দিয়ে ফেলেছিলাম। এতে কি আমার গুনাহ হবে?
by (606,690 points)
না, আপনি যদি সঠিক টাই বলে থাকেন, তাহলে আপনার কোনো গোনাহ হবে না।  যদিও ফাতাওয়া দেওয়াটা আপনার উচিৎ হয়নি। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...