বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আলেমের নিকট উপস্থিত না হয়ে শুধুমাত্র কিতাবাদি থেকে কিছু ইসলামী জ্ঞান শিখে নেওয়া কখনো যথেষ্ট হতে পারে না। বইটি যদিও কোনো হকপন্থী আলেমের হোক না কেন। কারণ শুধু বই থেকে শিখলে ভুল বুঝা বা উল্টা বুঝার সমূহ সম্ভাবনা থেকে যায়।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
إِنّمَا الْعِلْمُ بِالتّعَلّمِ.
ইলম হাসিল করতে হবে শেখা-শেখানোর মাধ্যমে। (সহীহ বুখারী ১/২৪)
প্রখ্যাত মুহাদ্দিস খতীব বাগদাদী রাহ. বলেন-
وَيَكُونُ قَدْ أَخَذَ فِقْهَهُ مِنْ أَفْوَاهِ الْعُلَمَاءِ، لَا مِنَ الصّحُفِ.
ইলম অন্বেষণকারী দ্বীনের বুঝ ও সমঝ গ্রহণ করবে আলেমদের যবান থেকে; বই-পুস্তক থেকে নয়।(আলফাকীহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ, খতীব বাগদাদী ২/১৯৩)
কুরআনে কারীমের এক আয়াত থেকেও বুঝা যায় ইলম শিক্ষার ক্ষেত্রে আসল পদ্ধতি হল আলেমদের শরণাপন্ন হওয়া। ইরশাদ হয়েছে-
فَسْـَٔلُوْۤا اَهْلَ الذِّكْرِ اِنْ كُنْتُمْ لَا تَعْلَمُوْنَ.
তোমরা যদি না জানো তবে আহলে যিক্রের কাছে জিজ্ঞাসা করে নাও। (সূরা নাহল (১৬) : ৪৩)
বিশিষ্ট ফকীহ আল্লামা শাতেবী রাহ. তাঁর ‘আলমুআফাকাত’ গ্রন্থে লিখেছেন-
قالوا إِنّ الْعِلْمَ كَانَ فِي صُدُورِ الرِّجَالِ، ثُمّ انْتَقَلَ إِلَى الْكُتُبِ، وَصَارَتْ مَفَاتِحُهُ بِأَيْدِي الرِّجَالِ.
আহলে ইলম বলেন, ইলম (প্রথমে) সংরক্ষিত ছিল মনীষীদের বুকে। পরে তা চলে এসেছে পুস্তকে। তবে চাবি রয়ে গেছে তাদেরই হাতে। (আলমুআফাকাত, শাতেবী ১/১৪০)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
একাকি এভাবে তাফসীর অধ্যয়ন দ্বারা হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়, তাই উক্ত গ্রুপের জন্য একজন শিক্ষককে নির্ধারণ করে নেওয়া অতীব জরুরী, যখনই কারো বুঝার প্রয়োজন পড়বে,খটকা লাগবে, তখনই তিনি উস্তাদের শরণাপন্ন হবেন। অথবা আলোচনা করে সবাই সিদ্ধান্ত নিবেন যে, যখনই কারো বুঝার প্রয়োজন পড়বে, তিনি কোনো আলেমের শরণাপন্ন হবেন বা দারুল ইফতায় যোগাযোগ করবেন। যিনি এতে রাজী না হবেন, উনাকে সসম্মানে রিমুভ করে দিবেন।