আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
33 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
একটা গ্রুপে প্রতিদিন ৫ আয়াত করে কুরআন তাফসীর পড়া হয়।তাফসীরে উসমানি বা তাফসীরে তাওযীহুল কুরআন পড়া হয়।কেউ তাফসীর ব্যাখ্যা দেয়না।সকলে নিজে নিজে এপ থেকে বা হার্ডকপি থেকে পড়েন।এভাবে করে এই গ্রুপে অনেক নিউ প্র্যাক্টিজিং বোন ও আন্টি সাথে নন প্র্যাক্টিজিং বোনেরাও যুক্ত হয়েছেন।সকলেই কুরআন তাফসীর পড়েন।এখানে অনেকের ফরজ পরিমাণ ইলম নেই কিন্তু কুরআন কাফেলায় এভাবে প্র্যাক্টিজিং-নন প্র্যাক্টিজিং বোনেরা যোগদান করছেন।কুরআনের প্রতি ভালোবাসা বাড়ছে ।কিন্তু আমি সন্দিহান কেউ এভাবে পড়তে পড়তে ওয়াসওয়াসায় পড়ে যান কিনা।এক বোন জানিয়েছিলেন উনার কুরআন পড়তে পড়তে উনার সন্দেহ আসছে।কিন্তু অনেকেই এই কুরআন কাফেলা দ্বারা উপকৃত হচ্ছেন।এক্ষেত্রে এভাবে কুরআন তাফসীর পড়াটা কি ঠিক হবে?যদি চলমান রাখি তবে কুরআন তাফসীর পড়ার ক্ষেত্রে কোন কোন নীতিমালা অনুসরণ করে সকলে পড়বে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আলেমের নিকট উপস্থিত না হয়ে শুধুমাত্র কিতাবাদি থেকে কিছু ইসলামী জ্ঞান শিখে নেওয়া কখনো যথেষ্ট হতে পারে না। বইটি যদিও কোনো হকপন্থী আলেমের হোক না কেন। কারণ শুধু বই থেকে শিখলে ভুল বুঝা বা উল্টা বুঝার সমূহ সম্ভাবনা থেকে যায়। 

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

إِنّمَا الْعِلْمُ بِالتّعَلّمِ.
ইলম হাসিল করতে হবে শেখা-শেখানোর মাধ্যমে। (সহীহ বুখারী ১/২৪)

প্রখ্যাত মুহাদ্দিস খতীব বাগদাদী রাহ. বলেন-
وَيَكُونُ قَدْ أَخَذَ فِقْهَهُ مِنْ أَفْوَاهِ الْعُلَمَاءِ، لَا مِنَ الصّحُفِ.
 ইলম অন্বেষণকারী দ্বীনের বুঝ ও সমঝ গ্রহণ করবে আলেমদের যবান থেকে; বই-পুস্তক থেকে নয়।(আলফাকীহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ, খতীব বাগদাদী ২/১৯৩)

কুরআনে কারীমের এক আয়াত থেকেও বুঝা যায় ইলম শিক্ষার ক্ষেত্রে আসল পদ্ধতি হল আলেমদের শরণাপন্ন হওয়া। ইরশাদ হয়েছে-
فَسْـَٔلُوْۤا اَهْلَ الذِّكْرِ اِنْ كُنْتُمْ لَا تَعْلَمُوْنَ.
তোমরা যদি না জানো তবে আহলে যিক্রের কাছে জিজ্ঞাসা করে নাও। (সূরা নাহল (১৬) : ৪৩)

বিশিষ্ট ফকীহ আল্লামা শাতেবী রাহ. তাঁর ‘আলমুআফাকাত’ গ্রন্থে লিখেছেন-
قالوا إِنّ الْعِلْمَ كَانَ فِي صُدُورِ الرِّجَالِ، ثُمّ انْتَقَلَ إِلَى الْكُتُبِ، وَصَارَتْ مَفَاتِحُهُ بِأَيْدِي الرِّجَالِ.
আহলে ইলম বলেন, ইলম (প্রথমে) সংরক্ষিত ছিল মনীষীদের বুকে। পরে তা চলে এসেছে পুস্তকে। তবে চাবি রয়ে গেছে তাদেরই হাতে। (আলমুআফাকাত, শাতেবী ১/১৪০)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
একাকি এভাবে তাফসীর অধ্যয়ন দ্বারা হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়, তাই উক্ত গ্রুপের জন্য একজন শিক্ষককে নির্ধারণ করে নেওয়া অতীব জরুরী, যখনই কারো বুঝার প্রয়োজন পড়বে,খটকা লাগবে, তখনই তিনি উস্তাদের শরণাপন্ন হবেন। অথবা আলোচনা করে সবাই সিদ্ধান্ত নিবেন যে, যখনই কারো বুঝার প্রয়োজন পড়বে, তিনি কোনো আলেমের শরণাপন্ন হবেন বা দারুল ইফতায় যোগাযোগ করবেন। যিনি এতে রাজী না হবেন, উনাকে সসম্মানে রিমুভ করে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...