আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
39 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ

১.একজন গরিব মহিলা দর্জি কাজ করে কষ্ট করে অর্থ উপার্জন করেন ।
উনার থেকেই একজন ব্যাংকারের স্ত্রী ন্যায্য মূল্যের অধিক অর্থ দিয়ে কাপড় সেলাই করিয়ে নেন উক্ত দর্জি মহিলার থেকে, আবার প্রায় অনেক কিছু হাদিয়া দিয়ে থাকেন (হাদিয়া গুলো হলো:টাকা, খাবার, নতুন কাপড়,জুতা)

ঐ গরিব মহিলার হাজবেন্ড নেই,তাই তিনি এটাই জানতে চাইছেন যে তিনি যেহেতু গরিব আবার পরিশ্রম করেই টাকা গুলো নিচ্ছেন ব্যাংকারের স্ত্রীর থেকে সেহেতু এই টাকা গুলো কি হালাল হবে ?
নাকি হারাম ই থাকবে ?
তাদের বাড়িতে দাওয়াত দিলে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করা কি জায়েজ হবে?(সম্পর্কে উনারা দুই চাচাতো বোন)

(বি:দ্র:  ব্যাংকার বলতে তিনি ব্যাংকের ম্যানেজার,এটা ছাড়া অন্য কোন সোর্সও নেই লোকটার টাকা ইনকামের)

২.হায়েজ,গোসল ফরজ অবস্থায় কি দুরূদ শরিফ পড়লে গোনাহ হবে?

৩.বিয়ের জন্য আমল আছে কুরআন ও সুন্নাহ থেকে এমন আমল দিবেন দয়া করে, বিয়ে নিয়ে কথা শুনতে শুনতে মাঝে মধ্যে পাগল হয়ে যাচ্ছি  মনে হয় ।
আমার বয়স ২৪
এর আগে আমার ২০ বছর বয়সে আমার অমতে,জোর করে কোনো ধরনের খোঁজ খবর না নিয়ে আমাকে আমাদের গ্ৰামের বাড়িতে বিয়ে দেয়া হয় ।লোকটার ফিজিক্যাল সমস্যার কারণে উনার এবং আমার মধ্যে কোনো শারীরিক সম্পর্ক হয়নি ,এ কারনেই বিয়ের আড়াই দিন পর বাড়িতে এসে আর যাইনি আমি, ডিভোর্সও এ কারনেই হয়েছিল,ঐ লোকটি এই সমস্যার কারনে আগের আরো দু'জন স্ত্রী চলে গেছিলো সেগুলো বিয়ের পর জেনেছিলাম আমরা । আমার পরিবার-ই এমন খোঁজ খবর না নিয়ে বিয়ে দিয়েছিলেন,আর এখন যখন আমাকে দেখতে এসে পাত্র পক্ষ আমি ডিভোর্সি শুনে , আমার বয়স বেশি নাকি তাই

পিছু হটেন, ঠিক এই সময়ে আমার পরিবারই আমাকে বলেন যে আমার বয়সি সব মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে আমার হয়না কেন?
আমি পর্দা ছাড়া পাত্র পক্ষের সামনে যাইনা তাই বিয়ে হয়না
ছেলেদের সাথে হারাম রিলেশন করে পরিবারকে বললেই তোহ পারিবারিক ভাবে দেখাশোনা করে বিয়ে হয়ে যায়
আরো অনেক ভাবে কথা শুনতে শুনতে আমি আমার ধৈর্য ধরে রাখতে অক্ষম

এমতাবস্থায় আমি কিভাবে অধিক ধৈর্যশীল হতে পারবো,কি আমল করলে মানসিক ভাবে ঠিক থাকতে পারবো আর মা বাবার কষ্টের কারণও হবো না ,এমন কিছু পরামর্শ দিলে অনেক উপকার হতো ইন শা আল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন  

الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبَا لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوا إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبَا ۗ وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا ۚ فَمَنْ جَاءَهُ مَوْعِظَةٌ مِنْ رَبِّهِ فَانْتَهَىٰ فَلَهُ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُ إِلَى اللَّهِ ۖ وَمَنْ عَادَ فَأُولَٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ [٢:٢٧٥

যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লাহ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। {সূরা বাকারা-২৭৫}

হাদীস শরীফে এসেছে  
عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)

https://ifatwa.info/30737/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
যতক্ষন পর্যন্ত এটা জানা না যাবে যে যেই সম্পদ আপনি তার কাছ থেকে নিচ্ছেন,সেটিই হারাম,ঐ সময় পর্যন্ত তার সাথে লেনদেন করা নিষেধ নয়।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১১/৩৭০)

إذا خلط الحلال بالحرام في البلد، فإنہ یجوز الشراء والأخذ إلا أن تقوم ولایۃ علی أنہ من الحرام في الأصل۔ (الأشباہ والنظائر ۱۴۸ کراچی، وکذا في فتاویٰ ابن تیمیۃ ۲۹؍۲۷۳)
সারমর্মঃ
যদি শহরে সম্পদ হালাল হারাম মিশ্রিত হয়,তাহলে বেচা বিক্রয়,টাকা গ্রহন জায়েজ আছে।
তবে যদি আসলটাই হারাম থেকে হয়,,,

তবে দারুল উলুম দেওবন্দ এর 39964 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে স্পষ্ট ভাবে ক্রেতার সম্পদ হারাম জানার পরেও বিক্রয় করলে সেই টাকা বিক্রেতার জন্য হালাল হবে।
তবে সতর্কতামূলক তার কাছে পন্য বিক্রয় না করাই উচিত । 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাংকারের স্ত্রী যদি তার স্বামীর টাকা হতে দর্জি মহিলাকে দেয়,সেক্ষেত্রে তার তার থেকে টাকা গ্রহন হালাল।

তবুপরি স্পষ্ট জানার পরে এ জাতীয় ক্রয় বিক্রয় সতর্কতামূলক না করাই উত্তম।   

উল্লেখ্য, দর্জি মহিলা যেহেতু নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক নয়,গরিব,সুতরাং তিনি ঐ মহিলা হয়ে হাদিয়া নিতে পারবেন,তার বাসায় গিয়ে খাবার খেতে পারবেন।

(০২)
দরুদ শরীফ পড়া যাবে,সমস্যা নেই।
গুনাহ হবেনা।

(০৩)
দ্রুত বিবাহের আমল সম্পর্কে জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 109 views
...