বিসমিহি তা'আলা
জবাবঃ-
সেজদায় যেতে হাটুতে ভর দেওয়া অনুচিৎ।তবে সেজদা থেকে উঠতে হাটুতে ভর দেওয়া মুস্তাহাব।(আহসানুল ফাতাওয়া-৩/৫০)
সেজদা থেকে উঠার মূহুর্তে হাটুতে ভর দেওয়া মুস্তাহাব।বিনা প্রয়োজনে যমিনে ভর দেয়া যাবে না।হ্যা বিশেষ কোনো প্রয়োজন থাকলে, তখন যমিনে ভর দেয়া যাবে।(ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম ৩/১৩৫)
যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
ولا يقعد ولا يعتمد على الأرض بيديه عند قيامه وإنما يعتمد على ركبتيه. هكذا في المحيط وترك الاعتماد مستحب لمن ليس به عذر عندنا على ما هو ظاهر في كثير من الكتب المشهورة. كذا في البحر الرائق ولو قعد واعتمد بيديه على الأرض كما هو مذهب الشافعي لا بأس به.
হিন্দিয়া-১/৭৫
বিশিষ্ট ফকিহ ইমাম তাহতাবী রাহ, বলেন,
وإذا فرغ" الرجل من سجدتي الركعة الثانية افترش رجله اليسرى وجلس عليها ونصب يمناه ووجه أصابعها نحو القبلة
যখন মুসাল্লি দ্বিতীয় রা'কাতের সেজদা সমূহ থেকে ফারিগ হবে,তখন সে তার বাম পা'কে বিছিয়ে দিয়ে তাতে বসবে।এবং সে তার ডান পা'কে খাড়া রাখবে।এবং সে তার পায়ের আঙ্গুল সমূহকে কিবলামূখী রাখবে।(হাশিয়াতুত তাহতাবী-১/২৮৪)
সুপ্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যমিনে ভর না দিয়ে হাটুতে ভড় দেয়া মুস্তাহাব।তবে বিশেষ কোনো অসুবিধে থাকলে যমিনে ভর দেয়া যাবে।
ডান পায়ের আঙ্গুল সমূহকে ভাজ করে কিবলামূখী রাখা মুস্তাহাব।তবে বিশেষ কোনো অসুবিধা থাকলে আঙ্গুল সমূহকে অন্যভাবেও রাখা যাবে।
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, Iom.
পরিচালক
ইসলামিক রিচার্স কাউন্সিল বাংলাদেশ