বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যুদ্ধক্ষেত্রে বাদ্যযন্ত্র ব্যবহারের অনুমতি ফুকাহায়ে কেরাম দিয়ে থাকেন।সুতরাং সামরিক বাহিনীতে চাকুরী করা জায়েয় হবে।
দেশ প্রেমে উজ্জীবিত হয়েই সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়া হয়।দেশ এবং দশের স্বার্থেই সেনাবাহিনী নিজ জীবনকে বাজি রেখে কাজ করে থাকেন।
দেশপ্রেম
একজন মানুষ যখন পৃথিবীর বিশাল ভূখন্ডের কোনো এক অংশে জন্মলাভ করে, সেখানকার আলো-বাতাস গ্রহণ করে, সেখানে বেড়ে ওঠে, তখন স্বাভাবিকভাবেই সেখানকার মাটি-মানুষের প্রতি অন্যরকম হৃদ্যতা ও আপনত্ব অনুভব করে। জন্মভূমির প্রতি মানুষের এই স্বভাবজাত আকর্ষণকে ইসলাম মূল্যায়ন করেছে।
পবিত্র মক্কা শরীফ থেকে বিদায়ের প্রাক্কালে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, ‘‘ভূখন্ড হিসেবে তুমি কতই না উত্তম, আমার কাছে তুমি কতই না প্রিয়। যদি আমার স্বজাতি আমাকে বের করে না দিতো তবে কিছুতেই আমি অন্যত্র বসবাস করতাম না।’’ (জামে তিরমিযী, হাদীস : ৩৯২৬)
মক্কা নগরী তো শুধু আল্লাহর রাসূলের জন্মভূমিই ছিল না, এ তো ঐ পবিত্র ভূখন্ড, যেখানে আল্লাহর ঘর প্রতিষ্ঠিত।
পরবর্তীতে যখন তিনি মদীনা মুনাওয়ারাকে স্থায়ী আবাসভূমি হিসেবে গ্রহণ করেন, তখন বিভিন্ন সময়ে
বিভিন্নভাবে মদীনার প্রতি তার হৃদয়ের অনুরাগ প্রকাশ করতেন।
এক হাদীসে হযরত আনাস রা. বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোনো সফর থেকে ফিরে আসতেন, দূর থেকে মদীনার জনপদ নজরে আসতেই তিনি তাঁর উটনীর গতি বাড়িয়ে দিতেন, অথবা কোনো চতুষ্পদ জন্তুর উপর থাকলে তাকে নাড়াতে থাকতেন। বস্ত্তত মদীনার প্রতি ভালবাসার দরুনই তিনি এমনটি করতেন। (সহীহ বুখারী, হাদীস ১৮০২)
আরেক হাদীসে হযরত আনাস রা. বলেন, ‘আমি খেদমতের নিয়তে রাসূলের সাথে খায়বার অভিযানে গেলাম। অতঃপর যখন অভিযান শেষে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফিরে এলেন, উহুদ পাহাড় তাঁর দৃষ্টিগোচর হল তিনি বললেন, এই পাহাড় আমাদেরকে ভালবাসে, আমরাও একে ভালবাসি। (সহীহ বুখারী, হাদীস : ২৮৮৯)
মোটকথা,
স্বদেশের প্রতি মানবমনের এই স্বভাবজাত অনুরাগকে ইসলাম সমর্থন করে।
নিজ দেশকে শত্রুমুক্ত রাখা দেশের প্রতিটি নাগরিকের অত্যাবশ্যকীয় দায়িত্ব।সেনাবাহিনী মূলত সেই দায়িত্বকেই আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বর্তমান পরিবেশ ও পরিস্থিতে মুসলমান বিশেষকরে দ্বীনদার শ্রেণীর সেনাবাহিনীতে অংশগ্রহণ অত্যান্ত জরুরী।তাই মুসলমান যুবকদের জন্য সাময়িক ভাবে দাড়ী কেটে সেনাবাহিনীতে জয়েন হওয়ার রুখসত রয়েছে।দেশ, মানুষ ও ইসলাম এবং মুসলমানের স্বার্থের জন্য কেউ যোগ দিতে চাইলে,সে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারবে।