আসসালামু আলাইকুম মাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ।
উস্তাদ অনুগ্রহ করে এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর পয়েন্ট আকারে দিবেন।
১/ নামাযের পাজামায় ইস্তেহাজার রক্ত ছোট ছোট ২ ফোটা লেগেছিল।কিন্তু আমি সেটা জানতাম না।না জেনে আমি এই পাজামা দিয়ে কয়েক দিনের নামায আদায় করেছি।এখন আমার নামায গুলো কি হয়েছে?নাকি পাজামা টা নাপাক হয়ে গেছে?
২/ বিতির নামাযে দুয়া কুনুত পড়ার জায়গায় ভুল করে ছানা অর্ধেকের থেকে কম পড়ে ফেলেছি।পরে যখন মনে পড়েছে তখন ছানা বাদ দিয়ে দোয়া কুনুত পড়েছি। এখানে কি সাহু সিজদার প্রয়োজন আছে? আমি সাহু সিজদা দিইনি।নামাজ কি হবে?
৩/ গত কাল রাতে আমার নিয়ত ছিল কাজা রোজা রাখার।কাজা রোজা রাখবো বলে একসাথে রাতে ভাত খেয়ে ফেলেছি
ভোর রাতে আর খাইনি।মনে মনে কাজা রোজা রাখবো এটা ভাবলেও (আমার জিম্মায় থাকা যত গুলো কাজা রোজা আছে তার সর্বপ্রথম কিংবা সর্বশেষ রোজাটি কাজা আদায় করবো)এই ধরনের স্পেসিফিক নিয়ত করতে আমি ভুলে গেছি।ফজরের প্রায় ৪ মিনিট আগে তখন আমি বিতির নামায পড়ছিলাম,এই নামায পড়ার মধ্যে আমার রোজার নিয়তের কথা মনে পড়ে,তখন আমি মনে মনে আবছা আবছা নিয়ত করেছি।যদিও উপরের বর্ণিত নিয়তটি আমার মনে পুরোপুরি কাজ করছিল না।এখন এই অবস্থায় আমি রোজাটি রেখেছি।তাহলে আমার রোজাটি কি কাজা রোজা হিসেবে দার্তব্য হবে নাকি নফল রোজা হিসেবে গণ্য হবে?
৪/এবারের বন্যায় আমার মামার কাছে বিভিন্ন লোকেরা বন্যা কবলিত মানুষের জন্য
ত্রাণ পাঠিয়েছিল। তো সেখান থেকে কিছু ত্রাণ সামগ্রী আমার মামা আমার আন্টির জন্য পাঠিয়েছিল।প্রয়োজনের তুলনায় হয়তো একটু বেশিও পাঠিয়েছিল, আল্লাহই ভাল জানেন।আমার আন্টির স্বামীর আর্থিক অবস্থা মোটামুটি ভালো।মামা আন্টির জন্য যখন ত্রাণ পাঠিয়েছে তখন তাদের উঠানে এবং চারপাশে পানি ছিল।রাস্তার পাশেই উনাদের বাড়ি।আমার আন্টির দেবর চাইলেই পানি দিয়ে উঠানটা পার হয়ে রাস্তা দিয়ে বাজার করে আনতে পারতেন।কিন্তু তাও তারা এই ত্রাণ সামগ্রী গ্রহণ করেছে।এটা কি তাদের উচিত হয়েছে?আমাদের আর্থিক অবস্থা বলতে গেলে অনেক দরিদ্র।মাত্র ৬ হাজার টাকা বেতনের চাকরি করেন আমার বাবা।এখন যদি এই ত্রাণ সামগ্রী আমার আন্টিদের জন্য হারাম হয়ে থাকে তাহলে সেটা কি আমাদের জন্যও হারাম হবে?আমরা উনাদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে অনেকবার এই ত্রাণের খাবারগুলো খেয়েছি।আমাদের জন্য যদি হারাম হয়ে থাকে তাহলে কিভাবে এর কাফফারা দিব?