সহীহ হাদীস দ্বারা এ কথা প্রমাণিত রয়েছে যে,সন্তানদের বয়স দশ হয়ে গেলে তাদের শয়নস্থল-কে পৃথক করে দিতে হবে।
যেমন হযরত আমর বিন শুয়াইব তার সুত্রে বর্ণনা করেন,
ﻋَﻦْ ﻋَﻤْﺮِﻭ ﺑْﻦِ ﺷُﻌَﻴْﺐٍ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ﻋَﻦْ ﺟَﺪِّﻩِ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﻣُﺮُﻭﺍ ﺃَﻭْﻟَﺎﺩَﻛُﻢْ ﺑِﺎﻟﺼَّﻠَﺎﺓِ ﻭَﻫُﻢْ ﺃَﺑْﻨَﺎﺀُ ﺳَﺒْﻊِ ﺳِﻨِﻴﻦَ ، ﻭَﺍﺿْﺮِﺑُﻮﻫُﻢْ ﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﻭَﻫُﻢْ ﺃَﺑْﻨَﺎﺀُ ﻋَﺸْﺮٍ ، ﻭَﻓَﺮِّﻗُﻮﺍ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻤَﻀَﺎﺟِﻊِ ) .
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, তোমরা তোমাদের সন্তানাদিকে নামাযের আদেশ দাও যখন তারা সপ্ত বর্ষে উপনীত হয়।নামায না পড়ার ধরুণ তাদেরকে প্রহার করো যখন তারা দশম বৎসরে উপনীত হয়।এবং সাথে সাথে তাদের শয়নস্থল কে পৃথক করে দাও।(সুনানু আবি-দাউদ-৪১৮)
.
সুতরাং দশ বছর বয়স হলে ভাই বোন কে আলাদা বিছানায় ঘুমাতে হবে।
,
বিস্তারিত জানুনঃ
,
এখন প্রশ্ন হলো ভাইয়ের সামনে বোনের সতর কতটুকু?
অর্থাৎ কতটুকু দেখা জায়েজ আছে?
,
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী মাহরামদের সামনে মহিলাদের সতর হল, মাথা, চুল, গর্দান, কান, হাত, পা, টাখনু, চেহারা,গর্দান সংশ্লিষ্ট সিনার উপরের অংশ ছাড়া বাকি পূর্ণ শরীর সতর। {ফাতাওয়া হিন্দিয়া-৫/৩২}
বিস্তারিত জানুনঃ
,
সুতরাং নিজ ভাইয়ের সামনেও বোনের সতর হল, মাথা, চুল, গর্দান, কান, হাত, পা, টাখনু, চেহারা,গর্দান সংশ্লিষ্ট সিনার উপরের অংশ ছাড়া বাকি পূর্ণ শরীর সতর।
فالقاعدة عند الفقهاء أن كل ما حرم النظر إليه حرم مسه لكون المس أدعى للفتنة.
قال زكريا الأنصاري في أسنى المطالب: [ فرع ما حرم نظره حرم مسه ] بالأولى ; لأنه أبلغ في اللذة وأغلظ، بدليل أنه لو لمس فأنزل بطل صومه، ولو نظر فأنزل لم يبطل
সারমর্মঃ ফুকাহায়ে কেরামদের নিকটে কায়েদা হলো সেই অঙ্গের দিকে তাকানো হারাম,সেটি স্পর্শ করাও হারাম।
কেননা স্পর্শ ফিতনার নিকটে নিয়ে যাবে।
,
(সুতরাং যেই অঙ্গের দিকে তাকানো জায়েয,সেটি স্পর্শ করাও জায়েজ।)
,
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি প্রশ্নে উল্লেখিত কাজ তথা যেকোনো ভাল কাজের জন্য বোনের কপালে ও গালে চুমু দেওয়া জায়েজ আছে,তবে শর্ত হলো উভয় পক্ষ থেকেই পুরোপুরি ভাবে ফিতনার আশংকা না থাকা।
,
যদি কাহারো মনে সামান্যও ফিতনা জাতীয় কিছু সৃষ্টি হয়,তাহলে স্পষ্ট হারাম।
,
সুতরাং সতর্কতামূলক এহেন কাজ থেকে বেঁচে থাকাই উচিত।
আরো জানুনঃ