আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,520 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)
আসসালামু আলাইকুম শাইখ।

স্বাভাবিকভাবে আমার এবং আমার আপন ছোট বোনের মাঝে ছোট বেলা থেকেই খুবই মধুর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। কিন্তু যেহেতু তার বয়স বাড়ছে, তাই আমার মধ্যে এই উপলদ্ধি আসছে যে আমাদের হয়তো এখন থেকে নিজেদের এই সম্পর্কে কিছুটা সীমাবদ্ধতা বজায় রাখা জরুরী। যেমন আগে আদর করে প্রায়ই পড়ায় ভাল করলে বা অন্য যেকোন ভাল কাজের জন্য তার কপালে ও গালে চুমু খাওয়ার একটা অভ্যাস আছে, এটা কি বয়ঃপ্রাপ্ত হওয়ার পরেও জায়েজ হবে?
মোটকথা ভাই-বোনের সম্পর্কে কতটুকু সীমাবদ্ধতা বজায় রাখতে হবে, মেহেরবানী করে বিস্তারিত জানালে উপকৃত হবো।
(জাযাকাল্লহ খয়ের)

1 Answer

+1 vote
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


সহীহ হাদীস দ্বারা এ কথা প্রমাণিত রয়েছে যে,সন্তানদের বয়স দশ হয়ে গেলে তাদের শয়নস্থল-কে পৃথক করে দিতে হবে।
যেমন হযরত আমর বিন শুয়াইব তার সুত্রে বর্ণনা করেন,
ﻋَﻦْ ﻋَﻤْﺮِﻭ ﺑْﻦِ ﺷُﻌَﻴْﺐٍ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ﻋَﻦْ ﺟَﺪِّﻩِ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﻣُﺮُﻭﺍ ﺃَﻭْﻟَﺎﺩَﻛُﻢْ ﺑِﺎﻟﺼَّﻠَﺎﺓِ ﻭَﻫُﻢْ ﺃَﺑْﻨَﺎﺀُ ﺳَﺒْﻊِ ﺳِﻨِﻴﻦَ ، ﻭَﺍﺿْﺮِﺑُﻮﻫُﻢْ ﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﻭَﻫُﻢْ ﺃَﺑْﻨَﺎﺀُ ﻋَﺸْﺮٍ ، ﻭَﻓَﺮِّﻗُﻮﺍ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻤَﻀَﺎﺟِﻊِ ) .
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, তোমরা তোমাদের সন্তানাদিকে নামাযের আদেশ দাও যখন তারা সপ্ত বর্ষে উপনীত হয়।নামায না পড়ার ধরুণ তাদেরকে প্রহার করো যখন তারা দশম বৎসরে উপনীত হয়।এবং সাথে সাথে তাদের শয়নস্থল কে পৃথক করে দাও।(সুনানু আবি-দাউদ-৪১৮)
.
সুতরাং দশ বছর বয়স হলে ভাই বোন কে আলাদা বিছানায় ঘুমাতে হবে।
বিস্তারিত জানুনঃ 
,
এখন প্রশ্ন হলো ভাইয়ের সামনে বোনের সতর কতটুকু?
অর্থাৎ কতটুকু দেখা জায়েজ আছে?
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী মাহরামদের সামনে মহিলাদের সতর হল, মাথা, চুল, গর্দান, কান, হাত, পা, টাখনু, চেহারা,গর্দান সংশ্লিষ্ট সিনার উপরের অংশ ছাড়া বাকি পূর্ণ শরীর সতর। {ফাতাওয়া হিন্দিয়া-৫/৩২}

বিস্তারিত জানুনঃ  

,
সুতরাং নিজ ভাইয়ের সামনেও বোনের সতর হল, মাথা, চুল, গর্দান, কান, হাত, পা, টাখনু, চেহারা,গর্দান সংশ্লিষ্ট সিনার উপরের অংশ ছাড়া বাকি পূর্ণ শরীর সতর। 

فالقاعدة عند الفقهاء أن كل ما حرم النظر إليه حرم مسه لكون المس أدعى للفتنة.
 قال زكريا الأنصاري في أسنى المطالب: [ فرع ما حرم نظره حرم مسه ] بالأولى ; لأنه أبلغ في اللذة وأغلظ، بدليل أنه لو لمس فأنزل بطل صومه، ولو نظر فأنزل لم يبطل

সারমর্মঃ ফুকাহায়ে কেরামদের নিকটে কায়েদা হলো সেই অঙ্গের দিকে তাকানো হারাম,সেটি স্পর্শ করাও হারাম।
কেননা স্পর্শ ফিতনার নিকটে নিয়ে যাবে।
,  
(সুতরাং যেই অঙ্গের দিকে তাকানো জায়েয,সেটি স্পর্শ করাও জায়েজ।) 
,
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি প্রশ্নে উল্লেখিত কাজ তথা যেকোনো ভাল কাজের জন্য বোনের কপালে ও গালে চুমু দেওয়া জায়েজ আছে,তবে শর্ত হলো উভয় পক্ষ থেকেই পুরোপুরি ভাবে ফিতনার আশংকা না থাকা।
,
যদি কাহারো মনে সামান্যও ফিতনা জাতীয় কিছু সৃষ্টি হয়,তাহলে স্পষ্ট হারাম।
,
সুতরাং সতর্কতামূলক এহেন কাজ থেকে বেঁচে থাকাই উচিত।  

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...