আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
64 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)

**হুজুর নামাজ এর মধ্যে আলহামদুলিল্লাহ সুরার পরে তো যেইকোন সুরায় পড়লে হবে নাকি কোন specific ভাবে সুরা পড়া লাগবে ❓

এইব্যাপারে কিছু টা নসিহা বা জবাব দিলে ভালো হয় 

** গেছে বা গেছো এই জাতীয় শব্দ কি তালা''' এর কিনায়া বাক্য বা কিনায়া তালা'''' এর অন্তর্ভুক্ত এই বাক্য গুলার দ্বারা তো কোন তালা''' জনিত সমস্যা হওয়ার সম্বাবনা নেই❓

উত্তর দিবেন উস্তাদ রা আশা করি। 

by (12 points)
edited by
রাখো /রাখ/বদলান এইগুলা ও কি  কিনায়া বাক্য বা কিনায়া বাক্য এর অন্তর্ভুক্ত ❓

কোন দরকার আছে /ভাবসি কোন দরকার আছে এমন কথাতো স্বাভাবিক তো এইসব কথা বা বাক্য বলাই কোন সমস্যা তো হওয়ার সম্বাবনা নেই বিবাহিত সম্পর্কে

#দইরা লাভ আছে / দইরা লাভ নাই এমন বা এইসব কথা বলাই কিনায়া বা এমনে তালা"""" সংক্রান্ত সমস্যা তো হবে না? 

কমেন্ট এর কথা গুলা কয়েকবার এডিট করে বা নতুন নতুন কথা বা প্রশ্ন যুক্ত করলাম যেন যেই যেই কথা বা প্রশ্নের উত্তর জানা দরকার অইগুলা যেন পাই তাই। 

⚠️⚠️কমেন্ট এর কথা গুলা দেখবেন এবং উত্তর গুলাও দিবেন আশা করি। 

1 Answer

0 votes
by (63,090 points)

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/47339/ নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,

নামাযে কিরাত পড়া ফরয।সূরা ফাতেহা ওয়াজিব এবং সূরা মিলানো ওয়াজিব। বড় একটি আয়াত এবং ছোট্ট তিনটি আয়াত পরিমাণ মিলানো ওয়াজিব।


যখন কেউ সূরা ফাতেহা পড়ার পর বড় একটি আয়াত বা ছোট্ট তিনটি আয়াত পরিমাণ পড়ে নেবে, তার নামায হয়ে যাবে। কিন্তু যদি বড় একটি আয়াত বা ছোট্ট তিনটি আয়াত পরিমাণ না হয়,তাহলে তাকে সাহু সিজদা দিতে হবে।


সাহু সেজদার উত্তম পদ্ধতি সম্পর্কে ফুকাহায়ে কেরামদের অনেক মতবিরোধ রয়েছে।তন্মধ্যে সর্বোত্তম পদ্ধতি সম্পর্কে  ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়াতে অত্যান্ত সারগর্ভ আলোচনা করা হয়েছে।


নিম্নে তা উল্লেখ করা হল......

وَالصَّوَابُ أَنْ يُسَلِّمَ تَسْلِيمَةً وَاحِدَةً وَعَلَيْهِ الْجُمْهُورُ وَإِلَيْهِ أَشَارَ فِي الْأَصْلِ، كَذَا فِي الْكَافِي وَيُسَلِّمُ عَنْ يَمِينِهِ، كَذَا فِي الزَّاهِدِيِّ وَكَيْفِيَّتُهُ أَنْ يُكَبِّرَ بَعْدَ سَلَامِهِ الْأَوَّلِ وَيَخِرَّ سَاجِدًا وَيُسَبِّحَ فِي سُجُودِهِ ثُمَّ يَفْعَلَ ثَانِيًا كَذَلِكَ ثُمَّ يَتَشَهَّدَ ثَانِيًا ثُمَّ يُسَلِّمَ، كَذَا فِي الْمُحِيطِ. وَيَأْتِي بِالصَّلَاةِ عَلَى النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -

অর্থাৎ-সেজদায়ে সাহুর সর্বোত্তম পদ্ধতি হচ্ছে, শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়ার পর এক সালাম ডানদিকে ফিরাবে, অতঃপর আল্লাহু আকবর বলে সেজদায় চলে যাবে, এবং সেথায় (নামাযের সেজদার তাসবীহের মত)তাসবীহ পাঠ করবে,এবং এভাবে দ্বিতীয় সেজদাও আদায় করবে, অতঃপর তাশাহুদ ও দরুদ শরীফ পড়ে সালাম ফিরাবে।


সালাতে সূরা ফাতিহা পাঠ করা ওয়াজিব। ফরয সালাতের প্রথম দু রাকআতে এবং সকল- প্রকার সুন্নাত ও বিতির সালাতের প্রত্যেক রাকাআতে সূরা ফাতিহা পাঠ করা ওয়াজিব। এটাই ইমাম আবু হানিফা (রাহি) এর অভিমত। তবে ইমাম শাফেয়ী (রাহি) এটাকে ফরয হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন।


রাসূলুল্লাহ সা. বলেন

لاَ صَلاَةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِفَاتِحَةِ الكِتَابِ

যে ব্যক্তি সূরা আল-ফাতিহা পড়ে না, তার সালাত হয় না” সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭৫৬; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৯৪


সালাতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা মিলানো ওয়াজিব। ফরয সালাত সমূহের প্রথম দুই রাকআতে সূরা ফাতিহার সাথে যেকোনো সূরা বা আয়াত মিলিয়ে পড়া। কমপক্ষে বড় এক আয়াত বা ছোট তিন আয়াত পাঠ করা আবশ্যক।

উবাদা ইবনে সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন,

لَا صَلَاةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ فَصَاعِدًا

যে ব্যক্তি সালাতে সূরা ফাতিহা এর পর অধিক (অন্য সূরা) পড়ল না; তার সালাত হয়নি।” সুনানে নাসাঈ-911


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


১. জ্বী হ্যাঁ, কুরআনের যে কোনো জায়গা থেকে পড়তে পারবেন।

২. প্রশ্নটি আরো বিস্তারিত বলবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 125 views
...