আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
35 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)

#হুজুর কুরআন তিলাওয়াত শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে গেলে কি গুনাহ হবে

# মোবাইল এর মধ্যে অজু করেই কি কুরআন পড়তে হবে যদি মোবাইল এর কোন অ্যাপ এ পড়ি তখন, অজু না করে পড়া যাবে না

# একদম/একটু এই বাক্য ২টা কি কিনায়া বাক্য বা কিনায়া বাক্য এর অন্তর্ভুক্ত নাকি এইগুলা তালা''''' এর কিনায়া বাক্য না শুধু মাএ শব্দ বা বাক্য এইগুলার কারনে তালা''' এর কোন সমস্যা হবে না ?? 

by (8 points)
# উস্তাদ আমি আমার অন্য আইডি থেকে কিছু প্রশ্ন করি তো যখন প্রশ্ন সাবমিট করবো আমি যেইখানে allah লেখে তার পরে সাবমিট করা লাগে অইখানে আমি allah বাক্য টা লেখার সময় বা লেখার আগে আমি বিসমিল্লাহ মনে মনে ভাবসি বা বলসি যেইটাই হোক কিন্ত মনে মনে তো এতে আমার কোন সমস্যা নেই তো? 

জানিনা বিষয় টা হাস্যকর কিনাহ কিন্ত বিসমিল্লাহ তো কোন কাজ এর শুরু তে বলা লাগে কিন্ত আল্লাহ নাম বলা বা লেখার সময় যদি বিসমিল্লাহ কথাটা ভাবে বা মনে মনে বলে বা মুখেই উচ্চারণ করে বলুক না কেনো কোন সমস্যা হওয়ার তো কথা না। তাও আপনারা উত্তর দিলে আমার চিন্তা কমে যাবে তাই জিজ্ঞাসা করলাম।

আমি প্রশ্নে এডিট করি নাই তাই এইখানে কমেন্ট এ উল্লেখ করলাম উত্তর এইটার ও দিবেন আশা করি। 

1 Answer

0 votes
ago by (59,040 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

জবাব:-

আল্লাহ তাআ’লা বলেন,

وَإِذَا قُرِىءَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُواْ لَهُ وَأَنصِتُواْ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ

যখন কোরআন তিলাওয়াত করা হয়, তখন তোমরা তা শোন এবং চুপ থাক, যেন তোমাদের উপর করুণা করা হয়। (সূরা আ’রাফ ২০৪)

হাদিস শরিফে এসেছে, আবু হোরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ বলেছেন,

مَنْ اسْتَمَعَ إِلَى آيَةٍ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ تَعَالَى ، كُتِبَ لَهُ حَسَنَةٌ مُضَاعَفَةٌ ، وَمَنْ تَلَاهَا كَانَتْ لَهُ نُورًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ

যে ব্যক্তি কোরআনের একটি আয়াত মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করবে, তার জন্য বহুগুণ বর্ধিত সাওয়াব লিখা হবে। আর যে ব্যক্তি তা তেলাওয়াত করবে, তার জন্য এই আয়াতটি কিয়ামতের দিন নূরে পরিণত হবে। (মুসনাদে আহমদ  ৮৪৯৪)

ইবনু আব্বাস রাযি. বলেন,

مَنْ اسْتَمَعَ إِلَى آيَةٍ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ كَانَتْ لَهُ نُورًا

যদি কেউ আল্লাহর কিতাবের একটি আয়াতও মনোযোগসহ শ্রবণ করে, তাহলে তা কিয়ামতের দিন তার জন্য নূরে পরিণত হবে। (সুনানুদ দারিমী ২/৫৩৬)

অনেক তাবেয়ী বুজুর্গ মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করাকে তেলাওয়াতের চেয়েও বেশি সাওয়াবের বলে মনে করতেন। প্রখ্যাত তাবেয়ী খালিদ ইবনু মা’দান (১০৩ হি) বলেন,

إِنَّ الَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ لَهُ أَجْرٌ ، وَإِنَّ الَّذِي يَسْتَمِعُ لَهُ أَجْرَانِ

যে ব্যক্তি কোরআন তেলাওয়াত করেন, তার জন্য রয়েছে একটি পুরস্কার। আর যিনি তা মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করেন, তার জন্য রয়েছে দুটি পুরস্কার। (সুনানুদ দারিমী ২/৫৩৬)

বিভিন্ন কাজের ফাঁকে কোরআন তেলাওয়াত শোনা নিষেধ নয় তবে উচিত নয়। কেননা, কাজে ব্যস্ত থাকার সময় কোরআন তেলাওয়াত শোনার ক্ষেত্রে তেলাওয়াতের প্রতি মনোযোগ থাকে না। অথচ যখন কোরআন তেলাওয়াত করা হয় তখন তা মনোযোগসহ শ্রবণ করা আবশ্যক। (ফাতওয়ায়ে শামী-১/৫১০)

 সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

১. মোবাইলে কুরআন তেলাওয়াত শ্রবনের ক্ষেত্রে যদি মনোযোগ না দেওয়া যায়, তাহলে এই রকম তেলাওয়াত শ্রবন উচিত নয়। সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত যদিও প্রশংসনীয়, তারপরেও তেলাওয়াত শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে গেলে বা ঘুমের ভাব চলে এলে মনোযোগ হারিয়ে যায়, তাই ঘুমের ভাব আসা মাত্র তেলাওয়াত অফ করে দেওয়া উচিত। তবে এই ভাবে চলতে থাকা নাজায়েজ নয়, এর কারণে তার কোনো গুনাহ হবেনা। তবে এটি উচিত নয়।

. উক্ত বিষয়ে উলামাদের মাঝে ইখতিলাফ রয়েছে। তবে জানা আবশ্যক যে, অযু ছাড়া সরাসরি কুরআনের আয়াত স্পর্শ করা নাজায়েজ, তাই অযু ছাড়া মোবাইলে আয়াতকে স্পর্শ করাও নাজায়েজ হবে, এটি অধিকতর সতর্কতামিূলক সিদ্ধান্ত। আর যদি স্কীনে স্পর্শ না করতে হয়, তাহলে নাজায়েজ হবেনাতবে অযু ছাড়া কুরআনের আয়াত পড়া বা টাইপ করা আদবের খেলাফ হবে। 

৩. জ্বী না! এগুলো তালাকের কোন শব্দ না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
ago by (8 points)
edited ago by
উস্তাদ উপরে কমেন্ট এর প্রশ্ন বা কথাটার জবাব তো দিলেন না,দেখলে উত্তর টা দিবেন আশা করি। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...