বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
জবাব,
আমাদের সমাজে যে গায়ে হলুদ হয়,সেটা সম্পূর্ণ বিজাতীয় হিন্দুওয়ানি সংস্কৃতি। সুতরাং শুধু নিজের পরিবারের সদস্য দের নিয়ে পর্দার সহিত কোনো প্রকারের গান-বাজনা ছাড়া হলেও এমন অনুষ্টানের কোনো বৈধতা নাই। এটা সম্পূর্ণ নাজায়েয ও হারাম।
সুতরাং প্রশ্ন উল্লেখিত গায়ে হলুদ করা জায়েজ নেই।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীগণ দীর্ঘস্থায়ী বিবাহিত জীবন, বংশবিস্তার, নবদম্পতির সুখ-শান্তি কামনা এবং অপশক্তির প্রভাব দূর করতে ধর্মীয় আবশ্যকীয় রীতি হিসেবে এ গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান পালন করে থাকে। যা স্পষ্ট শিরক।
বস্তুত হিন্দুধর্মালম্বী ও আদিবাসী উপজাতীদের থেকেই গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানের উৎপত্তি হয়েছে। সেখান থেকে মুসলিম সমাজে এর অনুপ্রবেশ ঘটেছে। মুসলিম সংস্কৃতিতে গায়ে হলুদের অবস্থান কোনো কালেই ছিলো না। সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানও জায়েজ নেই।
আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/7278/
আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/6154/
https://ifatwa.info/5959/
সম্বন্ধে সংসদ বাংলা অভিধান বলছে, গায়ে-হলুদ, বিবাহের অব্যবহিত পূর্বে পাত্রপাত্রীকে হলুদ মাখাইয়া স্নান করানর হিন্দু সংস্কার বিশেষ। পৃ. ১৬৯।
عَنْ عَبْدِ اللهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ:: ” الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঈদ রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, ব্যক্তি [কিয়ামতের দিন] তার সাতে থাকবে যাকে সে মোহাব্বত করে। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৩৭১৮, বুখারী, হাদীস নং-৬১৬৮, ৫৮১৬}
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি যার সাদৃশ্য গ্রহণ করে, সে তাদেরই অন্তর্ভূক্ত। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪০৩১}
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. যদি শুধু সাক্ষাৎ করা উদ্দেশ্য হয় তাহলে কিছু আলেমের মতে তা জায়েজ হবে। তবে মনে রাখতে হবে যে,
সাধারণত আমাদের দেশের বিয়ের আগে গায়ে হলুদ অনুষ্টানে বেপর্দা ও বেহায়াপনা হয়ে থাকে যা ইসলাম কখনই সমর্থন করে না। এছাড়াও এটি বিজাতীয় একটি সংস্কৃতি যা পরিহার করা আবশ্যক। তবে কোন আনুষ্ঠানিকতা না করে পরিপূর্ণ পর্দার বিধান মান্য করে যদি স্বাভাবিকভাবে কেউ গায়ে হলুদ দেয় তাহলে তা জায়েয হবে বলে আশা করা যায়। তবে তা না করাই শ্রেয়।
সুতরাং যদি অনুষ্ঠানে বেপর্দা ও বেহায়াপনা থাকে তাহলে আপনার জন্য সেখানে যাওয়া জায়েজ হবে না। শরিয়তের বিষয় তাকে সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে বলতে হবে। ব্যক্তিকে খুশী করতে গিয়ে আল্লাহকে নারাজ করা জয়েয হবে না।
২-৩. এগুলোর উত্তর উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।