আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
37 views
in সাওম (Fasting) by (16 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম উস্তায।

আমার মা অতীতে প্রায় ৩০টা মত রোজা ইচ্ছাকৃত ভেঙে ফেলেন পানাহারের মাধ্যমে। তাহলে এই ৩০টা রোজার কাফফারা কিভাবে দিতে হবে?
সেহেরি তে যদি উঠতে না পারি,তাহলে রোজার নিয়ত অর্ধদিনের আগে করতে হয় বলতে ঠিক কোন সময়কে বুঝানো হয়েছে? কয়টার মধ্যে নিয়ত করতে হবে?


কাজা রোজা রাখা অবস্থায় যদি ভুলে কিছু খাবার/পানি খেয়ে ফেলে তাহলে কি রোজা ভঙ হয়ে যাবে?


আমরা জানি যে ইচ্ছাকৃত রোজা ভেঙে ফেললে একটা রোজার জন্য টানা ৬০টা রোজা রাখতে হবে/১টা রোজার জন্য একজন মিসকীন কে ৩বেলা করে খাওয়াতে হবে। তাহলে আমার আম্মু যে ইচ্ছাকৃত পানাহারের মাধ্যমে ৩০টা রোজা ভাঙল সেটার কাফফারা হিসেবে তাহলে ৩০✘৬০=১৮০০ রোজা রাখতে হবে? একটু যদি বুঝায় দিতেন..
closed

1 Answer

0 votes
by (62,670 points)
selected by
 
Best answer

ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

https://www.ifatwa.info/2187  নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,

বালিগ হওয়ার বৎসর বয়স থেকে যতটা রমজান অতিবাহিত হয়েছে। এর মধ্যে যতটা রোযা রাখা হয়নি বা নিয়তই করা হয়নি। সেগুলোকে হিসেব করে শুধুমাত্র কাযা করে নিলেই হবে। কাফফারার কোনো প্রয়োজন এক্ষেত্রে নেই। আর যে সমস্ত রোযা রেখে তারপর ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। যেমন ইচ্ছাকৃত খানা খাওয়ার মাধ্যমে অথবা স্ত্রী সহবাসের মাধ্যমে একটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।  এ রোযার কাফফারা আদায় করতে হবে।

ভেঙ্গে ফেলা রোযা সমূহের কয়টি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে? ছুটে যাওয়া প্রত্যেকটি রোযার জন্য কি পৃথক পৃথক কাফ্ফারা আদায় করতে হবে? নাকি সবগুলোর জন্য একটি কাফ্ফারাই যথেষ্ট হবে?

প্রতিউত্তরে বলা যায়-এ সম্পর্কে সর্বমোট তিনটি মতামত পাওয়া যায়। এর মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য অভিমত হচ্ছে-

প্রতিটি রোযার জন্য পৃথক পৃথক কাফ্ফারা যদিও আসার কথা ছিলো। কিন্তু যেহেতু এটা মানুষের জন্য অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। তাই ফুকাহায়ে কেরাম সহজতার স্বার্থে বলেন যে,


অতীতের যতগুলো রোযা স্ত্রী সহবাসের মাধ্যমে ভঙ্গ হয়েছে সেই সবগুলোর জন্য একটি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে এবং স্ত্রী সহবাস ব্যতীত অন্য কোনো মাধ্যম তথা খানাপিনার মাধ্যমে যতগুলো রোযা ভঙ্গ হয়েছে সেই সবগুলোর জন্য পৃথক একটি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে। (আহসানুল ফাতাওয়া-৪/৪৩৪)


মোটকথাঃ

জীবনে যত ফরয রোযা পানাহারের মাধ্যমে ভঙ্গ করা হয়েছে, তার জন্য একটি কাফ্ফারা আসবে এবং একটি কাফ্ফারাই উক্ত সকল রোযার জন্য যথেষ্ট হবে। ঠিক এভাবে যত রোজা সহবাসের মাধ্যমে ভঙ্গ করা হয়েছে তার জন্য একটি কাফ্ফারা আসবে। কাফফারা সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/102  


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


১. ইচ্ছাকৃত শুধু রমজানের রোজা ভেঙ্গে ফেলার দ্বারা কাফফারা আসে। অন্য রোজার ক্ষেত্রে আসে। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি রমজানের রোজা হয়ে থাকে একটি কাফফারা অর্থাৎ ৬০ টি রোজা লাগাতার রাখতে হবে এবং ৩০ টি রোজা কাযা আদায় করে দিতে হবে। তাহলেই যথেষ্ট হবে ইনশাআল্লাহ।

২. অর্ধদিনের আগে বলতে যোহরের সালাতের সময় শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগ পর্যন্ত করা যাবে।

৩. না, রোজা অবস্থায় ভুল করে কিছু খেলে রোজা ভঙ্গ হয় না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (16 points)
মেয়ে মানুষ ৬০টি রোজা লাগাতার রাখতে পারবে না যেহেতু হায়েজ হয়। সেক্ষেত্রে কি করণীয়?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...