আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
567 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম।
মুহতারম উস্তায, বাংলাদেশে বিপ্লবের পর থেকে মোটামুটি ইসলাম নিয়ে চর্চা বেশি দেখা যাচ্ছে। অফলাইনে বিভিন্ন সেমিনার বা গ্যাদারিং আয়োজিত হচ্ছে। ইদানীং করে Sean Publication থেকে বড় বড় সেমিনার হয়েছে। এদিকে কিছু তরুণ আলিম/ নন-আলিম লেখক ভাইয়েরাও আলোচক হিসেবে ছিলেন। এদিকে নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যেই অংশগ্রহণে ব্যবস্থা ছিল। তো বোনদের বসার যায়গায় তারা বড় প্রজেক্টরে ভাইদের আলোচনার ভিডিও দেখিয়েছে।
এতে ফেতনা হয়েছে বলে অনেক ভাই-বোন আপত্তি করেছেন। এক্ষেত্রে তাদের ভাষ্য ছিলো এমন যে, "দ্বীন শেখাতে এসে ফেতনা পূর্ণ কাজ হলে তো সমস্যা/নজরের হিফাযত না করে এমন আয়োজন করা শারইয়া পরিপন্থি"
পাশাপাশি অনেকে বোনদের সারাদিনের জন্য মাহরম ছাড়া যাওয়া নিয়েও অনেকে আপত্তি করেছেন। এক্ষেত্রে অনেকে এটাও বলেছেন যে, "বোনদের গায়রতে সমস্যা আছে বলেই এধরণের আয়োজনে তারা শামিল হয়েছে বা যারাই মাহরম ছাড়া গিয়েছে তারা হারম কাজ করেছে" এমন।
সেমিনার টি দিনের বেলা থেকে মাগরিব পর্যন্ত ছিল। (চট্টগ্রামে)
অনেক বোন এখন এই আপত্তি গুলোর জন্য হতাশ হচ্ছেন এই ভেবে যে, তাদের অফলাইনে সুহবত নেয়ার পথে কেন এত বাধা আবার অনেকে বলছেন এগুলোর জন্য ইলম অর্জনের সুযোগ থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন।


সেমিনারে উস্তায হারুন ইযহার হাফি. তার দুই মেয়েকে নিয়ে এসেছিলেন। এটাকে কেন্দ্র করেও অনেকে তর্ক করেছে যে তার দুই মেয়ে এসেছেন সেক্ষেত্রে মাহরম থাক বা না থাক অন্যরাও যেতে পারবেন এমন।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে,
১. যারা আপত্তি জানাচ্ছে তাদের আপত্তি জানানোর যুক্তি গুলো কি ঠিক আছে? আসলেই কি এধরণের সেমিনারে যাওয়া গায়রতের ত্রুটি বা যারা আয়োজন করেছে তারা শারইয়া পরিপন্থী কাজ করেছেন?
২. এধরণের সেমিনার গুলোকে কি ইলম অর্জনের সেমিনার হিসেবে ধরা যায়? বা এই আয়োজনে অংশগ্রহণ না করলে কি বোনেরা ইলম থেকে বঞ্চিত হবে এই ভাবনা লালন করা যায়?


৩. বোনদের এসব আয়োজনে যাওয়া উচিৎ কি না? যদি উচিৎ হয় কীভাবে কতক্ষণের জন্য গেলে গুনাহের ভাগীদার হবেন না তারা।


৪. এসব সেমিনার যদি নিজ জেলাতেই হয় সেক্ষেত্রে মাহরম পুরুষ নিয়ে যাওয়াই কি বাধ্যতামূলক? মহিলার সাথে গেলে তা কি নাজায়িজ হবে?


অনুগ্রহ করে জানাবেন। জাযাকাল্লহ খইর।

1 Answer

0 votes
by (566,400 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/43772/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
দ্বীনের জরুরী ইলম শিক্ষা করা নারীদের উপরও ফরয। তবে এর শরীআতসম্মত পদ্ধতি হলো ঘরের পুরুষরা দ্বীন শিখে তাদের নারীদেরকে শেখাবে। 

নারীরা শিখে ঘরের মেয়েদেরকে অনুরূপভাবে আশপাশের মেয়েদেরকে সহীহ-শুদ্ধভাবে কুরআন মাজীদ শেখাবে, প্রয়োজনীয় মাসআলা-মাসায়েল শেখাবে, হক্কানী উলামায়ে কেরামের রচিত কিতাব থেকে ওয়ায-নসীহত শুনাবে। 

প্রয়োজনে মাঝে মাঝে মাহরাম পুরুষের তত্ত্বাবধানে হক্কানী আলেম ও বুযুর্গদের ঘরোয়া পরিবেশে এনে পর্দা-পুশিদার সাথে ওয়ায -নসীহত শুনবে। 

সহীহ বুখারী ও সহীহ ইবনে হিব্বানে বর্ণিত হয়েছে, একবার কিছু সংখ্যক নারী সাহাবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা আপনার মজলিসে পুরুষদের সাথে বসতে পারি না। আমাদের জন্য একটি দিন ধার্য করুন, যাতে সেদিনটিতে আমরা আপনার থেকে নসীহত শুনতে পারি। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন موعدكن بيت فلانة অর্থাৎ নির্ধারিত দিন অমুক মহিলার ঘরে জমায়েত হও। অতপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেখানে তাদেরকে ওয়ায-নসীহত করলেন। -(সহীহ বুখারী, হাদীস ১০১; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ২৯৪১)


ইসলামের প্রাথমিক যুগে যদিও নারীরা নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মত
ইমামের পেছনে নামায পড়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষার  কারণে মসজিদে নববীর জামাতে অংশগ্রহণ করত। তথাপি তার জন্য বেশ কিছু শর্ত ছিল। 

যেমন, ১. পূর্ণ পর্দার সাথে আসতে হবে। ২. সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারবে না। ৩. সাজসজ্জা পরিত্যাগ করতে হবে। ৪. রাতে আসবে, দিনে আসবে না। ৫. মহিলারা সবার পরে আসবে এবং নামায শেষে পুরুষদের আগে বের হয়ে যাবে। ৬. কোনো অবস্থাতেই পুরুষদের সাথে মেলা-মেশার আশঙ্কা না থাকতে হবে। উপরন্তু, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজ হায়াতেই মহিলাদের মসজিদে নববীতে না এসে নিজের ঘরের অন্দরমহলে নামায পড়ার জন্য তাকীদ করতেন।


একদা হযরত উম্মে হুমাইদ রা. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে এসে বললেন, আমি আপনার সঙ্গে নামায নামায পড়তে ভালবাসি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: আমি জানি তুমি আমার সঙ্গে নামায পড়তে ভালবাস। কিন্তু তোমার ঘরে নামায তোমার বাইরের হুজরায় নামায অপেক্ষা উত্তম। আর তোমার হুজরায় নামায তোমার বাড়ীতে নামায অপেক্ষা উত্তম। আর তোমার বাড়ীতে নামায তোমার মহল্লার মসজিদে নামায অপেক্ষ উত্তম। আর তোমার মহল্লার মসজিদে নামায আমার মসজিদে নামায অপেক্ষা উত্তাম। অত:পর উক্ত মহিলা নিজ ঘরের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে নামাযের স্থান নির্ধারণ করে নিল এবং আমরণ তাতেই নামায আদায় করল। (মুসনাদে আহমাদ (হাদিস নং ১৭০৯০), সহীহ ইবনে খুযাইমা (হাদিস নং ১৬৮৯) ও সহীহ ইবনে হিব্বান (হাদিস নং ২২১৭)

অতঃপর নবীজীর ইন্তিকালের পর সামাজিক পরিবেশের সামান্য পরিবর্তনের কারণে সাহাবায়ে কেরাম মহিলাদেরকে মসজিদে আসতে নিষেধ করে দেন এবং মহিলারাও মসজিদে আসা বন্ধ করে দেয়। উম্মাহাতুল মুমিনীন এবং অন্যান্য মহিলা সাহাবীদের তাকওয়া- তহারাত, খোদাভীতি যা প্রবাদতুল্য, এবং পরবর্তীযুগের নারীদের জন্য যারা হলেন আদর্শ তাঁদের ব্যাপারে যদি এমন নিষেধাজ্ঞা হয়, তাহলে এমন ফেতনা-ফাসাদের ব্যাপকতার যুগে প্রকাশ্যে দিবালোকে বেপর্দার সাথে দুর-দুরান্ত থেকে মহিলাদের উক্ত সম্মেলনে যাতায়াত কীভাবে অনুমোদিত হতে পারে?

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
মহিলাদেরকে মাঠে-ময়দানে ডেকে এনে ওয়ায শোনানোর আয়োজনটা পরিপূর্ণ ভাবে শরীয়তসম্মত পন্থা নয়। কেননা মহিলাদের ক্ষেত্রে শরীয়তের নির্দেশনা হল, ইবাদত-বন্দেগী থেকে শুরু করে তাদের সকল কাজ পুরুষদের থেকে আলাদা হবে। তাদের অবয়ব ও চলাফেরা পুরুষদের দৃষ্টির আড়ালে থাকবে।

অতএব মাহফিল কমিটির কর্তব্য হবে, মহিলাদের জন্য মাহফিলে অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করা থেকেই বিরত থাকা। কেননা এর দ্বারা মহিলাদের ব্যাপারে শরীয়তের অনেকগুলো বিধান ও নির্দেশনার লঙ্ঘণ হয় এবং ক্ষেত্রবিশেষে তা পুরেপুরি নাজায়েযের আওতায় চলে যেতে পারে। তাই নিজেদের আবেগ ও চাহিদা অনুযায়ী আমল না করে শরীয়ত নির্দেশিত পন্থায় এবং শরীয়তের চাহিদা অনুযায়ী আমল করাই মুসলমানদের করণীয়।

দ্বীনের জরুরি ইলম শিক্ষা করা নারীদের উপরও ফরয। তাদেরকে সঠিক ঈমান-আকীদা শিক্ষা দেওয়া, তালীম-তরবিয়ত করা খুবই দরকার। তবে এর পদ্ধতি হতে হবে অবশ্যই শরীয়তসম্মত। আর তা হল ঘরের পুরুষরা দ্বীন শিখে তাদের নারীদেরকে শেখাবে। এমনিভাবে বাড়িতে বাড়িতে ঘরোয়া দ্বীনী মাহফিল এবং ঘরোয়া দ্বীনী তালীমের আয়োজন করা। আর ঘর/বাসার কাছে অনাবাসিক তালীমুল বানাতের ব্যবস্থা থাকলে সেখানে গিয়ে দ্বীন শিখে আসতে পারে। এতে প্রত্যেক ঘরেই দ্বীনী তালীমের চর্চা হবে এবং ঘরে ঘরে দ্বীনী পরিবেশ কায়েম হবে- ইনশাআল্লাহ।

আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى
‘আর তোমরা স্বগৃহে অবস্থান করবে এবং জাহিলিয়াতযুগের মত নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়াবে না।’(সূরা আহযাব ৩৩)

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
الْمَرْأَةُ عَوْرَةٌ ، وَإِنَّهَا إِذَا خَرَجَتِ اسْتَشْرَفَهَا الشَّيْطَانُ ، وَإِنَّهَا لا تَكُونُ أَقْرَبَ إِلَى اللَّهِ مِنْهَا فِي قَعْرِ بَيْتِهَا
‘নারী গোপন জিনিস, যখন সে ঘর থেকে বের হয় শয়তান তাকে তাড়া করে। আর সে আল্লাহ তাআলার সবচে’ নিকটতম তখন হয় যখন সে নিজের ঘরের মাঝে লুকিয়ে থাকে।’ (তাবরানী ২৯৭৪)

নারী মসজিদে যাওয়ার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,وَبُيُوتُهُنَّ خَيْرٌ لَهُنَّ ‘তাদের জন্য তাদের ঘর উত্তম।’ (আবু দাউদ ৫৬৭)

وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: لَا يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِاِمْرَأَةٍ وَلَا تُسَافِرَنَّ امْرَأَةٌ إِلَّا وَمَعَهَا مَحْرَمٌ. فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ اكْتُتِبْتُ فِىْ غَزْوَةِ كَذَا وَكَذَا وَخَرَجَتِ امْرَأَتِىْ حَاجَّةً قَالَ: اِذْهَبْ فَاحْجُجْ مَعَ اِمْرَأَتِكَ. (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

 [‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন পুরুষ যেন কক্ষনো কোন স্ত্রীলোকের সাথে এক জায়গায় নির্জনে একত্র না হয়, আর কোন স্ত্রীলোক যেন কক্ষনো আপন কোন মাহরাম ব্যতীত একাকিনী সফর না করে। তখন এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রসূল! অমুক অমুক যুদ্ধে আমার নাম লেখানো হয়েছে। আর আমার স্ত্রী একাকিনী হজের উদ্দেশে বের হয়েছে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যাও তুমি তোমার স্ত্রীর সাথে হজ্জ/হজ করো।
সহীহ : বুখারী ৩০০৬, মুসলিম ১৩৪১, আহমাদ ১৯৩৪, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ২৫২৯, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১০১৩৪, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩৭৫৭।

হাদীস শরীফে মাহরাম ব্যতীত সফর করতে নিষেধ করা হয়েছে।সুতরাং মহিলার জন্য এমন কোনো স্থান যেখানে নারী-পুরুষের অবাধ মিলামিশা নেই, এবং যেখানে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে শরয়ী পর্দার যথেষ্ট ব্যবস্থা রয়েছে,সেখানে যেতে পারবে।

তবে সফরের দুরত্বে হলে (৭৮ কিলোমিটার হলে) অবশ্যই সাথে মাহরাম পুরুষ থাকতে হবে।
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এক্ষেত্রে যদি আলাদা রুমে পর্দা ঘেরা পরিবেশে নারীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা না হয়,অথবা ফিতনার আশংকা যদি থাকে,সেক্ষেত্রে তাদের আপত্তি করা ঠিক আছে।

(০২)
এক্ষেত্রে নারীদের জন্য যদি আলাদা রুমে পর্দা ঘেরা পরিবেশে ব্যবস্থা করা হয়,সেক্ষেত্রে সমস্যা নেই।

কিন্তু পুরুষদের সাথে একই রুমে/স্থানে এ ধরনের ব্যবস্থা করলে সেক্ষেত্রে মূলত সমস্যা।

সেক্ষেত্রে এধরণের সেমিনার গুলোকে ইলম অর্জনের সেমিনার হিসেবে ধরা গেলেও শরয়ী নীতিমালা পূর্ণ অনুসরণ হয়নি বলা যায়।

এই আয়োজনে অংশগ্রহণ না করলে বোনেরা ইলম থেকে বঞ্চিত হবে এই ভাবনা লালন করা যায়না।

(০৩)
নারীদের জন্য মূলত বাড়িতে বাড়িতে ঘরোয়া দ্বীনী মাহফিল এবং ঘরোয়া দ্বীনী তালীমের আয়োজন করাই উত্তম, আর ঘর/বাসার কাছে তালীমুল বানাতের ব্যবস্থা থাকলে সেখানে গিয়ে দ্বীন শিখে আসাই উত্তম।

তদুপরি প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নারীদের জন্য যদি আলাদা রুমে পর্দা ঘেরা পরিবেশে ব্যবস্থা করা হয়,ফিতনার আশংকা না থাকে,সেক্ষেত্রে পূর্ণ পর্দা করে এসব আয়োজনে যাওয়া যাবে।
সফরের দূরত্বে হলে বা কাছে হলেও প্রোগ্রামটি রাতে হলে সেক্ষেত্রে মাহরাম পুরুষ সাথে থাকা আবশ্যক। 

(০৪)
এক্ষেত্রে নারীদের জন্য যদি আলাদা রুমে পর্দা ঘেরা পরিবেশে ব্যবস্থা করা হয়,ফিতনার আশংকা না থাকে,প্রোগ্রামটি দিনের বেলা হয়,সেক্ষেত্রে পূর্ণ পর্দা করে মহিলার সাথে এসব আয়োজনে যাওয়া যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
জাযাকাল্লাহ খইর উত্তর প্রদানের জন্য।
by
edited
আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহু উস্তাজ। সেমিনারটি রাত আটটা অবধি হয়েছে। অনেক বোন ততক্ষণ পর্যন্ত ছিল এবং অনেকেই তাদের মাহরাম ছাড়া বান্ধবীদের সাথে বা দ্বীনি বোনদের সাথে গিয়েছে। যদিও বাসা থেকে সেমিনারের ভেন্যুর দূরত্ব সফরের দূরত্বের ভিতরে কিন্তু রাতের বেলা হওয়ায় এখানে এভাবে মাহরাম ছাড়া  আসা কি জায়েজ আছে বা শরয়ী দৃষ্টিতে এর হুকুম কি উস্তাদজি? উল্লেখ্য  উক্ত সেমিনারে নারী পুরুষের জন্য সম্পূর্ণ আলাদাভাবে ব্যবস্থা ছিল এবং দুইটা আলাদা ফ্লোরে ব্যবস্থা ছিল।সেমিনার শেষে সবার প্রস্থানের দরজা ভিন্ন কিন্তু প্রস্থান একই  সময়ে হওয়ায় সবাই হলরুম থেকে বের হয়ে যখন গাড়ির জন্য অপেক্ষারত ছিল তখন নারী পুরুষ মিলে প্রায় ১৫০০+ মানুষ বাইরে দাঁড়ানো ছিল। হ্যাঁ তারা নারী পুরুষ মিলে কথাবার্তা বলেনি কিন্তু  একসাথে এতোগুলা মানুষ গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে বড়সড় জমায়েত হে গিয়েছে এবং এই বিষয়টা নিয়ে সচেতন মানুষজন আপত্তি তোলেছে। এই বিষয়টায় শরীয়ার হুকুম কি জানালে মুনাসিব হয় উস্তাদ।
আরেকটা বিষয় হলো,প্রশ্নকর্তা বললেন শায়খ হারুন ইজহার হাফিঃ এর মেয়েদের নিয়ে তিনি সেমিনারে গিয়েছিলেন। কিন্তু প্রকৃত বিষয় হলো শায়খের বড় মেয়ে মদিনায় বসবাসরত আছেন আর ছোট মেয়ে এখনোও পর্দার বয়সে উন্নীত হননি।শায়খ হারুন ইজহার হাফিঃ এর আহলিয়া সেমিনারে গিয়েছিলেন।শায়খ হারুন ইজহার হাফিঃ তো সেমিনারে ছিলেনই। এক্ষেত্রে উনার ব্যাপার বলে বোনেরা একা একা যাওয়ার ভ্যালিডেশন তো আসে না। 
by
+1
জাযাকাল্লাহু খাইরান হুজুর।
by (566,400 points)
রাত ৮ টা সেই এলাকায় যদি নারীদের জন্য শতভাগ নিরাপদ এলাকা হয়,সকলেই যদি হাত,পা,চেহারা সহ আপাদমস্তক ঢেকে পূর্ণ পর্দা করে আসে,কোনোরকম ফিতনায় কেউ যদি জড়িয়ে না পরে থাকে,সেক্ষেত্রে প্রশ্নের বিবরন মতে আশা করি গুনাহ হবেনা,ইনশাআল্লাহ। 

তবে বর্তমান যামানায় যেহেতু নারীদের জন্য মসজিদে জামাতে নামাজ পড়তে যাওয়াই মাকরুহে তাহরিমি, তাই অনেকের মতে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নারীদের সেখানে যাওয়া মাকরুহে তাহরিমি বলেই বিবেচিত হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

No related questions found

...