জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِخْوَانُكُمْ جَعَلَهُمُ اللَّهُ تَحْتَ أَيْدِيكُمْ فَمَنْ جَعَلَ اللَّهُ أَخَاهُ تَحْتَ يَدَيْهِ فَلْيُطْعِمْهُ مِمَّا يَأْكُلُ وَلْيُلْبِسْهُ مِمَّا يَلْبَسُ وَلَا يُكَلِّفْهُ مِنَ الْعَمَلِ مَا يَغْلِبُهُ فَإِنْ كَلَّفَهُ مَا يَغْلِبُهُ فَلْيُعِنْهُ عَلَيْهِ»
আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তারা (দাসগণ) তোমাদের ভাই, আল্লাহ তাদেরকে তোমাদের অধীনন্থ করে দিয়েছেন। অতঃপর আল্লাহ যখন তার কোনো ভাইকে অধীন করে দেন, সে যেন নিজে যা খায়, তাকেও তাই খাওয়ায়; নিজে যা পরিধান করে, তাকেও তা পরিধান করায়। তাদের সাধ্যাতীত কাজের জন্য যেন চাপপ্রয়োগ না করে। আর একান্তই যদি সাধ্যাতীত কাজে বাধ্য করে, তবে নিজেও যেন তাকে সর্বাত্মকভাবে সাহায্য করে। (বুখারী ও মুসলিম)
সহীহ : বুখারী ৬০৫০, মুসলিম ১৬৬১, আবূ দাঊদ ৫১৫৮, ইবনু মাজাহ ৩৬৯০, আহমাদ ২১৪৩২, ইরওয়া ২১৭৬, সহীহ আত্ তারগীব ২২৮২।
(০২)
আল্লাহ সুবহানাহু তা'আলা বলেছেন
وَاعْبُدُوا اللَّهَ وَلَا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا ۖ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا وَبِذِي الْقُرْبَىٰ وَالْيَتَامَىٰ وَالْمَسَاكِينِ وَالْجَارِ ذِي الْقُرْبَىٰ وَالْجَارِ الْجُنُبِ وَالصَّاحِبِ بِالْجَنبِ وَابْنِ السَّبِيلِ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ
‘তোমরা আল্লাহর ইবাদাত করো। তাঁর সাথে আর কাউকে অংশীদার মনে করো না। পিতামাতার সাথে সদাচরণ করো, নিকটাত্মীয়, ইয়াতিম, মিসকীনদের প্রতিও। প্রতিবেশী আত্মীয়ের প্রতি এবং আত্মীয়ের প্রতিবেশীর প্রতি, চলার সাথী এবং পথিকের প্রতি, সেইসাথে তোমাদের অধীনস্থ দাসদাসীর প্রতিও দয়া অনুগ্রহ প্রদর্শন করো।
(সূরা আন নিসা, আয়াত : ৩৬।)
মারুর ইবনু সুয়াইদ (রাঃ) বলেছেন, আমি আবু যার (রাঃ) ও তার এক ক্রীতদাসকে একই রকম পোশাক পরা দেখে কারণ জানতে চাইলাম। তিনি বললেন,
انتي ساببت رجلا فشكاني إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال لي رسول الله صلى الله عليه وسلم أعيرته بأمه؟ ثم قال ان اخوانكم خولكم جعلهم الله تحت أيديكم فمن كان أو تحت يديه فليطعمه مما يأكل وليلبسه مما يلبس ولا تكلفوهم من العمل ما يغلبهم فان كلفتموهم ما يغلبهم فاعينوهم عليه
‘আমি একবার এক লোককে অবজ্ঞা করেছিলাম, সে আমার বিরুদ্ধে আল্লাহর রাসূল (সা.)-এর কাছে অভিযোগ করেছিলো। রাসূল (সা.) আমাকে ডেকে নিয়ে বললেন, তুমি কি তার মায়ের কারণে তাকে অবজ্ঞা করছো? আমি দেখছি তোমার ভেতর এখনও জাহেলিয়াত রয়ে গেছে। মনে রেখো তোমার ক্রীতদাস সেও তোমার ভাই, আল্লাহ্ তাকে তোমার অধীনস্থ করেছেন। তাই তুমি যা খাবে তোমার ভাইকেও তাই খেতে দেবে। তুমি যা পরবে তোমার ভাইকেও তাই পরাবে। তাকে দিয়ে সাধ্যের অতিরিক্ত কাজ করাবে না। যদি করাও তুমিও তার কাজে সাহায্য করবে।
(সহীহ আল বুখারী; সহীহ মুসলিম।)
(০৩)
وَعَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الْأَنْصَارِيِّ قَالَ: كُنْتُ أَضْرِبُ غُلَامًا لِي فَسَمِعْتُ مِنْ خَلْفِي صَوْتًا: «اعْلَمْ أَبَا مَسْعُودٍ لَلَّهُ أَقْدَرُ عَلَيْكَ مِنْكَ عَلَيْهِ» فَالْتَفَتُّ فَإِذَا هُوَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ هُوَ حُرٌّ لِوَجْهِ اللَّهِ فَقَالَ: «أَمَا لَوْ لَمْ تَفْعَلْ لَلَفَحَتْكَ النَّارُ أَوْ لَمَسَّتْكَ النَّارُ» . رَوَاهُ مُسلم
আবূ মাস্’ঊদ আল আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি স্বীয় দাসকে প্রহাররত অবস্থায় আমার পেছন হতে উচ্চস্বরে একটি আওয়াজ শুনলাম, হে আবূ মাস্’ঊদ! সাবধান! তুমি তোমার দাসের ওপর যতটুকু ক্ষমতা রাখ আল্লাহ তদপেক্ষা তোমার ওপর অধিক ক্ষমতার অধিকারী। অতঃপর আমি পিছন ফিরে দেখি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (এ কথাটি) বলছেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! তাকে আল্লাহর ওয়াস্তে মুক্ত করে দিলাম। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি যদি এটা না করতে তবে জাহান্নামের আগুন তোমাকে ঝলসিয়ে দিত।
সহীহ : মুসলিম ১৬৫৯, আবূ দাঊদ ৫১৫৯, তিরমিযী ১৯৪৮, সহীহ আত্ তারগীব ২২৭৭, আহমাদ ২২৩৫০, সহীহ আল জামি‘ ৫০৩৪।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
১ম হাদীস হুবহু পেয়েছি।
হাদীসটি সহীহ।
২য় হাদীসের কিছু অংশ হাদীসের কিতাবে খুজে না পেলেও তার অর্থ কুরআনের আয়াত ও অন্যান্য সহীহ হাদীস দ্বারা সমর্থিত।
যাহা উপরে উল্লেখ রয়েছে।
৩য় হাদীস হুবহু হাদীসের কিতাবে খুজে না পেলেও তার অর্থ অন্যান্য সহীহ হাদীস দ্বারা সমর্থিত।
যাহা উপরে উল্লেখ রয়েছে।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উপরে উল্লেখিত সমস্ত হাদীসই আমল যোগ্য
এগুলোর উপর আমল করতে হবে।
উল্লেখ্য, এগুলো দাস দাসীদের বিধান সংক্রান্ত হাদীস।
বর্তমান যামানার খাদেম/খাদেমাহ এর অন্তর্ভুক্ত নয়। তারা তো বেতন এর বিনিময়ে চুক্তিবদ্ধ থাকে।
কিন্তু দাস দাসী তো সেরকম নয়।
তবে বর্তমান যামানার খাদেম/খাদেমাহ দেরকে তাদের চুক্তি অনুপাতে খাবার দিতে হবে।
যেই মানের খাবার দেয়ার চুক্তি তাদের সাথে করা হবে,ঠিক সেই চুক্তি অনুপাতে খাবার দিতে হবে।
তাদের উপর কোনোক্রমেই প্রহার করা যাবেনা,এটা জায়েজ নেই।