وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
কোনো প্রডাক্টে হারাম বস্তুর মিশ্রণ থাকার ব্যাপারে যতক্ষণ পর্যন্ত প্রমান পাওয়া যাবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত তা বৈধ। আর হারাম বস্তু মিশ্রণ এর প্রমান পাওয়া গেলে তা অবৈধ। আল্লাহ তাআলা বলেন,
قُلْ مَنْ حَرَّمَ زِينَةَ اللّهِ الَّتِيَ أَخْرَجَ لِعِبَادِهِ وَالْطَّيِّبَاتِ مِنَ الرِّزْقِ
আপনি বলুন, আল্লাহর সাজসজ্জাকে, যা তিনি বান্দাদের জন্যে সৃষ্টি করেছেন এবং পবিত্র খাদ্রবস্তুসমূহকে কে হারাম করেছে? (সূরা আ’রাফ ৩২)
শরীয়তের বিধান হলো অভিজ্ঞ ডাক্তারের মতে যদি সেই ক্রীম,প্রসাধনী সামগ্রী শরীর ত্বকের জন্য ক্ষতিকর না হয়,এবং তাতে কোনো হারামের মিশ্রণ যদি না থাকে।
এবং তাতে কোনোপ্রকার নেশাজাত দ্রব্যাদি সংযুক্ত করা না হয় তাহলে ফর্সা হওয়ার জন্য তা ব্যবহার করা জায়েয হবে।
হযরত সালমান ফারসী রাযি. থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺳﻠﻤﺎﻥ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﺳﺌﻞ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻋﻦ ﺍﻟﺴﻤﻦ ﻭﺍﻟﺠﺒﻦ ﻭﺍﻟﻔﺮﺍﺀ ﻓﻘﺎﻝ : ( ﺍﻟﺤﻼﻝ ﻣﺎ ﺃﺣﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻲ ﻛﺘﺎﺑﻪ ، ﻭﺍﻟﺤﺮﺍﻡ ﻣﺎ ﺣﺮﻡ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻲ ﻛﺘﺎﺑﻪ ، ﻭﻣﺎ ﺳﻜﺖ ﻋﻨﻪ ﻓﻬﻮ ﻣﻤﺎ ﻋﻔﺎ ﻋﻨﻪ )
সারমর্মঃ
নবীজী সাঃ কে ঘি,পণীর,এবং জঙ্গলি গাধা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেনঃহালাল সেগুলাই যা আল্লাহ তা'আলা উনার কিতাবে হালাল করে দিয়েছেন।এবং হারাম সেগুলাই যা আল্লাহ তা'আলা তার কিতাবে হারাম করে দিয়েছেন।আর যেগুলোর বিধি-বিধান বর্ণনা করেননি,তা হালাল বিধানের-ই অন্তর্ভূক্ত। (জা'মে তিরমিযি-১৭২৬)
আরো জানুনঃ-
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
শামুক খাওয়া যেহেতু নাজায়েজ, সুতরাং তার থেকে এভাবে আঠালো পদার্থ বের করে প্রশ্নে উল্লেখিত প্রডাক্টে ব্যবহার করাও নাজায়েজ হবে।
,
হ্যাঁ যদি তাহা শরীর, ত্বকের জন্য উপকারী হয়,আর অন্য কোনো হালাল প্রডাক্ট যদি পাওয়া না যায়,তাহলে চিকিৎসা হিসেবে এটির ব্যবহারের অনুমতি দেয়া যায়।