আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
40 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
السلام عليكم و رحمة الله و بركاته

রিসেন্ট অর্ধেক দ্বীন ডটকম থেকে চমার জন্য একটা প্রস্তাব আসে। আমি আমার বায়োডাটা তে লিখে দিয়েছিলাম প্রবাসি কেউ যোগাযোগ করবেন না, তারপরও উনি যোগাযোগ করেন। পাত্র ইংলেন্ডে সেটেল্ড। ওখানেই জন্ম এবং ওখানেই বড় হয়েছেন। উনার মা-বাবা বাংলাদেশি। উনি বাংলায় কথা বলতে পারেন আর কেউ বাংলায় কথা বললে বুঝতে পারেন। বাংলায় লিখতে ও পারেন না আর বাংলা লেখা বুঝেন ও না। উনি বলছেন উনি মাদ্রাসায় পড়েন, নন-মাহরাম মেইনটেইন করে চলেন, সুন্নাতি পোশাক পড়েন, কিন্তু উনার বয়স ১৯ অর্থাৎ আমার সমবয়সী। আমার যে সালে জন্ম উনার একই সালে জন্ম। আমি বুঝতে পারছি না আমি কি এই প্রস্তাবে আগাবো? আমি একবার কোনো একটা হাদিসে পড়েছিলাম যারা মুসলিম হয়ে অমুসলিম দেশে চলে যায় তাদের উপর রাসুলুল্লাহ ﷺ লানত দিয়েছেন। দুনিয়াবি কাজের জন্য কাফের দেশে যেতে নিষেধ করেছেন। এই ভয়ে এখন পর্যন্ত অনেক প্রবাসীদের প্রস্তাব নাকচ করেছি।
আমার প্রশ্নঃ

এমতাবস্থায়

১/ কাফের দেশে প্রবাসী কাউকে বিয়ে করে ওই দেশে সেটেল্ড হলে কি আমার গুনাহ হবে? আমি কি লানতের মধ্যে পড়বো?
২/ কাফের দেশে প্রবাসী কাউকে বিয়ে করলে সন্তানদের দ্বীনি শিক্ষা দেওয়া প্রায় কম সম্ভাবনা থাকে, এক্ষেত্রে যদি দ্বীনি শিক্ষা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে তবে কি কাফের দেশে প্রবাসী কাউকে বিয়ে করা যাবে?

৩/ যিনি প্রস্তাব দিয়েছেন উনি যদি দ্বীনদার হোন এবং সন্তানদের দ্বীনি শিক্ষার ব্যাবস্থা করবেন বলেন তবে কি উনাকে বিয়ে করতে পারবো? যেহেতু বিয়ের পর আমাকে ইংলেন্ডেই চলে যেতে হবে। কোনো গুনাহ হবে কি?

৪/ অনেক সময় পাত্র পক্ষ বিয়ের উদ্দেশ্যে মেইলে আমাকে অনেক প্রশ্ন করে এগুলোর উত্তর কি দেওয়া যাবে? উনারা বলেন পাত্রী দেখতে যাওয়ার আগে তার দ্বীনদারীতা সাথে অন্যান্য জিনিস জেনে দেখতে গেলে সে বিয়েটা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। পাত্রী দেখার পর না করলে ব্যাপারটা কিরকম হয় তাই দ্বীনদারীতা যাচাইয়ের জন্য মেইল করেন। কিন্তু মেইলে প্রয়োজনের বাইরে কোনো ম্যাসেজই দেওয়া হয় না। ফেতনার আশংকা নাই। কারণ কেউ কোনো প্রশ্ন করতে চাইলে আমি আগেই বলে দেই বিয়ে সংক্রান্ত ছাড়া কোনো কথা বলা যাবে না আর উনারাও বলেননা। এক্ষেত্রে কি এভাবে একজন আরেকজনের দ্বীনদারীতা সম্পর্কে জানা যাবে? যেহেতু মেইলগুলো আমি ছাড়া আর কেউ দেখে না। কারণ কারও দ্বীনদারিতায় আমি সন্তুষ্ট না হলে মেইলেই না করে দেই। এরকম অনেক হয় তো বারবার পরিবারকে দেখালে কিরকম বিব্রতকর অবস্থা তৈরি হয়। মেইলে কথা বললেও আমি খুব সাবধানতার সাথে কথা বলি। অপ্রোয়জনীয় কোনো কথা আমি বলিনা অপরপক্ষ কেও বলতে দেই না। এমতাবস্থায় অভিভাবকের সাথে যোগাযোগের আগে কি মেইলে পাত্রের দ্বীনদারিতা সম্পর্কে জানা যাবে?
by (4 points)
reshown by
দাওয়াতের নিয়ত অন্তরে না থাকলে এক্ষেত্রে কোনো গুনাহ হবে কি? এবং আমহ লানতের মধ্যেও পড়বেন কি? আমি যেহেতু মেয়ে তাই ঘর থেকে বের হবো না, সংসার নিয়েই সবসময় ব্যাস্ত থাকবো। আর ইংলেন্ডের পরিবেশ ও তো ভালো না তাই সবসময় ঘরেি থাকবো। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে বের হই না। আমি দাওয়াত কিভাবে দিতে হয় সেটাও জানিনা। তাবলীগের আপুরা কিভাবে কাজ করে জানিনা। 
তাই প্রবাসী প্রস্তাবে আগালে সাধারণত মানুষ  ভালো লাইফস্টাইল পাওয়ার জন্যই আগায়। আমি গুনাহ হবে এই ভয়ে এতোদিন না করেছি। এক্ষেত্রে তো আমারও ওই একই নিয়ত থাকে ভালো পরিবেশ পাওয়ার। তাই এরকম প্রস্তাবে আগালে বা কাফের দেশে স্থানীভাবে গেলে গুনাহ হবে কিনা। অনুগ্রহ করে উত্তর দিবেন।  খুব টেনশনে আছি

1 Answer

0 votes
by (588,060 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
দাওয়াত ও তাবলীগের নিয়তে অমুসলিম দেশে বসবাস করা যাবে। সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3447

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) দাওয়াত ও তাবলীগের নিয়তে কাফের দেশে প্রবাসী কাউকে বিয়ে করে ওই দেশে সেটেল্ড হওয়া যাবে। দাওয়াতের নিয়ত অন্তরে রাখলে, এক্ষেত্রে আপনার কোনো গুনাহ হবে না। এবং আপনি লানতের মধ্যেও পড়বেন না।

(২) হ্যা, যেহেতু সন্তানকে যদি দ্বীনি শিক্ষা দেওয়ার সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে, তাই আপনি সেখানে যেতে পারবেন।

(৩) যিনি প্রস্তাব দিয়েছেন উনি যদি দ্বীনদার হন এবং সন্তানদের দ্বীনি শিক্ষার ব্যাবস্থা করবেন বলে আস্বস্ত করেন, তাহলে নির্দ্বিধায় আপনি সেই প্রস্তাবকে গ্রহণ করতে পারবেন।

(৪) অপ্রয়োজনীয় কথা পরিহার করে, মেইলের মাধ্যমে আপনি তার দ্বীনদারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন । এবং সেও জানতে পারবে। তবে এভাবে যে আপনি জানবেন, সেটা কতটুকু নির্ভুল? এরচেয়ে বরং সরাসরি লোক মারফত খবর নিয়ে জেনে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...