السلام عليكم و رحمة الله و بركاته
রিসেন্ট অর্ধেক দ্বীন ডটকম থেকে চমার জন্য একটা প্রস্তাব আসে। আমি আমার বায়োডাটা তে লিখে দিয়েছিলাম প্রবাসি কেউ যোগাযোগ করবেন না, তারপরও উনি যোগাযোগ করেন। পাত্র ইংলেন্ডে সেটেল্ড। ওখানেই জন্ম এবং ওখানেই বড় হয়েছেন। উনার মা-বাবা বাংলাদেশি। উনি বাংলায় কথা বলতে পারেন আর কেউ বাংলায় কথা বললে বুঝতে পারেন। বাংলায় লিখতে ও পারেন না আর বাংলা লেখা বুঝেন ও না। উনি বলছেন উনি মাদ্রাসায় পড়েন, নন-মাহরাম মেইনটেইন করে চলেন, সুন্নাতি পোশাক পড়েন, কিন্তু উনার বয়স ১৯ অর্থাৎ আমার সমবয়সী। আমার যে সালে জন্ম উনার একই সালে জন্ম। আমি বুঝতে পারছি না আমি কি এই প্রস্তাবে আগাবো? আমি একবার কোনো একটা হাদিসে পড়েছিলাম যারা মুসলিম হয়ে অমুসলিম দেশে চলে যায় তাদের উপর রাসুলুল্লাহ ﷺ লানত দিয়েছেন। দুনিয়াবি কাজের জন্য কাফের দেশে যেতে নিষেধ করেছেন। এই ভয়ে এখন পর্যন্ত অনেক প্রবাসীদের প্রস্তাব নাকচ করেছি।
আমার প্রশ্নঃ
এমতাবস্থায়
১/ কাফের দেশে প্রবাসী কাউকে বিয়ে করে ওই দেশে সেটেল্ড হলে কি আমার গুনাহ হবে? আমি কি লানতের মধ্যে পড়বো?
২/ কাফের দেশে প্রবাসী কাউকে বিয়ে করলে সন্তানদের দ্বীনি শিক্ষা দেওয়া প্রায় কম সম্ভাবনা থাকে, এক্ষেত্রে যদি দ্বীনি শিক্ষা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে তবে কি কাফের দেশে প্রবাসী কাউকে বিয়ে করা যাবে?
৩/ যিনি প্রস্তাব দিয়েছেন উনি যদি দ্বীনদার হোন এবং সন্তানদের দ্বীনি শিক্ষার ব্যাবস্থা করবেন বলেন তবে কি উনাকে বিয়ে করতে পারবো? যেহেতু বিয়ের পর আমাকে ইংলেন্ডেই চলে যেতে হবে। কোনো গুনাহ হবে কি?
৪/ অনেক সময় পাত্র পক্ষ বিয়ের উদ্দেশ্যে মেইলে আমাকে অনেক প্রশ্ন করে এগুলোর উত্তর কি দেওয়া যাবে? উনারা বলেন পাত্রী দেখতে যাওয়ার আগে তার দ্বীনদারীতা সাথে অন্যান্য জিনিস জেনে দেখতে গেলে সে বিয়েটা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। পাত্রী দেখার পর না করলে ব্যাপারটা কিরকম হয় তাই দ্বীনদারীতা যাচাইয়ের জন্য মেইল করেন। কিন্তু মেইলে প্রয়োজনের বাইরে কোনো ম্যাসেজই দেওয়া হয় না। ফেতনার আশংকা নাই। কারণ কেউ কোনো প্রশ্ন করতে চাইলে আমি আগেই বলে দেই বিয়ে সংক্রান্ত ছাড়া কোনো কথা বলা যাবে না আর উনারাও বলেননা। এক্ষেত্রে কি এভাবে একজন আরেকজনের দ্বীনদারীতা সম্পর্কে জানা যাবে? যেহেতু মেইলগুলো আমি ছাড়া আর কেউ দেখে না। কারণ কারও দ্বীনদারিতায় আমি সন্তুষ্ট না হলে মেইলেই না করে দেই। এরকম অনেক হয় তো বারবার পরিবারকে দেখালে কিরকম বিব্রতকর অবস্থা তৈরি হয়। মেইলে কথা বললেও আমি খুব সাবধানতার সাথে কথা বলি। অপ্রোয়জনীয় কোনো কথা আমি বলিনা অপরপক্ষ কেও বলতে দেই না। এমতাবস্থায় অভিভাবকের সাথে যোগাযোগের আগে কি মেইলে পাত্রের দ্বীনদারিতা সম্পর্কে জানা যাবে?